প্রবল বৃষ্টি অথবা তীব্র ভূমিকম্প, পৃথিবীতে ভূমিধস বা মাটিতে ফাটল ধরা খুবই স্বাভাবিক, বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চল গুলিতে। কিন্তু পৃথিবীর প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলের মাটিতে ফাটল! ঘটনাটি বেশ আশ্চর্যজনক। তবে এই আশ্চর্যজনক ঘটনারই সাক্ষী হলেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ইউরোপীয় অরবিটারের পাঠানো একটি ছবি দেখে বিজ্ঞানীরা সকলেই হতবাক। লালগ্রহের মাটির উপর অন্তত ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাটল চোখে পড়েছে তাদের। যা দেখে বিজ্ঞানীদের অনুমান সৌরজগতের প্রায় প্রতিটি গ্রহেই হয়তো এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে থাকে।
মঙ্গল গ্রহের পর্যবেক্ষণের জন্য একটি অরবিটার পাঠানো হয়েছিল ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ESA) এর তরফ থেকে। তাদের অরবিটারের তোলা ছবি বিশ্লেষণ করেই ভূমিধসের চিহ্ন নজরে আসে বিজ্ঞানীদের। মঙ্গল গ্রহের যে অংশে অধিক পরিমাণে তরল রয়েছে সেখানেই ভূমিধসের প্রবণতা বেশি। তাছাড়াও মঙ্গল গ্রহে থাকা একটি আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি অংশেও ভূমিধস চোখে পড়েছে বিজ্ঞানীদের। তাদের দাবি অতিরিক্ত লাভার কারণে লাল গ্রহের জমিতে ফাটল ধরেছে।
আরো পড়ুন-মহাকাশে পিৎজা পার্টি! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল ভিডিও
ছবিটি আরো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন এই ঘটনা একদিনে ঘটার নয় বেশ কয়েক হাজার বছর ধরে মঙ্গলের ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটে চলেছে। তবে নির্দিষ্ট করে সেই সময়টা বলা বিজ্ঞানীদের পক্ষে অসম্ভব। এই ধরনের ভূমিধস কে ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া বলে মনে করছেন তারা। বিশ্লেষকেরা আরো জানান যে ধরনের ছবিগুলি অরবিটার থেকে প্রাপ্ত হয়েছে সেই ছবিগুলির বেশিরভাগই পৃথিবীতে হওয়া কোন এলাকার মতোই দেখতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মঙ্গল গ্রহকে পরিদর্শন করা শুরু হয় ২০১৬ সাল থেকে। ‘ট্রেস গ্যাস অর্বিটার‘ লঞ্চ করা হয় ওই বছরেই। অভিযানটি চালানো হয় ২০১৮ সাল পর্যন্ত। অরবিটার থেকে প্রাপ্ত ছবিগুলিই বিশ্লেষণ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে এই ছবি গুলিই বিজ্ঞানীদের সাহায্য করেছে প্রতিবেশী গ্রহকে আরো নিখুঁত ভাবে জানতে।
[…] […]