Jems Webb Space Telescope: পৃথিবীর সাথে হুবহু মিল, নতুন এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজে পেল জেমস ওয়েব

Jems Webb Space Telescope: আমাদের সৌরজগতের বাইরে নতুন এক পৃথিবীর মতোই এক্সোপ্ল্যানেটের খোঁজ পেল নাসার অন্যতম স্পেস টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স এন্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) এর অন্যতম জেমস ওয়েব (Jems Webb Space Telescope) টেলিস্কোপ মহাকাশের বিভিন্ন রহস্য উন্মোচন করে আসছে গত প্রায় এক বছর ধরে। মহাকাশে এই স্পেস টেলিস্কোপ পাঠানোর পর থেকে প্রচুর গ্রহ, নক্ষত্রের অসাধারণ ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। সম্প্রতি এই স্পেস টেলিস্কোপটি এমন একটি ছবি নাসার বিজ্ঞানীদের কাছে পাঠিয়েছে যা হতবাক করেছে সকল মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী এই টেলিস্কোপের চোখে ধরা পড়েছে এক্সোপ্ল্যানেট, যার সাথে পৃথিবীর মিল রয়েছে ৯৯% পর্যন্ত।

নয়া যে এক্সোপ্ল্যানেট এর আবিষ্কার করা হয়েছে সেই গ্রহটিকে এর পূর্বে LHS 475B হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল। এই গ্রহটির ব্যাস এবং পৃথিবীর ব্যাস সম্পূর্ণ এক। সৌরজগতের বাইরে থাকা অন্যান্য এক্সোপ্ল্যানেট গুলি থেকে এই গ্রহটির দূরত্ব পৃথিবীর সব থেকে কাছে। পৃথিবী থেকে এই গ্রহটি মাত্র ৪১ আলোকবর্ষ দূরে কনস্টিলেশন অকটেনে অবস্থান করে।

নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ গ্রহটি আবিষ্কারের পর এই গ্রহটিকে নিয়ে গবেষণা করছেন লাস্টিগ ইয়েগার নামে একজন মহাকাশ বিজ্ঞানী। তিনি জানিয়েছেন বর্তমানে ওই এক্সোপ্ল্যানেটের বায়ুমণ্ডলের গঠন কেমন সে বিষয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে, তারা এখনো জানতে পারেননি সেখানকার বায়ুমণ্ডল কি রকম। পৃথিবীর আকারের পাথুরে এই গ্রহটির রহস্য উন্মোচন করতে গ্রহটিকে আরো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

আরো পড়ুন -মহাকাশের সব গ্রহই গোলাকার কেন? উত্তর জানালেন বিজ্ঞানীরা

আমাদের সৌর জগতের বাইরে পৃথিবীর মতোই কোনো গ্রহের সন্ধান পাওয়া মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দের জন্যে এক সুবর্ণ সুযোগ। এক্সোপ্ল্যানেট সম্পর্কে গবেষকরা জানিয়েছে পৃথিবীর মতো দেখতে হলেও এই এক্সোপ্ল্যানেটে সম্ভবত পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল নেই। তাদের অনুমান শনির উপগ্রহ টাইটান এর মত এখানে মিথেনের বায়ুমন্ডল থাকতে পারে। কারণ এই গ্রহটি তার নক্ষত্রকে মাত্র দুই দিনে সম্পূর্ণরূপে এক পাক ঘুরে আসতে পারে। কিন্তু অন্যদিকে এটাও ঠিক যে আমাদের সূর্যের তুলনায় এই গ্রহের নক্ষত্রের সূর্যের তাপমাত্রা অর্ধেকেরও কম যে কারণে এই গ্রহে বায়ুমণ্ডল থাকলেও থাকতে পারেন বলে মনে করছেন গবেষকরা।

মন্তব্য করুন