ভারতের জাতীয় ক্রাশ। জনপ্রিয় অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনা

ভারতের জাতীয় ক্রাশ: মনোযোগ সহকারে কাজ করলেও কাজের প্রতি অনুরাগ রাখতে পারলেই সফলতা পাওয়া যায়। আর এই কথাটিকে সত্যি প্রমাণ করে মানুষের মধ্যে নিজের পরিচয় করে তুলেছে দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনা। তিনি খুব কম সময়ের মধ্যেই লক্ষাধিক অনুরাগীদের মনে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতা বিজয় দেবরকোন্ডা-র সঙ্গে রশমিকা মন্দনার রসায়ন চলচ্চিত্র জগতে বেশ সুনাম পেয়েছে।

গীতা গোবিন্দম এবং ডিয়ার কমরেড এর মত খ্যাতনামা সিনেমার অভিনেত্রী রশমিকা মন্দনা খুব অল্প সময়ের মধ্যে এতটা জনপ্রিয় হয়েছে তাকে এখন সকলে কর্নাটকের ক্রাশ আখ্যা দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে গুগল রশ্মিকাকে ভারতের ন্যাশনাল ক্রাশ বলে ঘোষণা করেছে। তিনি দক্ষিণ ভারতের অভিনেত্রী হলেও বর্তমানে গোটা ভারতে খুব কম মানুষই আছে যারা তার সঙ্গে পরিচিত নন। 

রশ্মিকা মন্দনার রূপ আর গুণে মুগ্ধ প্রায় সকলেই। গুগোল যে তাকে জাতীয় ক্রাশ এর আখ্যা দিয়েছে তার মানে হল ভারতের অধিকাংশ পুরুষের মনে তিনি বাস করেন। রশ্মিকা মন্দনা এমন একজন অভিনেত্রী তিনি খুব অল্প বয়সেই জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে গেছেন। দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ চলচ্চিত্র নির্মাতারা তার সঙ্গে কাজ করতে চায়। দক্ষিণ ভারতের সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থেকে তিন বছরের মধ্যে ১০০ কোটির সিনেমা করেছেন। তাই বর্তমানে তিনি ১০০ কোটির ক্লাবে সামিল হয়েছেন। এটি তার জন্য অত্যন্ত গর্বের। এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র বলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রী ১০০ কোটির ক্লাবে সামীল ছিল। কিন্তু রাশ্মিকা মন্দানা কর্নাটকের সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থেকেও নিজের ক্ষমতায় এই ক্লাবে সামিল হতে পেরেছে। 

আরও পরুন – জনপ্রিয় কার্টুন মিকি মাউজের ধারনা কোথা থেকে এল

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে ১৯৯৬ সালের ৫ এপ্রিল রশ্মিকার জন্ম হয়। তার পিতার নাম মদন মন্দনা এবং তার মাতার নাম সুমন মন্দনা। সাধারণত দেখা যায় অধিকাংশ অভিনেতা ও অভিনেত্রী তাদের অভিনয়ে মন দিতে গিয়ে শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে কিন্তু রশ্মিকা সেরকম নয়। তিনি একজন সফল অভিনেত্রী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যথেষ্ট শিক্ষিতও। প্রথমে কর্নাটকের কোড়গু বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি এম এস রামাইয়া কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞান, ইংরেজি এবং সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতক হন। 

রশমিকা পড়াশোনা মন দিয়ে করলেও শুধু পড়াশোনা তেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি মডেলিংও করতেন। সেই সঙ্গে তিনি বেশকিছু বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। তিনি প্রথম মডেলিং করেছিলেন ২০১২ সালে রশ্মিকা ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার ফ্রেস ফেস অফ ইন্ডিয়ার খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। এরপর তিনি এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত হন। ২০১৩ সালে তিনি টিভিসি খ্যাতি অর্জন করেন। 

এই ধরনের খ্যাতি অর্জন করার জন্য তিনি বেশকিছু চলচ্চিত্র নির্মাতার নজর কাড়েন। আর এই সুবাদেই প্রথম সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান তিনি। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা টি হল কিরিক পার্টি। এটি ২০১৬ সালে বের হয়। এটি একটি কর্ণাটকী সিনেমা ছিল।দক্ষিণ ভারতের সিনেমার মধ্যে ২০১৬ সালে এই সিনেমাটি সবচেয়ে বেশি উপার্জন করেছিল। এরপর তিনি আরও কয়েকটি কর্ণাটকী সিনেমা করার পর তেলুগু সিনেমায় যোগ দেন। তেলুগুতে তার প্রথম সিনেমা ছিল ‘চালো‘ নামের একটি সিনেমা। তার আসল জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে গীতা গোবিন্দম সিনেমা টি করার পর থেকে। 

Leave a Reply