ট্রেনের কামরায় রং সবুজ, লাল, নীল হওয়ার রহস্য কি জানেন?

আমরা ভারতে বসবাসকরী একজন ভারতবাসী রূপে ট্রেনে চলাচল করাটা আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের মধ্যে পড়ে। নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত প্রত্যেক মানুষই যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম রূপে ভারতীয় রেল কেই পছন্দ করেন। এর প্রধান কারণ অবশ্য ট্রেনের ভাড়া কিন্তু লোকাল ট্রেন হোক বা দূরপাল্লা এক্সপ্রেস অবশ্যই লক্ষ্য করে দেখেছেন ট্রেনের বগির রং ভিন্ন ভিন্ন হয়।

কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন ট্রেনের কামরায় রং ভিন্ন হওয়ার পেছনে কারনটা কি? আমরা বেশিরভাগ ট্রেনের রং নীল দেখতে পাই, এছাড়া লাল ও সবুজ রঙের ট্রেনও আমাদের চোখে পড়েছে। রং ভিন্ন হওয়ার পেছনে বলতে পারেন ট্রেনের মাপকাঠি বিচার করা হয়।

ট্রেনের কামরা নীল হওয়ার কারণ-

যেমন ট্রেনের কামরায় রং যদি নীল থাকে তবে সেটিকে রেলের ভাষায় ইন্টিগ্রেট কোচ বলা হয়। এই ট্রেনগুলি বেশিরভাগই লোহার তৈরি এবং এয়ার ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। ভারতে বেশিরভাগ মেল ট্রেনের ক্ষেত্রে এই বগি গুলি ব্যবহৃত হয়। এই সমস্ত ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। চেন্নাইতে ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি তে এই বগি গুলি তৈরি হয়। অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় এই বগি গুলি যথেষ্ট ভারী হয়। এই বগি গুলি কে ICF কামরাও বলা হয়। এই ট্রেনই ভারতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয় তবে বর্তমানে এর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হচ্ছে।

ট্রেনের কামরা লাল হওয়ার কারণ-

ভারতের লাল রঙের কামরা সাধারণত বিলাসবহুল ট্রেন গুলি তে ব্যবহৃত হয় যেমন রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাবদি এক্সপ্রেস। এই লাল রং হওয়ার বিশেষত্ব হলো এই ট্রেনগুলি ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে সক্ষম। ২০০০ সাল থেকে ভারতে এই কামলা গুলি ব্যবহৃত হয় যা জার্মানি থেকে আমদানি করা হয়েছে। তবে বর্তমানে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে এই ট্রেনের কামরা তৈরি হয়। এই কামরা গুলিকে LHB বগি বলা হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন- NIT পাটনার ছেলে আমাজনে চাকরি পেল রেকর্ড ব্রেকিং বেতনের

ট্রেনের কামরা সবুজ হওয়ার কারণ-

ভারতের সবুজ রং কামরা বিশিষ্ট ট্রেন খুব কমই দেখা যায়। এই ট্রেন গুলিও ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে চলতে সক্ষম। বিভিন্ন সুপারফাস্ট ট্রেনের কামরায় গুলির মধ্যে এরকম সবুজ রঙের কামরা দেখতে পাবেন তবে এই কামরা গুলি বর্তমানে মালবাহী গাড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

“ট্রেনের কামরায় রং সবুজ, লাল, নীল হওয়ার রহস্য কি জানেন?”-এ 1-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন