নাসা আর্টেমিস মিশন: যৌথভাবে রোভার তৈরি করবে দুই মার্কিন সংস্থা

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) এর আগামী চন্দ্র অভিযানের জন্য এবার রোভার তৈরীর কাজে নিযুক্ত হলো দুই মার্কিন সংস্থা, LOCKHEED MARTIN এবং GENERAL MOTORS। আগামী এই চন্দ্র অভিযানের নাম ‘আর্টেমিস মিশন টু দ্য মুন’ (ARTEMIS MISSION TO THE MOON)। তবে এটি কোন সাধারণ মিশন নয়, কারণ এই মিশনটি হতে চলেছে ‘ম্যানড মিশন’; যেখানে উপস্থিত থাকবে নভোচারীরাও।

চাঁদের উদ্দেশে নাসা অনেক অভিযানই চালিয়েছে, তবে চাঁদে পুনরায় নভোচারীদের পাঠানো হবে বহুকাল পর। এর আগে ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো মিশনে নভোচারীরা চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছিলেন। আগামী এই ম্যানড মিশন হতে চলেছে ২০২৪ সালে।

এই অভিযানে চাঁদে নভোচারীদের নিয়ে যাওয়ার জন্যই রোভার তৈরি করতে চলেছে দুই মার্কিন সংস্থা। যেখানে LOCKHEED MARTIN হলো একটি মার্কিন এরোস্পেস কম্পানি এবং GENERAL MOTORS হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরি একটি সংস্থা।

Alongside @GM, we’re developing a Moon rover — expanding the footprint of our next lunar explorers and bringing the best of engineering and space to our collaborative design.

— Lockheed Martin (@LockheedMartin) May 26, 2021

আরো পড়ুন-চাঁদে জলের সন্ধানে প্রথম মোবাইল রোবট পাঠাতে চলেছে নাসা

আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা এর তরফ থেকে জানানো হয়, প্রায় দীর্ঘদিন চাঁদে মানুষ পা রাখেনি, যে কারণে নতুন এই মিশন নিয়ে তাঁরা যথেষ্ট উৎসাহিত। এই অভিযানের যে রোভারটি ব্যবহার করা হবে সেটি বানাবে দুই মার্কিন সংস্থা। LOCKHEED MARTIN এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক অ্যামব্রোস জানান পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত ও কার্যকারী হতে চলেছে এই রোভার। এটি নভোচারীদের নিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে অনেক বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম। এর পূর্বে চন্দ্রাভিযানে ব্যবহৃত রোভার গুলি মাত্র ৪ মাইল পর্যন্ত যাত্রা করতে পারতো। এটি ছিল তাদের সীমাবদ্ধতা। তবে আর্টেমিস মিশনে ব্যবহৃত রোভার নভোচরদের আরো অনেক বেশি এলাকা পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ করে দেবে।

উন্নত প্রযুক্তির রোভারের চেপে নভোচারীরা আরো বেশি এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে পারবে, সাথেই অনেক বেশি নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসবে। যার ফলে বিজ্ঞানীরা তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চাঁদ সম্পর্কে আরো বেশি নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।

এই দুই মার্কিন সংস্থা LM এবং GM এর তরফ থেকে আরো জানানো হয়, রোভারের থাকবে self-driving সিস্টেম। যার ফলে নভোচর ছাড়াই রোভারটি পরিচালনা করা সম্ভব।