প্রাচীন পৃথিবীর অন্যতম ইতিহাসের বিশাল সম্ভার নিয়ে গড়ে ওঠা মিশরে, পুনরায় নতুন ইতিহাসের উন্মোচন হলো। সাকারা, যেটি মিশরের রাজধানী কায়রোর কাছে অবস্থিত; সেখানেই সম্প্রতি পাওয়া গেছে আরও এক প্রাচীন ইতিহাসের খোঁজ। মিশরের সাকারায় এই বিশাল প্রত্নতাত্ত্বিক খোঁজ করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদ জাহী হাবাস। তিনি এই ইতিহাসকে মাটির নিচ থেকে খুঁজে বার করার পর জানান এই আবিষ্কার ইতিহাসের পাতায় সাকারার ইতিহাসকে নতুনভাবে রচনা করবে।
মিশরে পাওয়া গেল আরো এক প্রাচীন ইতিহাস
মিশরে অবস্থিত সাকারা মিশরের রাজধানী কায়রোর অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থল। যে জায়গাটা পরিপূরণ প্রাচীন বহু প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসে। United Nations Educational, Scientific and Cultural Organisation ( UNESCO ) এর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের একটি হলো মিশরের সাকারা। মিশরের এই সাকারা তার প্রাচীনকালের বহু নিদর্শন কে আগলে রেখেছে। এখানে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পিরামিড, প্রাচীন পশুদের কবর এছাড়া বহু প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো।
সাকারা থেকে উদ্ধার হওয়া প্রাচীন ইতিহাস:
সাকারায় যে সমস্ত প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসপত্র আবিষ্কার হয়েছে সে সম্পর্কে জাহী হাবাস জানান, এগুলি ইতিহাসের নতুন এক যুগের সূচনা করবে। তিনি জানান এই অঞ্চলে খননকার্য চালানোর পর সেখান থেকে ৫০ টি কাঠের বহু পুরানো কফিন উদ্ধার করা হয়েছে। কফিন গুলি আনুমানিক আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার বছরের পুরনো। কাঠের কফিনের সাথে সাথে পাওয়া গেছে বহু পুরানো অস্ত্র। যে অস্ত্র গুলির মধ্যে রয়েছে তালওয়ার এবং যুদ্ধে ব্যবহৃত কুঠার। কফিন গুলি যে কবরস্থান থেকে পাওয়া গেছে সেই কবরের পাশেই অনেকগুলো অস্ত্র খুঁজে বার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা।
আরও পড়ুন -জনপ্রিয় খেলা লুডোর ইতিহাস
মিশরের প্রত্নতত্ত্ববিদ জাহী হাওয়াজ জানান এই অঞ্চল থেকে যে সমস্ত প্রাচীন ইতিহাস পাওয়া গেছে তা সমস্তই ১৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১১ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে। এই সময়কালের মধ্যে সাকারায়ে নতুন কোন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল কিনা সেটাই এখন বিশ্লেষণের বিষয়। তিনি এও জানান সেখান থেকে কফিন ও অস্ত্র ছাড়াও ফ্যারাও তেতির তৈরি একটি মন্দির আবিষ্কার করা হয়েছে।
“সম্প্রতি মিশরে পাওয়া গেল আরো এক প্রাচীন ইতিহাস”-এ 3-টি মন্তব্য