রতন টাটার সাথে কে এই ছেলেটি, কেমন করে হলো দুজনের বন্ধুত্ব

রতন টাটার সাথে কে এই ছেলেটি, কেমন করে হলো দুজনের বন্ধুত্ব

বেশ কয়েক মাস ধরে আপনারা বিভিন্ন ছবিতে রতন টাটার সাথে একটি তরুণ ছেলেকে দেখতে পাবেন। সম্প্রতি রতন টাটার জন্মদিনে কেক কাটার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয় যেখানে দেখা যাচ্ছে রতন টাটার পাশে সেই তরুণ ছেলেটিকে। কিন্তু কে এই তরুণ ছেলেটি কীভাবেই বা হলো রতন টাটার সাথে তার বন্ধুত্ব। প্রসঙ্গত এই তরুণ ছেলেটির নাম শান্তনু নাইডু, তিনি রতন টাটার পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট।

কিন্তু তাদের মধ্যে যে একজন এসিস্ট্যান্ট ও মালিকের সম্পর্ক নয় সেটা সকলের কাছেই স্পষ্ট। যেগুলি তার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও তে প্রস্ফুটিত হয়েছে। সান্তনু নাইডুর সঙ্গে রতন টাটার যোগাযোগে একটি ইতিহাস রয়েছে যা হয়তো অনেকেরই অজানা। শান্তনু নাইডু ২০১৪ সালে গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন। এরপর তিনি টাটা গ্রুপের সঙ্গে কাজ করতেন।

একদিন রাস্তায় গাড়িতে করে আসার সময় শান্তনু নাইডু লক্ষ করেন রাস্তার মধ্যেখানে একটি মৃত কুকুরকে পড়ে থাকতে। এটি দেখে তিনি কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন, এরপর তিনি এবং তাঁর কিছু বন্ধু মিলে তারা একটি কুকুরের গলার ব্যান্ড তৈরি করে। যে ব্যান্ডে গাড়ির আলো পড়লে তা প্রতিফলিত হবে এবং যার ফলে ড্রাইভার এর দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। তারা এই ব্যান্ড শহরের রাস্তায় বিভিন্ন কুকুরের গলায় পরিয়ে দেয় কিছু ভালো ফলের আসায়। তার এই প্রয়াস বিফলে যায়নি, এই ব্যান্ডের কারণে বহু কুকুর এক্সিডেন্ট এর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

এরপরই শান্তনুর কাছে এই ব্যান্ড কেনার জন্য বহু মেসেজ আসতে থাকে, কিন্তু তার কোন কোম্পানি ছিল না বা কোন প্রডাকশন হাউজ ছিল না যে এই ব্যান্ডটি তৈরি করবে। শান্তনুর বাবা এই ব্যাপারে রতন টাটা কে একটি চিঠি লেখার পরামর্শ দেন কিন্তু সান্তনু প্রথমে দ্বিধা বোধ করছিল চিঠি লেখার জন্য। এরপর তিনি একটি চিঠি লেখেন রতন টাটা কে।

RPG গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্স গোয়েনকা রতন টাটার জন্মদিনের ভিডিওটি টুইটারের শেয়ার করেছেন

আরো পড়ুন- খরচ হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার, ৫৭৯৫ কিমি জাতীয় সড়ক, যার মধ্যে আছে বাংলার ৫ জেলা

সংবাদমাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শান্তনু বলেছেন, “আমার জীবন বদলে গেল। মিঃ রতন টাটার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আমি নিজেই পেয়েছি! যখন আমি এটি খুললাম, এটি বলে যে তিনি সত্যিই আমাদের কাজ পছন্দ করেন এবং আমার সাথে দেখা করতে চান – আমি এটি বিশ্বাস করতে পারিনি।”

এরপর তিনি রতন টাটার সঙ্গে দেখা করেন এবং তার চিন্তাভাবনা ব্যক্ত করেন। এখান থেকে শুরু সান্তনু নাইডু ও রতন টাটার বন্ধুত্ব। এরপর থেকে তিনি টাটা ট্রাস্ট এর সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন। সংবাদমাধ্যমে নাইডু জানিয়েছে, এরপর একদিন তিনি রতন টাটার কাছ থেকে ফোন কল পান এবং তাকে রতন টাটার পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টের জন্য অনুরোধ করা হয়। নাইডু এটি গ্রহণ করেন এবং শেষ ১৮ মাস ধরে তিনি রতন টাটার পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রূপে কাজ করছেন।

Previous articleব্লেডের মাঝে অসাধারন নকশা, ১০০ বছরেও বদল করেনি কোন কোম্পানি
Next articleভারত বনাম শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ২০২২- Highlights
আমরা Extra Gyaan এর সদস্যরা পেশাগতভাবে ব্লগিং এর সঙ্গে যুক্ত। আমরা ইন্টারনেট, প্রযুক্তি, নাসা, মহাকাশের বিভিন্ন তথ্য, শিক্ষাগত দিক ও খেলাধুলার বিষয়ে নিবন্ধ লিখে থাকি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায়। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষায় আপনাদের সামনে সেরা তথ্য তুলে ধরা।

Leave a Reply