আমাদের পৃথিবীর বাইরে এক অনন্ত মহাকাশ, যার শুরু বা শেষ এখনো আমাদের কাছে রহস্যের। আর এই অজানা রহস্য উন্মোচনের চেষ্টায় প্রতিনিয়ত মহাকাশের দিকে কড়া নজর রেখে চলেছে নাসা। যে কাজে আগামী দিনে নাসাকে সাহায্য করতে চলেছে বিশ্বের সবথেকে বৃহত্তম ও শক্তিশালী টেলিস্কোপ Jems Webb Space Teliscope (জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ)। নাসা দ্বারা প্রদত্ত একটি তত্ত্ব অনুযায়ী এই টেলিস্কোপটি নির্মাণে নাসার মোট খরচ হয়েছে ভারতীয় টাকায় প্রায় ৭৩,৭০০ কোটি টাকা। বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। এর পূর্বে হাবল টেলিস্কোপটি নাসাকে মহাকাশের রহস্য সন্ধানে সাহায্য করে চলেছিলো।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটিতে রয়েছে বিশাল আকৃতির আয়না। এই টেলিস্কোপের বিশাল আয়নায় ১৮টি ষড়ভুজ আকৃতির হেক্সাগোনাল সেগমেন্ট যুক্ত রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি সেগমেন্ট-এ রয়েছে সোনার অতি-পাতলা একটি আস্তরণ। এর পূর্বে ১৯৯০ সালে নাসা হাবল টেলিস্কোপটি মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠিয়েছিল। গত কয়েক দশক ধরে এই টেলিস্কোপটি নাসাকে মহাকাশ সম্পর্কে নানান অজানা তথ্য প্রদান করে চলেছে।
নাসার হাবল টেলিস্কোপ মহাকাশে ছবি তুলতে সক্ষম হলেও মহাকাশের অনন্ত গভীরে যেতে সক্ষম নয়। যে করণে আগামী ২২ ডিসেম্বর নাসা আরো শক্তিশালী জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ মহাকাশে পাঠাতে চলেছে। নয়া এই টেলিস্কোপ মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার জন্যে ব্যবহার করা হবে ‘আরিয়েন ৫ ইসিএ’ রকেট। আমেরিকার গায়ানা থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে এই রোকেটটি।
আরো পড়ুন-২০২১-এর শেষ সূর্যগ্রহণ কবে? কোথায় দেখা মিলবে জেনে নিন
নাসা নতুন টেলিস্কোপটি তৈরিতে সাহায্য নিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং কানাডা স্পেস এজেন্সির। যে রোকেটটির সাহায্যে টেলিস্কোপকে মহাকাশে পাঠানো হবে সেটি বানিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। নাসার বিজ্ঞানীরা আশা করছেন আগামী কয়েক দশকের জন্য জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ নাসা এবং জাপানের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র কে মহাকাশ সম্পর্কে অজানা তথ্য প্রদানের প্রধান অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। নাসা জানিয়েছে টেলিস্কোপকে এমন জায়গায় বসানো হচ্ছে যে জায়গা থেকে মহাকাশের সবচেয়ে গভীর অঞ্চলের পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। জায়গাটি পৃথিবী থেকে ১০ লক্ষ মাইল বা ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছাতে একমাস সময় নেবে এটি। এর পরবর্তীতে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার পর টেলিস্কোপের ছাতাটি খুলে যাবে এবং তার নিজস্ব কাজ শুরু করবে মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই।
[…] […]