নাসাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মঙ্গলে প্রথম মানুষ পাঠানোর দাবি চিনের

আমেরিকার অন্যতম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) কে সমান তালে টেক্কা দিয়ে চলেছে চিন। নাসার মঙ্গল গ্রহের উপর অভিযান শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। আর লাল গ্রহের অভিযানে চিনও পিছ পা হচ্ছে না একেবারেই। কিছু দিন আগেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র একটি বিবৃতিতে জানায় আগামী ২০৩৩ সালেই মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাবেন তারা। আর এই অভিযানের তোড়জোড়ও শুরু করে দিয়েছে নাসা। তারা আরো জানায় মহাকাশবিজ্ঞানে বিপুল পরিবর্তন ঘটবে ২০৩০ সালেই।

এই মঙ্গল অভিযান নিয়েই নাসাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে চিন সরকার জানায়, আগামীতে তারা কেবল মঙ্গলে পা রাখাই নয়, সেখানে বসতি নির্মাণের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও করে ফেলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রীতিমত প্রতিযোগিতায় মাঠে নেমে পড়েছে চিনও।

চিনের প্রধান রকেট নির্মাতা ওয়াং জিয়াজুন রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা ও অনুসন্ধান সন্মেলনে জানান, চিন ২০৩৩, ২০৩৫, ২০৩৭, ২০৪১ সাল গুলিতে মঙ্গলে নভোশ্চর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরো জানান, এই ক্রু মিশন গুলি শুরুর আগে লাল গ্রহে বিভিন্ন জায়গায় পর্যবেক্ষণ চালাবেন তারা এবং রোবট পাঠাবেন মানুষের মঙ্গলের মাটিতে অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে। আর এই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই আগামী অভিযান এবং অভিযানের জন্য উপযুক্ত মহাকাশযান বানাবে চিন।

চিন সরকারের দাবি, তারা যদি মঙ্গলে কোনো প্রকার প্রাণের সন্ধান পান তাহলে সেখানে মানুষের বসবাসের জন্য উপযুক্ত বাসস্থান নির্মাণ করা হবে। লাল গ্রহের মাটি থেকে জল তোলা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, অক্সিজেন উৎপাদন করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও নির্মাণ করেছে চিন। ২০৩৩ সালে চিন মঙ্গলের মাটিতে যে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে তা একটি সম্পূর্ণ রাউন্ড ট্রিপ হবে। মঙ্গলের মাটিতে মানুষ পাঠানোর পর তাদের পুনরায় পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন।

আরো পড়ুন-এখনো সারানো সম্ভব হলো না নাসার হাবল টেলিস্কোপকে, গভীর চিন্তায় নাসা

তবে শুধু মঙ্গলেই থেমে নেই চিন। মহাকাশে সম্প্রতি তাদের স্পেস স্টেশনও পাঠানো হয়েছে। যেখানে সম্প্রতি ৩ জন নভোশ্চর পাঠিয়েছে চিন। এছাড়া চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে আন্তর্জাতিক বেস নির্মাণ, বৃহস্পতির কাছে রোবোটিক অভিযান করার কথাও ভাবছে চিন।

মন্তব্য করুন