ভারতের সবচেয়ে দ্রুততম বাইক | Fastest Bike In India in bengali

ভারতের সবচেয়ে দ্রুততম বাইক: ভারত তথা বিশ্বজুড়ে বাইক প্রেমি মানুষের অভাব নেই। আর এই বাইক প্রেমীদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি ব্র্যান্ড কাওয়াসাকি (Kawasaki)। এই বাইক নির্মাতা কোম্পানির এমন একটি বাইক আছে যেটা সবচেয়ে দ্রুতগতির বাইক হিসেবে বিবেচিত হয় ভারতে। এই বাইকের গতি, টেকনোলজি, ফিচারস অনেকটাই এলিয়ান টেকনোলজির মত মনে হয়। অ্যাগ্রেসিভ লুক, দুর্দান্ত গতিকে টেক্কা দেওয়ার মতো কোনো বাইক এখনও পর্যন্ত তৈরি করতে পারেনি অন্য কোন কোম্পানি। ভারতের সবচেয়ে দ্রুততম বাইকটি সম্পর্কেই আজকে আমরা আলোচনা করব। এই ধরনের বিভিন্ন তথ্য আমরা সর্বদাই আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করি। এই ধরনের তথ্য পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

ভারতের সবচেয়ে দ্রুততম বাইক Kawasaki Ninja H2R। Kawasaki নির্মীত এই বাইকের সর্বোচ্চ গতি ৪০০ কিমি প্রতি ঘন্টা, এই বাইকে ব্যাবহার করা হয়েছে ৯৮৯cc ডুয়েল ওভারহেড কাম ইনলাইন ফোর এবং ২ স্পিড সেন্ট্রিফিউগাল সুপারচার্জাড ইঞ্জিন।

Read More, হোয়াটসঅ্যাপ কিভাবে টাকা ইনকাম করে?

ভারতের সবচেয়ে দ্রুততম বাইক:

Kawasaki Ninja H2R একটি সুপারচার্জড সুপারস্পোর্টস ক্লাসের বাইক। এই বাইকের নির্মাতা কোম্পানি কাওয়াসাকি। ১৯৭২ সালে ৭৫০cc ক্যাটাগরিতে প্রথম Kawasaki Ninja H2 Match IV লঞ্চ করা হয়েছিল। এই বাইকটিতে ছিল ইনলাইন ট্রিপল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। Kawasaki Ninja H2R বাইকটি রোড লিগাল নয়। অর্থাৎ এই বাইকটি আপনি সাধারণত রাস্তায় চালাতে পারবেন না। এর জন্য দরকার একটি রেসিং ট্র্যাকের। তবে এই বাইকটির একটি রোড লিগ্যাল ভার্সন উপলব্ধ যার নাম Kawasaki Ninja H2।

Kawasaki Ninja H2R

Kawasaki Ninja H2R একটি ট্র্যাক অনলি ভেরিয়েন্ট এবং বর্তমান বাজারে সবচেয়ে ক্ষমতা সম্পন্ন প্রোডাকশন মোটরসাইকেল। এই বাইকের ইঞ্জিন তৈরি করতে পারে ৩১০ হর্সপাওয়ার (২৩০ কিলোওয়াট) এবং ৩২৬ হর্সপাওয়ার (২৪৩ কিলোওয়াট)। যার কারনে এই বাইকটি বর্তমান বাজারে থাকা যেকোন স্ট্রিট লিগ্যাল বাইকের থেকে ৫০ শতাংশ বেশি ক্ষমতা উন্নত উৎপন্ন করতে পারে। অন্যদিকে এই বাইকের স্ট্রিট লিগ্যাল ভার্সন অর্থাৎ Kawasaki Ninja H2 তৈরি করতে পারে ২০০ হর্সপাওয়ার (১৫০ কিলোওয়াট) ২১০ হর্সপাওয়ার (১৬০ কিলোওয়াট)।

Kawasaki Ninja H2R ডিজাইন

কাওয়াসাকি তাদের পুরনো Ninja ZX14 হাইপার বাইকের ডিজাইনের পরিবর্তে এই বাইকটিতে একটি শীর্ষস্থানীয় ডিজাইন বেছে নিয়েছে। যেহেতু এটি একটি সুপারবাইক সেক্ষেত্রে এই বাইকটির ডিজাইন যত সম্ভব এয়ারো ডায়নামিক করা হয়েছে, যার ফলে হাওয়ার মধ্যে দিয়ে এটি কোন বাধা ছাড়াই সামনের দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে পারে।

Kawasaki Ninja H2R ইঞ্জিন

কাওয়াসাকি তাদের এই দুর্দান্ত গতির বাইকটিতে ব্যবহার করেছে এক নতুন টেকনোলজি, যাকে বলা হয় সুপারচার্জার। এই বাইকে রয়েছে ৯৮৯ সিসি ডুয়েল ওভারহেড কাম ইনলাইন ফোর এবং টু স্পিড সেন্ট্রিফিউগাল সুপারচার্জার। এই বাইকটি সর্বোচ্চ ক্ষমতা উৎপন্ন করতে পারে ৩০৫.৭৫ bhp ১৪,০০০ RPM-এ। ১২,৫০০ rpm-এ টর্ক জেনারেট করে ১৬৫ নিউট্রন মিটার। এত শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করার জন্য এই গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ ৪০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা এখনও পর্যন্ত পরিমাপ করা গেছে।

এছাড়া Kawasaki Ninja H2R বাইকে রয়েছে লিকুইড কুলিং সিস্টেম, ১৭ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্ক, ২.৬ লিটার রিজার্ভ ওয়েল ক্যাপাসিটি। বাইকটির ওজন ২১৬ কেজি, সিটের উচ্চতা ৮৩০ মিলিমিটার এবং সবমিলিয়ে দৈর্ঘ্য ২০৭০ মিলিমিটার। ভারতের সবচেয়ে দ্রুততম বাইক Kawasaki Ninja H2R এ এখনো পর্যন্ত মাইলেজ পাওয়া গিয়েছে ১৯ কিলোমিটার প্রতি লিটারে এবং ফুল ট্যাঙ্ক ফুয়েলে এটি যেতে পারে ৩২৩ কিলোমিটার পর্যন্ত। এই গাড়ির দুর্দান্ত গতি এটিকে এখনো পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে দ্রুততম বাইকের তকমা দিয়েছে। তবে এই বাইকটি সাধারণত রাস্তায় চালানোর কোনো নিয়ম নেই।

Kawasaki Ninja H2R রোড লিগ্যাল নয় কেনো?

ভারতের সবচেয়ে দ্রুততম বাইক হওয়া সত্ত্বেও এই বাইক রোড লিগ্যাল নয়। এটি শুধুমাত্র রেস ট্রাকে চালানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। রেড লিগ্যাল না হওয়ার পিছনে বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে যেমন এই বাইকে কোন হেডলাইট দেওয়া হয়নি। একটি বাইক রোড লিগ্যাল হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম দরকার একটি হেড লাইটের। এছাড়াও ব্যাক ভিউ মিরর বা সাইড মিরর নেই এই বাইকটিতে। শুধু তাই নয় এই বাইকটিতে নাম্বার প্লেট লাগানোর জন্য কোন অতিরিক্ত জায়গা নেই। এই তিনটি বিশেষত্ব যে কোন রোড লিগ্যাল বাইকের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজনীয়। তবে এই বাইক রোড লিগ্যাল বানানো যেতে পারে এই তিনটে জিনিস যোগ করার মাধ্যমে।

Leave a Reply