নতুন আরো একটি ‘এক্সোপ্ল্যানেট’ আবিষ্কার করলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, আয়তনে পৃথিবীর তিনগুণ

পৃথিবীর বাইরে যে অনন্ত মহাকাশ তা নিয়ে গবেষণা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। মহাকাশের রহস্য উদঘাটনে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে মহাকাশে অন্য কোন পৃথিবীর মতোই গ্রহ এবং সেই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা সেটাই প্রধান লক্ষ্য তাদের। আর সেই সন্ধান করতে করতেই বিজ্ঞানীদের হাতে এসেছে নতুন একটি ‘এক্সোপ্ল্যানেট’। বিজ্ঞানীরা বলছেন নতুন এই গ্রহে রয়েছে সুস্পষ্ট বায়ুমণ্ডল। এছাড়াও এমন কিছু বৈশিষ্ট্য বিজ্ঞানীরা গ্রহটিতে লক্ষ করেছেন যা তাদের আকৃষ্ট করছে গ্রহটির প্রতি।

বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত নতুন গ্রহ টির নাম Planet TOI-1231 b। এই গ্রহটির অবস্থান পৃথিবী থেকে প্রায় ৯০ আলোকবর্ষ দূরে। একটি বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করা এই নতুন গ্রহটি কিছুটা নেপচুনের মত। এছাড়া এখানে রয়েছে একটি Gaseous World

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন, নতুন এই গ্রহের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের প্রায় সাড়ে তিন গুণ বেশি। এছাড়াও নতুন এই এক্সোপ্লানেট এর উষ্ণতা পৃথিবীর থেকে ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আমেরিকার অন্যতম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) একটি বিবৃতিতে জানায় মহাকাশে এখনো পর্যন্ত যতগুলি এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করা হয়েছে তার মধ্যে এই এক্সোপ্ল্যানেটটি সবচেয়ে শীতল।

মহাকাশের এই গ্রহ আবিষ্কার করেছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল, যে দল পরিচালনা করেছিলেন জেনিফার বার্ট। তিনি জানান এই এক্সোপলানেট Planet TOI-1231 b তার নিজস্ব নক্ষত্র কে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ২৪ দিন আর এই প্রদক্ষিণকালে বিজ্ঞানীদের নজরে আসে গ্রহটি। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্যটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন সেটি হল এই গ্রহ আকার এবং আয়তনের দিক থেকে বসবাসযোগ্য।

আরো পড়ুন-চিনের স্পেস স্টেশনের বাইরে স্পেসওয়াক করলেন চিনের দুই নভশ্চর

গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রার সঠিক পরিমাণটি এখনো জানা সম্ভব হয়নি এবং গ্রহটি আদৌ বসবাসযোগ্য কিনা তা বোঝার জন্য বারকোড জাতীয় রিডিং নেওয়ার চেষ্টা করবেন বিজ্ঞানীরা। আর সেখান থেকেই বোঝা সম্ভব হবে আগামী দিনের মানুষ এই গ্রহটিতে বসবাস করতে পারবে কিনা। বিজ্ঞানীদের ধারণা নতুন এই গ্রহটিতে প্রাণের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।

“নতুন আরো একটি ‘এক্সোপ্ল্যানেট’ আবিষ্কার করলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, আয়তনে পৃথিবীর তিনগুণ”-এ 1-টি মন্তব্য

Leave a Reply