রবিবার, নভেম্বর 26, 2023
Homeinternationalঅ্যাপেল পার্কের বর্ণনা| আইফোন এর প্রতিষ্ঠাতা, কোন দেশের তৈরি

অ্যাপেল পার্কের বর্ণনা| আইফোন এর প্রতিষ্ঠাতা, কোন দেশের তৈরি

এইযে নিবন্ধটি আজ আমি আপনাকে বলতে যাচ্ছি সেটা হল অ্যাপেল কোম্পানি সম্পর্কে। অ্যাপেল পার্কের বর্ণনা, অ্যাপেল কোন দেশের তৈরি ও এর প্রতিষ্ঠাতা কে, অ্যাপেল পার্কের cost

 অ্যাপেল একটি আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানি যারা আইফোন, আইপ্যাড, অ্যাপেল ঘড়ি, অ্যাপেল টিভি, mac পার্সোনাল কম্পিউটার ও ল্যাপটপ তৈরি করে।        

অ্যাপেল পার্কের বর্ণনা

অ্যাপেল পার্ক হল অ্যাপেল কোম্পানির সদর দপ্তর যা অ্যাপেল পার্ক নামে পরিচিত। এটি আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যাপেটিনো তে অবস্থিত। ২০১৩ সালে অ্যাপেল পার্কের নির্মাণকার্য শুরু হয় এবং ২০১৭ সালের মধ্যে অ্যাপেল এর সদরদপ্তর তৈরি সম্পন্ন হয়। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে অ্যাপেল পার্কের উদ্বোধন করা হয়।  

অ্যাপেল পার্ক এর cost

সম্পূর্ণ অ্যাপেল পার্কটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলার ও যে জমিতে নির্মিত হয়েছে তার মূল্য ১৬০ মিলিয়ন ডলার। অ্যাপেল পার্কের পরিধি প্রায় ১.৫ কিলোমিটার এবং সদরদপ্তরটির সম্পূর্ণ জায়গাটি অর্থাৎ অ্যাপেল এর গবেষণাগার ও পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র সহ মোট জমির পরিমাণ ৭৫ একর। অ্যাপেল পার্ক কে অ্যাপেল স্পেসশিপও বলা হয়। এর প্রধান কারণ হল কোম্পানির নকশা, আপনি যদি আকাশ থেকে কোম্পানিটিকে দেখেন তবে এটি একটি সম্পূর্ণ স্পেসশিপের মতো দেখতে লাগে। অন্যান্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি গুলির সদর দপ্তর কে পিছনে ফেলে স্টিভ জবস তার স্বপ্নের কোম্পানির হেডকোয়ার্টারের তৈরি করেছে।

এই অ্যাপেল পার্কটি তৈরি হওয়ার পূর্বে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অঞ্চল জুড়ে যে স্থাপত্য বা কোন দপ্তর ছিল তা হলো পেন্টাগন নামে একটি ভবন যা আমেরিকাতেই অবস্থিত। অ্যাপেল পার্ক তৈরি হবার পর এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় অঞ্চলজুড়ে বিল্ডিং তৈরি করেছে।   অ্যাপেল পার্কটি সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক শক্তিতে পরিচালিত হয়। অ্যাপেল ভবনের পরিধি বরাবর কোম্পানির ছাদে সম্পূর্ন সোলার প্যানেলে পরিপূর্ণ। সৌর শক্তির প্রভাবে বিল্ডিং এর ৭৫% বৈদ্যুতিক শক্তির চাহিদা মেটানো হয় এবং বাদবাকি ২৫% প্রাকৃতিক গ্যাস দ্বারা পরিপূর্ণ করা হয়। অ্যাপেল পার্কে বাইরে থেকে কোনপ্রকার বৈদ্যুতিক শক্তির সংযোগ করা হয়নি। বাস্তুতন্ত্র কে মান্যতা দিয়ে এই ভবনটি তৈরি করা হয়েছে।

অ্যাপেল পার্কের বর্ণনা – অ্যাপেল পার্ক

এত বড় ভবনে কোন প্রকারের এসি মেশিন এর দরকার হয়না। কোম্পানির ভেতরে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা এমন ভাবে করা হয়েছে যাতে কোম্পানির কোনো কর্মীর কোন প্রকারের গরম অনুভুতি না হয়। এছাড়া কোম্পানির ভেতরে এবং বাইরে আদ্রতার দিকে নজর রেখে বহু গাছপালা লাগানো হয়েছে। গাছ গুলির মধ্যে বেশিরভাগই আপেল এবং জাম গাছ রয়েছে। এর ফলে বছরের ৯ মাস কোম্পানিতে এসি চালানোর প্রয়োজন হয় না। এখানকার ইকোসিস্টেম কোম্পানির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।   অ্যাপেলের হেডকোয়ার্টারে মোট ১২ হাজার কর্মীর কাজ করে। এই অ্যাপেল পার্কের কর্মীদের আরাম-বিনোদনের জন্য দুটি বাস্কেটবল মাঠ, একটি কফিসপ যেখানে ৩ হাজার লোক একসাথে বসে কফি খেতে পারবে, খাওয়া দাওয়ার জন্য একটি বিশাল বড় ক্যান্টিন যেখানে ১৫ হাজার লোক একসাথে বসতে পারে ও একটি ১ হাজার আসন বিশিষ্ট প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। 

প্রধান ভবনটি ছাড়া দুটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে। একটি দর্শনার্থী কেন্দ্র রয়েছে এই দর্শনার্থী কেন্দ্র একটিমাত্র জায়গা যেখানে সাধারন মানুষ প্রবেশ করতে পারে। এখানে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপেলের সংগ্ৰহশালা রয়েছে, যেখানে অ্যাপেলের বিভিন্ন নতুন পণ্য গুলিকে রাখা হয়। এছাড়া পার্কিং কেন্দ্র ও কফিসপ রয়েছে দর্শকদের জন্য

- Advertisement -
Suvadwip
Suvadwiphttps://extragyaan.com
আমরা Extra Gyaan এর সদস্যরা পেশাগতভাবে ব্লগিং এর সঙ্গে যুক্ত। আমরা ইন্টারনেট, প্রযুক্তি, নাসা, মহাকাশের বিভিন্ন তথ্য, শিক্ষাগত দিক ও খেলাধুলার বিষয়ে নিবন্ধ লিখে থাকি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায়। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষায় আপনাদের সামনে সেরা তথ্য তুলে ধরা।
RELATED ARTICLES

Leave a Reply

Most Popular