মহাকাশে রহস্যময় বস্তুর হদিস! গতিবেগ ঘন্টায় ৮ লক্ষ কিলোমিটার

মহাকাশ সর্বদাই রহস্যে ঘেরা। বিজ্ঞানীরা মাঝেমধ্যেই আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে এমন অনেক রহস্যময় বস্তু আবিষ্কার করে থাকেন। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি মহাকাশে একটি নতুন বস্তুর আবিষ্কার করেন। এই বস্তুটির নাম দেওয়া হয়েছে বাদামী বামন। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে ঘুরে বেড়ানো এই বস্তুটি তীব্র গতি সম্পন্ন। বিজ্ঞানীদের দাবি এই বাদামি বামনের গতিবেগ ৮ লক্ষ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।

আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি অর্থাৎ আকাশগঙ্গায় নজরে আসে নতুন এই বাদামি বামন গ্রহের। এটির নাম রাখা হয়েছে ‘দ্যা অ্যাক্সিডেন্ট‘। দা অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স নামের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণা পত্র অনুযায়ী এই খবর সামনে এসেছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন আজ পর্যন্ত যতগুলি বাদামী বামন গ্রহ তারা পেয়েছেন তার মধ্যে দ্যা অ্যাক্সিডেন্টের গতি সবচেয়ে বেশি। পৃথিবী থেকে এই বাদামী বামন গ্রহের অবস্থান ৫০ আলোকবর্ষ দূরে। একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী এ বিষয়ে বলেন প্রাচীন বাদামি বামনের অনুসন্ধান মেলা খুব একটা কঠিন কাজ নয়, তবে পৃথিবীর এত কাছে এই ধরনের বাদামী বামন গ্রহের অবস্থান খুঁজে পাওয়া খুবই দুর্লভ।

আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ছাড়াও অগুনিত গ্যালাক্সি রয়েছে মহাশূন্যে। তাদের মাঝেই এখনো পর্যন্ত মোট ৫০ টি এমন বাদামি বামনের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এদের বৈশিষ্ট্য কিছুটা নক্ষত্রের মতো, তবে এদের ভর নক্ষত্র থেকে অনেকটাই কম। যে কারণে এদের ভিতর নিউক্লিয়ার ফিউশন হয় না। এই বাদামী বামন গ্রহ বৃহস্পতি গ্রহের থেকে বড় ও ছোট আকারের নক্ষত্রের চেয়ে ছোট আকারের হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন-মঙ্গলগ্রহের মাটিতে ৫ কিমি দীর্ঘ ফাটল! ধরা পড়ল আশ্চর্য ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা জানিয়েছে এখনো পর্যন্ত যতগুলো বাদামী বামন গ্রহ আবিষ্কার হয়েছে তার বেশিরভাগই কোনো-না-কোনো বাইনারী সিস্টেমের অন্তর্গত। বাইনারী সিস্টেমে দুটি নক্ষত্র একে অপরকে প্রদক্ষিণ করে আর সেখানেই দেখা মেলে এই ধরনের বাদামি বামনের। তবে এই বাদামি বামনের উৎপত্তি কোথা থেকে এবং কিভাবেই বা মহাকাশে তারা এভাবে ঘুরে বেড়ায় সেই নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আশা করছেন নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ মহাকাশে পাঠানোর পর এই ধরনের বামন গ্রহ সম্পর্কে আরো বিশদে জানা সম্ভব হবে।

“মহাকাশে রহস্যময় বস্তুর হদিস! গতিবেগ ঘন্টায় ৮ লক্ষ কিলোমিটার”-এ 1-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন