‘Bernardinelli-Bernstein’ এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় ধুমকেতু, ধেয়ে আসছে সৌরমণ্ডলে

'Bernardinelli-Bernstein' এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় ধুমকেতু, ধেয়ে আসছে সৌরমণ্ডলে

সম্প্রতি নতুন এক মহাজাগতিক বিপদ সম্পর্কে মানব জাতিকে সতর্ক করল বিজ্ঞানীরা। দৈত্যাকার ধুমকেতু ধেয়ে আসছে সৌরমণ্ডলের দিকে। বিজ্ঞানীদের মতে এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত ধুমকেতু গুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় ধুমকেতু এটিই। এই ধুমকেতুটির নাম ‘Bernardinelli-Bernstein‘। ধূমকেতুটির আবিষ্কার হয় চলতি বছরের শুরুর দিকে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন আগামী দশ বছরের মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে কাছে পৌঁছাবে এই দৈত্যাকার ধূমকেতুটি। বর্তমানে এই ধূমকেতুর অবস্থান অনেকটা দূরে হলেও আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এটি ইউরেনাস এবং স্যাটার্ন এর মধ্যবর্তী অরবিট দিয়ে ধেয়ে আসবে সৌরমণ্ডলে।

বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন এই ধূমকেতুটি লম্বায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল)। এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত সাধারণ ধূমকেতুর তুলনায় এটির আয়তন প্রায় ১০০০ গুণ। চলতি বছরের জুন মাসের প্রথমেই ধূমকেতুর আবিষ্কার করেন তারা, যদিও প্রথম পর্যায় একটি বামন গ্রহ হিসেবে এটিকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে তারা জানতে পারেন এটি কোন বামন গ্রহ নয় বরং বিশাল আকৃতির এক ধুমকেতু। ধুমকেতু আবিষ্কারক Pedro Bernardinelli এবং Gary Bernstein এর নামানুসারেই ধূমকেতুর নামকরণ করা হয়।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন বর্তমানে এই ধূমকেতুর অবস্থান Oort-Cloud-এ। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ২৯ গুণ দূরত্ব এটি। তবে আগামী ২০৩১ সালের মধ্যে এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে আসবে। ওই বছরেই পৃথিবী থেকে ধূমকেতুর দূরত্ব থাকবে মাত্র ১০.৯৭ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট। এরপূর্বে ৩.৫ মিলিয়ন বছর আগে ধুমকেতুটি প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছিল। সেই সময় সূর্য থেকে এই ধুমকেতুর দূরত্ব ছিল ১৮ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন সুবিশাল গতিপথ দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাচ্ছেন তারা যে কারণে এর গতিবিধি স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাওয়া যাবে।

আরো পড়ুন-উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে পৃথিবী, জেনে নিন বিজ্ঞানীদের মতামত

১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ধুমকেতু আগে কখনো পর্যবেক্ষণের সুযোগ হয়নি মানবজাতির কাছে। এত বড় ধুমকেতু প্রত্যক্ষ করা এক আশ্চর্য ঘটনা। ধূমকেতুর আবিষ্কার করা হয়েছিল ডার্ক এনার্জি সার্ভে প্রজেক্ট এর মাধ্যমে। যে প্রজেক্ট এর মূল লক্ষ্য ছিল ব্রহ্মান্ডে বিস্তার এবং ব্রহ্মান্ডে ঘুরে বেড়ানো অজানা বস্তু খুঁজে বার করা।

Previous articleউজ্জ্বলতা হারাচ্ছে পৃথিবী, জেনে নিন বিজ্ঞানীদের মতামত
Next articleমঙ্গলযানের নতুন আবিষ্কার, লাল গ্রহে জলের ধারা বয়ে যেত কোন এক সময়
আমরা Extra Gyaan এর সদস্যরা পেশাগতভাবে ব্লগিং এর সঙ্গে যুক্ত। আমরা ইন্টারনেট, প্রযুক্তি, নাসা, মহাকাশের বিভিন্ন তথ্য, শিক্ষাগত দিক ও খেলাধুলার বিষয়ে নিবন্ধ লিখে থাকি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায়। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষায় আপনাদের সামনে সেরা তথ্য তুলে ধরা।

1 COMMENT

Leave a Reply