Turkmenistan in bengali: তুর্কমেনিস্তান একটি সার্বভৌম দেশ, এটি মধ্যে এশিয়ায় অবস্থিত। এর পশ্চিম দিকে আছে ক্যাস্পিয়ান সাগর, দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আফগানিস্তান, উত্তর পূর্ব উজবেকিস্তানের, উত্তর-পশ্চিমে কাজাকিস্তান ও দক্ষিণে ইরান অবস্থিত। দেশের রাজধানী শহর হল আশগাবাত, এটি দেশের বৃহত্তম শহর। মাত্র ৫৬ লাখ জনসংখ্যা বিশিষ্ট দেশটি, মধ্যে এশিয়ার সবচেয়ে জনবিরল দেশ। এই দেশের প্রধান ভাষা তুরকম্যান, তাছাড়া রাশিয়ান ভাষা কিছু শতাংশ লোক বলে থাকে। ইসলাম প্রধান এই দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়নের থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৯১ এ ২৭ অক্টোবর।
আরও পড়ুন – চুম্বকীয় পাহাড়ের রহস্য কি?
Turkmenistan in bengali
ঐতিহাসিকদের মতে রাশিয়ান আধিপত্যের আগে তুর্কমেনিরা মধ্য এশিয়ায় দাস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। ১৯৪৮ সালে বর্তমান রাজধানী আশগাবাত ভূমিকম্পে প্রায় ১১০০০ লোক মারা যায়। এই দেশর জলবায়ু অত্যন্ত গরম, বেশকিছু জায়গায় বার্ষিক বৃষ্টিপাত এর পরিমান ১২ মি:মি:। দেশটি কারাকুম মরুভূমির অন্তর্গত এটি বিশ্বের অন্যতম শুষ্ক মরুভূমি। রাজধানী আশগাবাত এর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৮°-৫০° দেখা গিয়েছিলো। তুর্কমেনিস্তান এর অর্থনীতি মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় যথেষ্ট ভালো। এই দেশটি প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেলে সমৃদ্ধ। অর্থনীতির বেশিরভাগটাই এর উপর নির্ভর করে।
পৃথিবীর এটাই একমাত্র দেশ যেখানে সরকার জনগণ কে বিনামূল্যে জল, বিদ্যুৎ ও প্রত্যেক মাসে গাড়ি চালানোর জন্য ১২০ লি:, লরি চালানোর জন্য ২০০ লি:, বাইক চালানোর জন্য ৪০ লি: প্রেট্রোল দেওয়া হয়।এই দেশের ২% লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। রাজধানী আশগাবাত কে সাদা শহর বলা হয় কারণ এই শহরের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়ি সাদা রঙের, এখানে বলা যায় সাদা রং বলতে সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি, সাদা মার্বেল রক্ষা করার জন্য এই দেশে আইনও আছে দেশটিতে দর্শনার্থীদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস হল দারভাজা গ্যাস চেম্বার। এটি মরুভূমির মাঝখানে ক্রমগত জ্বলছে। প্রতিবছর বহু পর্যটক এই আগ্নেয়গিরি দেখতে আসে। এই গ্যাস চেম্বারটি নরকের প্রবেশ দ্বারও বলা হয়।
এই দেশের প্রধান খেলা হল ফুটবল। তুর্কমেনিস্তানের টাকাকে তুর্কমেন বলা হয় ১ তুর্কমেন = ২১ ভারতীয় টাকা।
তুর্কমেনিস্তানের ভ্রমণপ্রিয় স্থান
দারভাজা গ্যাস সেন্টার:–

তুর্কমেনিস্তানের দারভাজা অঞ্চলে গ্যাসের এই জ্বলন্ত চেম্বার অবস্থিত। মরুভূমির মাঝে ২২৬ মিটার চওড়া ৯৮ মিটার গভীর একটি বিশাল গর্ত রয়েছে, যা ক্রমাগত জ্বলছে। এর কারণ জানতে গেলে আমাদের একটু অতীতে যেতে হবে ১৯৭০ সালে রাশিয়ার একটি বৈজ্ঞানিক দল এই অঞ্চলে খনিজ তেলের সন্ধান পায়। বৈজ্ঞানিকরা যখন এই অঞ্চলে আসে তখন মাটির কিছু অংশ খোরার পর প্রাকৃতিক গ্যাস নির্গত হতে দেখা যায়। সেই সময় ইঞ্জিনিয়াররা কাজ বন্ধ করে দেয় এবং তারা ভেবেছিল ১ সপ্তাহের মধ্যে গ্যাস শেষ হয়ে যাবে, সেই কারণে তারা গর্তটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারদের ছোট একটা ভুল আজ ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ১৯৭০ সালের জ্বালানো আগুন আজও ক্রমাগত জ্বলছে। পরবর্তীকালে গবেষণা করে দেখা গেছে যে, অঞ্চলটিতে বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার রয়েছে ।বর্তমানে এই দারভাজা গ্যাস চেম্বারটি তুর্কমেনিস্তানের একটি প্রধান ভ্রমণ স্থান।
এই রকম আরো আকর্ষন পূর্ণ বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, টুইটার পেজ, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি প্লাটফর্মে ফলো করতে পারেন। ধন্যবাদ।