লালগ্রহে প্রাণের সন্ধান কি পাবেন বিজ্ঞানীরা? নাসার Mars 2020 Perseverance অভিযানই প্রমাণ দেবে

এখনো পর্যন্ত হওয়া নাসার সকল মঙ্গল অভিযান গুলির মধ্যে এই অভিযানের উপরে সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী বিজ্ঞানীরা। একটানা ৭ মাস ২০৪০ লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রমের পর অবশেষে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মঙ্গলযানMars 2020 Perseverance‘ মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করেছে। ভারতীয় সময় অনুসারে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ২.৩০ মিনিট নাগাদ লালগ্রহের মাটি স্পর্শ করে নাসার মহাকাশযান।

নাসার Mars 2020 Perseverance অভিযান

নাসার তরফ থেকে এই মঙ্গল অভিযান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের একটি। মঙ্গলের বুকে এই অভিযানের প্রধান লক্ষ্যই হলো লালগ্রহে প্রাচীনকালের কোন প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা সেটাই খুঁজে বার করা। আর এই তথ্য খুঁজে বার করবার জন্য নাসার এই মঙ্গলযান আগামী কয়েক বছর লালগ্রহের পৃষ্ঠতলের মাটি খুঁড়ে জীবাশ্ম, পাথর ও মাটির নমুনা সংগ্রহ করবে এবং সমস্ত পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহের পর ২০৩০ সালে এটি লাল গ্রহ ত্যাগ করে পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসবে, এমনটাই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলে অবতরণের পর যথারীতি এটি নিজের কাজ আরম্ভ করে দিয়েছে। Mars 2020 Perseverance মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশের একটি ছবি ইতিমধ্যেই নাসার কাছে পাঠিয়েছে।

আরো পড়ুন – ছোট ছোট ব্ল্যাকহোলের হদিশ পেল হাবাল টেলিস্কোপ, গবেষকদের ধারণা সত্য প্রমাণিত

নাসার অন্যতম মঙ্গলযান Mars 2020 Perseverance মঙ্গলের মাটিতে অবতরণের ১১ মিনিট পর জেট প্রপুলসন ল্যাবরেটরি থেকে নিশ্চিত করেন একজন ভারতীয়, যার নাম স্বাতী মোহন। তিনি এই Mars 2020 Perseverance এর গাইডেন্স নেভিগেশন এবং কন্ট্রোলস অপারেশন্স এর প্রধান। মঙ্গলে অবতরণ এর ১১ মিনিট পর অবতরণ সম্পর্কে জানা যায়, কারণ মঙ্গল থেকে পৃথিবী পর্যন্ত রেডিও সিগন্যাল আসতে সময় নেয় ১১ মিনিট।

নাসার এই মঙ্গল অভিযান Mars 2020 Perseverance এর সাফল্যে সকলেই বেশ খুশি। নাসার তরফ থেকে এই অভিযানের একটি এনিমেশন ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয় এবং এর সাথেই প্রকাশ করা হয় এই মহাকাশযান থেকে পাঠানো প্রথম ছবিটি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিযানটি নিয়ে টুইটারে টুইট করেন এবং সকলকে অভিনন্দন জানান।

বিগত ১৯৬৫ সাল থেকে নাসা মঙ্গল গ্রহে অভিযান চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি হওয়া Mars 2020 Perseverance অভিযানটি এখনো পর্যন্ত সমস্ত অভিযান গুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিযান। এর উপর বিজ্ঞানীদের আস্থাও কম নয়। যদি এই মহাকাশযান লাল গ্রহে প্রাণের সন্ধান দেয় তবে তা এখনো পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে বড় খোঁজ গুলির একটিতে পরিণত হবে।

মন্তব্য করুন