১৮৮৬ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় কোকা-কোলা কোম্পানির শুরুর ইতিহাস

কোকা-কোলা কোম্পানির শুরুর ইতিহাস

কোকা-কোলা কোম্পানির শুরুর ইতিহাস: কোকা-কোলার বর্তমানে সদর দফতরটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা,জর্জিয়ায়। বর্তমানে ঠান্ডা পানীয় প্রস্তুতকারক ১ নাম্বার কোম্পানি।

কোকা-কোলা কোম্পানির শুরুর ইতিহাস

আমেরিকায় একজন ফার্মাসিস্ট ১৮৮৬ সালে যার নাম জন স্টিথ পেমবাটন কোকা-কোলার পানীয় প্রথমবার আবিষ্কার করে। আপনি জানলে অবাক হবেন কোকা-কোলা সবার প্রথমে একটি মাথা ব্যাথার উপশম হিসাবে লোকে ব্যবহার করতো। প্রতিদিন এর বোতল প্রায় ৯টা করে বিক্রি হতো কিন্তু জন স্টিথ কাজ বন্ধ করেননি।

এখানে একটা কথা জানা দরকার সেই সময় আমেরিকায় গৃহযুদ্ধের পর জন স্টিথ যথেষ্ট জখম হয়েছিলেন এবং অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি তার এই অবসাদ কাটাতে মরফিন নামক একটি ড্রাগ সেবন করতে শুরু করেন। নেশাগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে দেখে নিজেই এই নেশার থেকে বার হওয়ার উপায় খুঁজতে গিয়ে এই পানীয় প্রথমবার আবিস্কার করে। তখন তিনি এই পানীয়টির নাম দেন “পেমবাটন ফ্রেঞ্চ ওয়াইন কোলা”। এই নামটি দেয়ার কারণ ছিল পানীয়টির মধ্যে কোকাবার পাতা, কোলা বাদাম ও সামান্য পরিমাণ ওয়াইন ছিল।

এরপর তিনি স্থানীয় একটি খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেন এবং তিনি সফল হয়েছিলেন এতে। কিন্তু ১ বছর পর ১৮৮৮ সালে ৫৭ বছর বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জন স্টিথ পেমবাটন মারা যান।

আরও পড়ুন- স্ট্যাচু অফ লিবার্টি নির্মাণের ইতিহাস। কিভাবে আমেরিকায় গড়ে উঠলো এই মূর্তি

এরপর “আসা জি” নামক এক আমেরিকান ব্যবসায়ী ১৮৮৯ সালে প্রেম বাটনের উত্তরাধিকারীর কাছ থেকে কোকা-কোলার সূত্র ও কোম্পানির নামটি কিনে নেয়।১৮৯২ সালে ২৯ শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আটলান্টায় কোকা-কোলা কোম্পানির স্থাপন করা হয় এবং ১৮৯৫ সালে আমেরিকার সমস্ত রাজ্যের পানীয় বিক্রি হতে শুরু করে।

১৯১৯ সালে কোম্পানিটি পুনরায় জর্জিয়ার “আর্নেস্ট উডরুফ” কোম্পানির কাছে বিক্রি হয়ে যায়। কোম্পানি শুরুর পর বহুবার বিক্রি হওয়ার পরও কোকা-কোলা তার নিজের ব্যান্ডিং বজায় রেখেছে।

বর্তমানে কোকা-কোলা কোম্পানি বিশ্বের ২০০ টি দেশে নিজেদের ৫০০ টি পণ্য বিক্রি করে আসছে। কোম্পানিটি তাদের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষের মনে নিজেদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। সেই কারণেই শীতল পানীয় বলতে আমরা এক কথায় কোকা-কোলাকেই বুঝি। 

কোকা-কোলা কোম্পানির ক্ষতিকারক দিক

সারাবিশ্বে কোম্পানিটির পণ্য এত পরিমাণে বিক্রি হয় যে এই কোম্পানিটি প্রতিবছর ১১০ বিলিয়ন প্লাস্টিকের বোতল তৈরি করে এবং প্রায় ৩ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য উৎপাদন করে। যা পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক।

Previous articleপৃথিবীর বুকে এক অদ্ভুত হোটেল; যা রহস্য রোমাঞ্চের সম্ভার
Next articleISC Full Form in Bengali
আমরা Extra Gyaan এর সদস্যরা পেশাগতভাবে ব্লগিং এর সঙ্গে যুক্ত। আমরা ইন্টারনেট, প্রযুক্তি, নাসা, মহাকাশের বিভিন্ন তথ্য, শিক্ষাগত দিক ও খেলাধুলার বিষয়ে নিবন্ধ লিখে থাকি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায়। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষায় আপনাদের সামনে সেরা তথ্য তুলে ধরা।

Leave a Reply