শনি গ্রহের চাঁদ টাইটান-এ প্রাণের সম্ভাবনা, কি বলছেন বিজ্ঞানীরা?

শনি গ্রহ আমাদের সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ গুলোর তুলনায় যতটা আলাদা ও অদ্ভুত, এর উপগ্রহ অর্থাৎ চাঁদটিও ঠিক ততটাই আলাদা। শনি গ্রহের চাঁদ টাইটান-এ রয়েছে জৈবিক উপাদান এবং এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ, যেগুলির কোন অস্তিত্ব পৃথিবীতে নেই। তবে এগুলির নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাটাও বেশ কঠিন।

অন্যতম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা এর একদল বিজ্ঞানী একটি মিশনের ধারণা প্রস্তুত করেছেন। তারা বলেছেন এই ধারণা ব্যাবহার করে টাইটানে থাকা অফুরন্ত মিথেন গ্যাসকে ব্যবহার করা যেতে পারে জ্বালানি হিসেবে। মহাকাশযানকে জ্বালানি যোগান দেওয়া সম্ভব এই মিথেনের সাহায্যে। যার ফলে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরতে পারবে মহাকাশযানটি।

শনির উপগ্রহ টাইটান উপগ্রহ এক রহস্যময় জায়গা। সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁদ এটি। বুধ এর চেয়ে বড় এবং পৃথিবীর আয়তনের পরেই এটির স্থান। সৌরজগতের একমাত্র জায়গা যেখানে পৃষ্ঠতলের উপর দিয়ে তরল প্রবাহিত হয়। তবে সেটি জল নয়। বরং হাইড্রোকার্বন, যেমন মিথেন। টাইটানেও জল আছে; তবে ভূপৃষ্ঠের নিচে বরফ অবস্থায়।

আরো পড়ুন-এই বছরের প্রথম BLOOD MOON, দেখা মিলবে এই মাসেই

নাসার একদল ইঞ্জিনিয়ারদের টাইটান থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য ১২৫,০০০ ডলার দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা একটি মহাকাশযান তৈরি করে এই উপগ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে পারে। ভালো খবর হলো শনি গ্রহের এই চাঁদে পৌঁছানো মঙ্গল গ্রহে পৌঁছানোর থেকে সহজ। কারণ এই উপগ্রহের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের চেয়ে ৬ গুণ পুরু। যার ফলে যথেষ্ট ঘর্ষণ তৈরি হবে মহাকাশযানটির ভূপৃষ্ঠে অবতরণের ক্ষেত্রে। এমনকি ল্যান্ডিং রকেটের ও প্রয়োজন হবে না।

বিজ্ঞানীদের ধারণা টাইটান-এ থাকা ভূগর্ভস্থ জলের সমুদ্র পৃথিবীর গভীর সমুদ্রে পাওয়া জীবনের সমান জীবন ধারণ করতে পারে। এই উপগ্রহের ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় -২৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে হাইড্রোজেনের এই হ্রদে প্রাণ থাকাটা অসম্ভব নয়। হতে পারে সেখানকার জীবন পৃথিবী থেকে আলাদা। আগামী ২০২৭ সালে টাইটানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা।

“শনি গ্রহের চাঁদ টাইটান-এ প্রাণের সম্ভাবনা, কি বলছেন বিজ্ঞানীরা?”-এ 1-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন