ভারতের এই ট্রেনে দিতে হয় না ভাড়া, ফ্রিতে যাতায়াত করা যায়, কোথায়?

একজন ভারতের নাগরিক হয়ে আপনি ট্রেনে যাতায়াত করেননি সেটা সম্ভব না। আমরা প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত কোন না কোন কারণে ট্রেনকে যাতায়াতের মাধ্যম রূপে ব্যবহার করে থাকি। এর প্রধান কারণ অবশ্যই ট্রেনের কম ভাড়া, কম হলেও ট্রেনের ভাড়া আমাদের দিতে হয় টিকিটের মাধ্যমে।

কিন্তু ভারতের এমন এক জায়গার ট্রেন যেখানে সেখানকার জনগণকে ট্রেনে ওঠার জন্য কোন পয়সার চিন্তা করতে হয় না। বিগত ৭৩ বছর ধরে সেখানকার যাত্রীরা ট্রেনে বিনামূল্যে যাতায়াত করে। এই ট্রেনটি হিমাচল প্রদেশ ও পাঞ্জাব রাজ্য সীমান্তে চলাচল করে। নাঙ্গল এবং ভাখার স্টেশনের মাঝে ট্রেনটি চলাচল করে।

বিনামূল্যে ট্রেন চলার কারণ কি?

ভাকরা রেলওয়ের অন্তর্গত এই ট্রেন কেন বিনামূল্যে চালানো হয় তার স্পষ্ট তো উত্তর না পাওয়া গেলেও, এর পেছনে একটি ইতিহাস রয়েছে। ভাকরা-নাঙ্গল ড্যাম তৈরি করার সময় একটি রেল লাইনের খুব প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কারণ এই দুই স্টেশনের মাঝে যাতায়াতের কোন মাধ্যম ছিল না। সেই কারণে জনগণের সুবিধার্থে এই ট্রেন চালু করা হয়। বলা হয়ে থাকে ১৯৪৮ সালে ভাকরা ও নাঙ্গল এর মাঝে প্রথম স্টিম ইঞ্জিন চালিত ট্রেন চালানো হতো।

আরো পড়ুন- ট্রেনের কামরায় রং সবুজ, লাল, নীল হওয়ার রহস্য কি জানেন?

এরপর আমেরিকা থেকে লোকোমোটিভ আমদানি করে ট্রেন চালু করা হয়, আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে সেই লোকোমোটিভ ইঞ্জিন এখনো ওই স্টেশনের মধ্যে চলছে। ট্রেনের বসার আসন গুলি আপনাকে ইতিহাসে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে ও ঐতিহাসিক অনুভূতি দেবে। এই ট্রেনটিতে প্রচুর জ্বালানি খরচ হলেও রেলওয়ে ম্যানেজমেন্ট বোর্ড এখনো ট্রেনটিকে চালু রেখেছে। পূর্বে ১০ বগির ট্রেন থাকলেও বর্তমানে তিনটি বগি নিয়ে ট্রেনটি চলে। তবে রেলওয়ে বোর্ড ভাড়ার চেয়ে বেশি ভারতীয় রেলের ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার কে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।

“ভারতের এই ট্রেনে দিতে হয় না ভাড়া, ফ্রিতে যাতায়াত করা যায়, কোথায়?”-এ 1-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন