এদের গায়ের রং বেশিরভাগই ধূসর বাদামি এবং বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে কালো রঙের হয়ে থাকে। মাথা নিচে ঘার থেকে শুরু করে দেহের সমস্ত অংশই সাদা, কালো ও হলুদ রঙের গোল চাকতির মত দাগ দেখা যায় এদের পৃষ্ঠদেশে। দেহের উপরে থাকা গোল দাগগুলি খুবই ছোট ছোট। এদের দেহের গঠন ও গায়ের উপরে সাদা, কালো ও হলুদ রঙের দাগ দেখে অনেকেই এই সাপটিকে ইন্ডিয়ান কমন ক্রাইট (Indian common krait) সাপের সাথে মিলিয়ে ফেলেন। ইন্ডিয়ান কমন ক্রাইট সাপটিকে ভারতীয় ভাষায় অনেকেই কালাচ বা শিয়র চাঁদা নামে চিনে থাকবেন। এই সাপটি ভারতের সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত প্রজাতির। ঘন জঙ্গল, পাথরের নিচে দেখতে পাবেন এই সাধারণ সাপটির। বিশেষ করে এরা মানুষের আশেপাশে থাকতে বেশি পছন্দ করে।
রাতের অন্ধকারে এই সাপটি সবথেকে বেশি চোখে পড়বে। দিনের বেলায় এদের খুব কমই দেখা যায়। এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে ব্যাং, ছোটখাটো পোকামাকড়, ঘরে থাকা ছোট টিকটিকি। আয়তনে খুব বেশি বড় হয় না সাপটি; ২.৫ ফিট এর গড় আয়তন। সাপটির স্বভাব বারবার আক্রমণ করা, এটি শিকারকে বারংবার কামড় দিয়ে সেটিকে শিকার করে। দেখুন এই সাপটির ভাইরাল ভিডিওটি।
ভারতে বিষাক্ত ও বিষহীন সাপের অভাব নেই। তবে সেই সাপটি বিষাক্ত নাকি বিষহীন সে বিষয় বিবেচনা না করে সরাসরি ডাক্তারের কাছে যাওয়া টাই অবশ্যকর্তব্য। ভারতের বিপুল পরিমাণে প্রাপ্ত এই ঘরচিতি সাপ এর গঠন আরো একটি বিষাক্ত সাপের মতন; যেটির নাম ইন্ডিয়ান কমন ক্রাইট অর্থাৎ কালাচ। এই দুটি সাপ দেখতে এতটাই একই রকম যে অনেকেই বুঝতে পারেননা কোনটি কোন সাপ। দুটি সাপের মধ্যে একটি অত্যন্ত বিষাক্ত, যেটি হল কালাচ বা শিওর চাঁদা এবং অপরটি অর্থাৎ ঘরচিতি সাপ একেবারেই বিষাক্ত নয়।
আরও পড়ুন -পৃথিবীর সবথেকে আক্রমনাত্মক সাপ ব্ল্যাক মাম্বা
খুব সহজেই এই সাপ দুটির মধ্যে পার্থক্যটা লক্ষ করা সম্ভব। কালাচ সাপ অত্যন্ত বিষাক্ত, এটির গায়ের রং কালো হয় এবং কালোর উপর সাদা দাগ থাকে। অপরদিকে ঘরচিতি সাপটির গায়ের রং ধূসর বাদামি এবং এদের গায়ে সাদা, কালো ও হলুদ মিশ্রিত থাকে। যার থেকে সহজেই বুঝে নেওয়া যায় যে কোনটি বিষাক্ত এবং কোনটি বিষহীন। যদি কখনো আশেপাশে এই সাপ বা যেকোনো বিষাক্ত সাপ দেখে থাকেন তবে অতিসত্বর বনদপ্তর এর সাথে যোগাযোগ করা উচিত, এদের কখনোই মারা উচিত নয়।