মঙ্গলযানের নতুন আবিষ্কার, লাল গ্রহে জলের ধারা বয়ে যেত কোন এক সময়

পৃথিবীর প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলকে নিয়ে গবেষণা চলছে অনেকদিন থেকেই। পৃথিবীর পার্শ্ববর্তী এই গ্রহে জল এবং প্রাণের অস্তিত্ব কোন সময় ছিল কিনা সে বিষয়ে গবেষণা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা তাদের অন্যতম পারসিভেরান্স রোভার পাঠিয়েছিল। যে রোভার গত কয়েক মাস ধরে মঙ্গল গ্রহের অজানা তথ্য পাঠিয়ে চলেছে পৃথিবীতে। শুধু তাই নয় এই সমস্ত ছবি টুইটারে প্রতিনিয়ত শেয়ার করে চলেছে নাসা।

নাসা মঙ্গল গ্রহের অদেখা ছবি গুলির সাথে সেই ছবিগুলির বিশ্লেষণ এবং গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সম্প্রতি নতুন একটি ছবি থেকে বিজ্ঞানীরা কিছুটা আশার আলো দেখছেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে সমস্ত পাথরের ছবি তারা মঙ্গল গ্রহ থেকে সংগ্রহ করেছেন, সেই সমস্ত পাথরের উপর দিয়ে কোন এক সময় জল বয়ে যেত। তবে এখন তা শুকিয়ে গিয়েছে। পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা জলের দাগ এখনও স্পষ্ট।

বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী আজ থেকে প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন বছর আগে মঙ্গল গ্রহে জলের অস্তিত্ব ছিল। তবে সেই সময় থেকেই আবহাওয়ার ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে শুরু করে। লালগ্রহে ঘনঘন বান, ভূমিধস এর কারণে নদী গুলির গতিপথ পরিবর্তন হতে থাকে। তবে কালের নিয়মে তা বর্তমানে বিলুপ্ত। শক্ত এবং বড় বড় পাথর গুলি কোন এক সময় নদীতে বাঁধ এর কাজ করতো, তবে স্রোতের কারণে তা ভেঙে পড়ে। বিজ্ঞানীদের মতে লাল গ্রহ তরল এবং বিভিন্ন পদার্থের সম্পূর্ণ সাক্ষী রেখে গিয়েছে।

আরো পড়ুন-‘Bernardinelli-Bernstein’ এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় ধুমকেতু, ধেয়ে আসছে সৌরমণ্ডলে

প্রতিনিয়ত ঘটে চলে বিভিন্ন পরিবর্তনের ফলে মঙ্গল গ্রহ আজ এই চেহারা নিয়েছে। পারসিভেরান্স রোভার দ্বারা পৃথিবীতে নিয়ে আসা ছবিগুলি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে উপরে সমস্ত তথ্যই সঠিক বলে মনে হবে। তবে বর্তমানে অঞ্চলটি সম্পূর্ণ মরুভূমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। মঙ্গলের বিখ্যাত জেজের ক্রেটারে জলের অস্তিত্বের চিহ্ন স্পষ্ট। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন আগামী দিনে লালগ্রহ সম্পর্কে আরো নতুন তথ্য হাতে পাবেন তারা।

“মঙ্গলযানের নতুন আবিষ্কার, লাল গ্রহে জলের ধারা বয়ে যেত কোন এক সময়”-এ 1-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন