রাত্রে ট্রেনের ভিতরে আর মোবাইল ল্যাপটপ চার্জ নয়, রেলের নয়া সিদ্ধান্ত

রেলযাত্রায় যাত্রীদের সুবিধার্থে স্বল্প দূরত্বের এবং দূরপাল্লার প্রায় সব ট্রেনেই মোবাইল, ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার সুবিধা করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। কয়েক বছর আগে ট্রেনে যাত্রা করাকালীন যাত্রীদের মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রায়ই সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। আর এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই রেলের তরফ থেকে চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রায় সব ধরনের ট্রেনে। কিন্তু হঠাৎই রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নতুন এক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, এরপর থেকে ট্রেনে রাত্রে যাত্রা করাকালীন আর কোন মোবাইল বা ল্যাপটপ চার্জ দেওয়া যাবেনা।

রেলের নয়া সিদ্ধান্তের কারণ কি?

রেলের এই নয়া সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ট্রেনে আগুন লেগে যাওয়ার মতো ভয়ঙ্কর সমস্যা দূর করতেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে রেল। ট্রেনে আগুন লেগে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা মাঝেমধ্যেই সামনে আসতে দেখা গিয়েছে। যার বড় একটা কারণ শর্ট সার্কিট। যার কারণে রাত ১১ টার পর থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত মোট ৬ ঘন্টা, যে সমস্ত যাত্রীরা ট্রেনের যাতায়াত করবেন তারা মোবাইল বা ল্যাপটপ চার্জ দিতে পারবেন না ট্রেনের চার্জিং পয়েন্ট গুলি থেকে।

আরো পড়ুন – BIG NEWS: পাবজি মোবাইল লাইট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সারা পৃথিবী জুড়ে। জেনে নিন বিশদে

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, গত মার্চ মাসের ১৬ তারিখ থেকেই পশ্চিম রেল ইতিমধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। এই প্রক্রিয়া শুরু করার প্রসঙ্গে পশ্চিম রেলের সিপিআরও সুমিত ঠাকুর জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই প্রতিটি রেল জোনকে নির্দেশ পাঠানো হয়ে গিয়েছে এবং পশ্চিম রেলে ১৬ই মার্চ থেকে কার্যকারীও হয়েছে। মোবাইল, ল্যাপটপ চার্জ দেওয়া বন্ধ করার জন্য ১১ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত মোট ৬ ঘন্টা ট্রেনে থাকা চার্জিং পয়েন্টে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি রেল জোনকেই।

রেলের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে শর্ট সার্কিট থেকে হওয়া বিপদের কথাই বলা হয়েছে। রেলের এক আধিকারিকের মতে, অনেক সময় যাত্রীরা ট্রেনের মোবাইল বা ল্যাপটপ চার্জে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। যার কারণে ১০০ শতাংশ চার্জ হওয়ার পরেও সেটি চার্জ হতে থাকে। অনেক সময় এই অতিরিক্ত চার্জ দেওয়ার কারণে শর্ট সার্কিট হয়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। যার থেকে ট্রেনে আগুনও লেগে যেতে পারে। আর এই কারণে একপ্রকার বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে।

Leave a Reply