আবারো নতুন এক আবিষ্কারে হতবাক মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল আবিষ্কার করা হয়েছে সম্প্রতি। আর এই সুপার্মাসিভ ব্লাকহোলের পিছন থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে আলোক রশ্মী। এমনটাই জানাচ্ছে একদল গবেষক। তাদের মতে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণ গহবরের পিছন থেকে আলোক রস্মি বিচ্ছুরিত হতে দেখেছেন তারা। এই আলোকরশ্মিকে তারা নাম দিয়েছেন ‘echoes‘।
Neture জার্নাল-এ এই বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কারের প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি। সেখানে বলা হয়েছে ব্ল্যাকহোলের পিছন থেকে বিচ্ছুরিত এই আলোকরশ্মী। এটি মূলত এক্স রশ্মির একটি ফর্ম। এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন প্রায় ১০০ বছর আগে একটি থিওরি প্রকাশ করেছিলেন। যে থিওরির নাম ছিল ‘Theory Of General Relativity‘। এই থিওরী অনুযায়ী ব্ল্যাকহোল এর গ্র্যাভিটেশনাল পুল এতটাই শক্তিশালী হতে পারে যে চৌম্বক ক্ষেত্রে টুইস্ট দেখা দেয়। আর এর ফলেই আলোক রস্মি বিচ্ছুরিত হতে পারে ব্ল্যাকহোল থেকে। যার কারণে এটিকে দেখে মনে হয় ব্ল্যাকহোলের পেছন থেকে আলোক রশ্মী বেরিয়ে আসছে।
বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের থিওরি অনুযায়ী ব্ল্যাকহোলের পেছন থেকে আরেক রশ্মি বেরিয়ে আসতে পারে। আর ঠিক ১০০ বছরেরও বেশি সময় পর অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের থিওরি প্রমাণ করলেন বিজ্ঞানীরা।
আরো পড়ুন-বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেলো আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন
এই আবিষ্কারের পূর্বে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহবর আসলে সম্পূর্ণ একটি ফাঁকা জায়গা। তবে এই ধারণা পরবর্তীকালে পরিবর্তন হয়েছে। বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কারে এই তথ্য সামনে এসেছে যে কৃষ্ণগহবর আসলে একটি খুব ছোট জায়গা। যার মধ্যে রয়েছে গ্রেট অ্যামাউন্ট অফ ম্যাটার। এর প্রমাণ দিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ব্ল্যাকহোলের আয়তন সূর্যের তুলনায় ১০ গুণ বেশি। তবে সূর্যের মতো আয়তনের একটি বস্তুকে যদি সংকুচিত করে খুবই ছোট বানানো হয় তবে তার মধ্যে যে পরিমাণ ম্যাটার উপস্থিত থাকবে ব্ল্যাকহোলের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই। প্রচুর পরিমাণ ডার্ক ম্যাটার ছোট্ট একটি জায়গায় সংকুচিত অবস্থায় থাকে যার কারণে ব্ল্যাকহোলের গ্র্যাভিটেশনাল পুল প্রচন্ড শক্তিশালী হয়। ব্ল্যাকহোলের এত পরিমাণ শক্তির কারণেই আলো চলাচল করতে পারে না এর মধ্যে দিয়ে।
“ব্ল্যাকহোলের পিছন থেকে বেরোচ্ছে আলোক রশ্মী! নতুন আবিষ্কারের হতবাক বিজ্ঞানীরা”-এ 1-টি মন্তব্য