কয়েকটি সৌভাগ্য সূচক পাখি। বিশ্বের এমন কিছু পাখি যেগুলি সৌভাগ্যের প্রতীক

সৌভাগ্য সূচক পাখি: পুরো বিশ্বে বহু প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কোন ভাল-মন্দ বোঝাতে পাখির প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করেছে। নানা দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে কিছু পাখিকে খারাপ ভাগ্যের সূচক ধরা হয়। আবার কিছু পাখিকে সৌভাগ্যসূচক হিসেবে ধরা হয়। পাখিকে অনেক ক্ষেত্রেই মানবজীবনের প্রতিনিধিত্বকারী শক্তি হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। মনে করা হতো পাখিরাই স্বর্গের সঙ্গে পৃথিবীর মানব জীবনকে জুড়ে রাখে। পাখিদের নিয়ে নানা সংস্কৃতির নানা মত প্রচলিত আছে।

প্রাচীনকালের মতো আজও কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষ বিশ্বাস করে তাদের সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যের পেছনে কোন পাখির আগমন এর প্রভাব আছে। যেমন মনে করা হয় কথাও সোনা কুড়িয়ে পাওয়ার একটা শুভ ফল আছে এটাও ঠিক তেমনি। পাখিদেরকে প্রাচীনকাল থেকেই স্বর্গের দূত হিসাবে মনে করা হতো। এমন কিছু পাখি আছে যারা আপনার আশেপাশে ডাকলে বা যদি আপনি তাদের স্বপ্নে দেখেন সেই ক্ষেত্রে শারীরিক অসুস্থতা, হতাশা, দুর্দশা, আর্থিক ক্ষতি ও মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে এমনই মনে করে অনেকে। ঠিক তেমনি এর বিপরীত কিছু পাখি রয়েছে যদি আপনি তাদের আগমন দেখেন অথবা তাদের ডাক শুনে থাকেন সেই ক্ষেত্রে আপনার ভালো সময় আসে মনে করা হয়।

এই সমস্ত পাখিগুলি বাস্তবে দেখা পেলে বা স্বপ্নে দেখা দিলে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি, কর্মে উন্নতি বয়ে নিয়ে আসে। মানুষের জীবন সবসময় একরকম চলে না সময়ের সাথে সাথে তার পরিবর্তন ঘটে। তাই বিদ্যজন মনে করেন যে এই সমস্ত খারাপ ভালো সময়ের আভাস দিতে পাখিরা আপনার স্বপ্ন বা বাস্তবে দেখা দেয়। সারা বিশ্বে হাজার হাজার প্রজাতির পাখি রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি পাখির ব্যাপারে আলোচনা করা হলো যারা সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। 

আরও পড়ুন – পরিযায়ি পাখি, যেগুলি কেবল গ্রীষ্মকালেই ভারতে দেখা যায়

কয়েকটি সৌভাগ্য সূচক পাখি

কার্ডিনাল – কার্ডিনাল একটি লাল রঙের পাখি। এর সারা দেহ এবং ঠোট লাল রঙের হয়। শুধুমাত্র এদের মুখের সামনে কিছুটা অংশ কালো রঙের পালক ঢাকা থাকে। আনুগত্য এবং বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে ধরা হয় পাখিগুলোকে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা এই পাখির পালক কে যিশুখ্রিস্টের রক্তের প্রতীক হিসাবে ধরে। পাখিগুলি দেখতে বেশ সুন্দর হয়। 

ফ্লেমিঙ্গো – গোলাপি বর্ণের এই ফ্লেমিঙ্গো দেখতে বেশ চমকপ্রদ হয়। এরা বেশ উজ্জ্বল রঙের হয়ে থাকে। এদেরকে সৌন্দর্য এবং ভারসাম্যের প্রতীক মনে করা হয়। মনে করা হয় যদি এই ফ্লেমিঙ্গো স্বপ্নে দেখা দেয় তাহলে তা পুরনো অনুভূতির বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে জীবনকে নতুন করে উপভোগ্য করে তোলে। 

হামিংবার্ড – ওজনে যেমন কম তেমনি তার দেহ লম্বায় মাত্র পাঁচ সেন্টিমিটার। পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট প্রজাতির পাখি হলো এই হামিংবার্ড। এরা খুব দ্রুতগতিতে উড়তে পারে। সাধারণত তারা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে খায়। আমেরিকানরা এই পাখিটিকে প্রেম এবং সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করে।

ময়ূর – পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখি গুলোর মধ্যে অন্যতম সুন্দর পাখি হলো ময়ূর। ময়ূর পেখম মেলে থাকে এবং তারা দেখতে বেশি সুন্দর হয়। অনেকে ময়ূরের পালক বাড়িতে রাখে মনে করে এতে বাড়ির ভালো হয়। ময়ূর সমৃদ্ধি এবং রাজকীয় প্রতীক ধরা হয়। 

ঈগল – বিশ্বের কয়েকটি দেশের জাতীয় পতাকায় স্থান পেয়েছে ঈগল। এটি দারুন শিকারি পাখি। শক্তি, সাহস, সমৃদ্ধি, এবং বিজয়ের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। আমেরিকাসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই ঈগলকে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করা হয় এবং শ্রদ্ধা করা হয়। 

পেঁচা – পেঁচা একটি মাংসাশী এবং শিকারি পাখি। তারা নিশাচর হয়। কেউ কেউ এই পাখিগুলি কে অশুভ বললেও অনেক সংস্কৃতিতে তাদের শুভ ফল প্রদায়ী এবং সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়। স্বপ্নে বা বাস্তবে তাদের দেখা পেলে জীবনে সুখ সমৃদ্ধি আসে এমনটা মানা হয়। 

“কয়েকটি সৌভাগ্য সূচক পাখি। বিশ্বের এমন কিছু পাখি যেগুলি সৌভাগ্যের প্রতীক”-এ 1-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন