ফের পৃথিবীর কান ঘেঁষে বেরোবে আইফেল টাওয়ারের সমান লম্বা গ্রহাণু

মাঝেমধ্যেই শোনা যায় কত ছোট বড় গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। তবে যদি কখনো পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার বদলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ঢুকে পড়ে তখন কোন কিছুই আর পৃথিবী কে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না। যে কারণে এগুলি নিয়ে বিজ্ঞানীরা সর্বদাই চিন্তিত থাকেন। বিজ্ঞানীদের এই চিন্তাকেই পুনরায় বাড়িয়ে দিয়েছে আরও এক গ্রহাণু, যার আকার আইফেল টাওয়ারের সমান। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এটি যে একবার এসেই চলে যাবে তা কিন্তু একেবারেই নয়। ২০২৯ সালে, অর্থাৎ ৮ বছর পর পুনরায় এটি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে।

পৃথিবীর কান ঘেঁষে বেরোবে আইফেল টাওয়ারের সমান লম্বা গ্রহাণু অ্যাপোফিস

পৃথিবীর চারপাশে থাকা প্রতিটি নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুর উপর অন্যতম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা সর্বদাই পর্যবেক্ষণ করে চলেছে। যে কারণে এই সমস্ত গ্রহাণুর পূর্বাভাস অনেক আগেই জানতে পারে নাসা। তাদের তরফ থেকে জানানো হয় এই গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের ৪০ গুণ দূর দিয়ে সৌরমণ্ডলের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যাবে। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩ লক্ষ কিলোমিটার অর্থাৎ ১ কোটি ২০ লক্ষ কিমির ও বেশি দূর দিয়ে এটি পৃথিবী কে অতিক্রম করবে।

আরো পড়ুন – মঙ্গল গ্রহে PERSEVERANCE ROVER-এর অত্যাশ্চর্য ছবি তুলল ESA

এই গ্রহাণুটির নাম ‘অ্যাপোফিস‘, যার প্রথম আবিষ্কার হয় ২০০৪ সাল নাগাদ। পৃথিবীর এত কাছে গ্রহাণুটি পুনরায় ২০২৯ সালের ১৩ই এপ্রিল আসবে এবং এর অবস্থান হবে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা কৃত্রিম উপগ্রহ গুলির কক্ষপথে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা কৃত্রিম উপগ্রহগুলির কোন একটির সাথে যদি গ্রহাণুটির ধাক্কা লাগে তবে ঘটতে পারে ভীষণ বিপদ। এমনকি ধাক্কার ফলে গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি এমনটা ঘটে তবে পৃথিবীর বুকে মহাবিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এর আগে এমনই গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কারনেই বহু প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটেছে।

নাসার তরফ থেকে আরো জানানো হয়, এই গ্রহাণুটির আয়তন ১১২০ ফুট (৩৪০ মিটার) যা সম্পূর্ণ লোহা ও নিকেল দ্বারা তৈরি। এই গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাওয়াকে নিরীক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পারবেন আগামী ২০২৯ সালে এটি কতটা পাশ দিয়ে যাবে পৃথিবীর, সাথেই এটির গতিবেগ সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব হবে। বিজ্ঞানীরা জানান এই গ্রহাণুকে খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। এদিকে দেখার জন্য প্রয়োজন উচ্চপ্রযুক্তির টেলিস্কোপ। নাসার গবেষকরা এটির গতিবিধির ওপর নজর রেখেছে ক্যালিফোর্নিয়াপশ্চিম ভার্জিনিয়াতে থাকা দুটি উচ্চপ্রযুক্তি টেলিস্কোপ দিয়ে, যাতে তারা আগামী দিনে এটি থেকে কোন বিপদের সংকেত আছে কিনা তা নির্ণয় করতে পারেন।

“ফের পৃথিবীর কান ঘেঁষে বেরোবে আইফেল টাওয়ারের সমান লম্বা গ্রহাণু”-এ 1-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন