এবার whatsapp-এর প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে সরব হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী

এতদিন ধরে ভারত তথা বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা বিরোধিতা করেছিলেন নতুন প্রাইভেসি পলিসি পরিবর্তন নিয়ে। এবার এই প্রাইভেসি পলিসির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জানাল ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফ থেকে দিল্লি হাইকোর্টে গত শুক্রবার এই নীতি স্থগিদের অর্জি জানানো হয়। কেন্দ্রের দাবি নতুন নীতি অসুরক্ষিত এবং ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় ব্যক্তির হাতে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

whatsapp-এর প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে সরব হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী

হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি নীতি নিয়ে স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরব হয়েছেন। তার কথা মতই একটি এফিডেভিট জমা দেওয়া হয়েছে প্রধান বিচারপতি ডি এন পাটিল এবং বিচারপতি যশোমতির কাছে। এফিডেভিটে বলা হয়,২০১১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী কারোর ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় কোন সংস্থার হাতে বিক্রি করা আইন বিরুদ্ধ এবং হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি ঠিক তার বিপরীত কাজটি করছে। কেন্দ্রের দাবি অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য প্রধান সংস্থা ফেসবুকের অধীনস্থ অন্যান্য সংস্থার সাথে ভাগ করে নিচ্ছে। আর এখানেই আপত্তি জানিয়েছে কেন্দ্র।

আরো পড়ুন – প্রায় ৪৫ মিনিট পরিষেবা বন্ধ, whatsapp কে নিয়ে টুইটারে ট্রল signal অ্যাপের

কেন্দ্রের তরফ থেকে এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রশ্ন উঠেছে। হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুকেরই একটি অংশ যেখানে হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম সমস্ত একই সংস্থার অংশীদার। সেখানে তৃতীয় কোনো সংস্থার প্রশ্ন আসছে কেন? কেন্দ্র এই প্রশ্নের উত্তরে জানায় কোনো ব্যবহারকারী যখন সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ এর সাথে যুক্ত সেখানে তিনি শুধুমাত্র সেই অ্যাপ্লিকেশনটির সাথে চুক্তিবদ্ধ। সুতরাং হোয়াটসঅ্যাপ বাদে বাকি যে কোন সংস্থা সেটি ফেসবুকই হোক বা ইনস্টাগ্রাম, সে ক্ষেত্রে থার্ড পার্টি অর্থাৎ তৃতীয় সংস্থা হিসেবে গণ্য হবে।

কেন্দ্রের এই দাবি নিয়ে আগামী ২০ এপ্রিল দিল্লির হাইকোর্টে শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে। পরবর্তী শুনানির পরই জানা যাবে কেন্দ্র হোয়াটসঅ্যাপে প্রাইভেসি নীতি মেনে নেবে নাকি হোয়াটসঅ্যাপ তাদের প্রাইভেসি নীতিতে আবারো কোন পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

মন্তব্য করুন