বর্ধমানের বাঙালি ছেলে সৌম্য দত্তর তৈরি প্যারাসুটে করেই মঙ্গলে অবতরণ করবে নাসার “মার্স২০২০রোভার “

কথায় আছে বাঙালিরা পারেনা এমন কোন কাজ নেই হ্যাঁ কথাটা অবশ্য একেবারে ফেলে দেওয়া যায় না। আমাদের বিশ্বের দরবারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাঙালি আমাদের সকল বাঙ্গালীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। বলাবাহুল্য রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দএর মত বাঙ্গালীদের জন্যই আজ বিশ্বে এক আলাদা জায়গা করে নিয়েছে বাঙালিরা।

তবে মহাকাশ অভিযানের দিকে বাঙালির নাম তেমন একটা সোনা যায় না। কোনো মহাকাশ অভিযানেও কখনো কোনো বাঙালিকে যেতে সোনা যায়নি কখনোই। তবে এবার এমনই একজন বাঙ্গালীর নাম উঠে এসেছে, যার হাত ধরে নাসা তাদের মঙ্গল অভিযানে পাঠানো “মার্স ২০২০ রোভার ” অবতরণ করবে মঙ্গলের বুকে। ৩০ শে জুলাই নাসার মার্স ২০২০ রোভার রওনা দেয় মঙ্গলের উদ্দেশ্যে। তবে মঙ্গলের অরবিট পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও, মঙ্গলের বুকে অবতরণের জন্য প্রয়োজন ছিল বিশাল আধুনিক প্রযুক্তির প্যারাসুটের। কারণ এত গতিতে থাকা মহাকাশ যান টির গতি কমানোর কোনো উপায় নেই প্যারাসুট ছাড়া। যে কারণে আধুনিক প্রযুক্তির প্রারাসুট প্রয়োজন, কারণ সাধারণ প্যারাসুট যে কোনো মুহূর্তে ছাই তে পরিণত হতে পারে।

এমনই এক প্যারাসুট বানিয়েছেন একজন বাঙালি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান এর সৌম্য দত্তের তৈরি বিশাল প্যারাসুটেই মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করতে চলেছে নাসার মার্স ২০২০। যা আজ বর্ধমান সহ সমস্ত বাঙালিদের কাছে গর্বের বিষয়। বিশেষ প্রযুক্তি দ্বারা নির্মিত এই প্যারাসুট আজ পর্যন্ত যত প্যারাসুট মঙ্গলে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে সেইসব গুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের।

একজন ব্যক্তির কাঁধের ওপরে আরেক জনকে চাপিয়ে মোট ১৫ জনের উচ্চতার সমান উঁচু এই প্যারাসুট টি। এটির উচ্চতা প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ ফুট।

আরও পড়ুন-নিকোলা টেসলার যুগান্তকারী আবিষ্কার

এর পূর্বে মঙ্গলে যাওয়ার জন্য যে প্যারাসুটে ব্যবহার করেছিল নাসা সেটি শুধু এর থেকে ছোটই নয়, অনেকটা ব্যাকডেটেড ও। নাসা জানিয়েছে এই প্যারাসুটটি ছাড়া মার্স ২০২০ রোভার কে মঙ্গলে অবতরণ করানো সম্ভব নয়। কারণ এবারে যে রোভার টি পাঠানো হয়েছে সেটির অবতরণ পূর্বের চেয়ে আলাদা হবে।

পূর্বে ল্যান্ডার ও রোভার মঙ্গলের অরবিটএ পৌঁছে সেটিকে প্রদক্ষিণ করতে করতে ধীরে ধীরে অবতরণ করত। কিন্তু এটি সরাসরি মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করবে এবং খুব দ্রুত নামতে শুরু করবে। অবতরণের সময় যখন এর উচ্চতা থাকবে ১২৫ কিলোমিটার তখন রকেট টির গতি থাকবে ৫.৫ কিলোমিটার পার সেকেন্ড। এই গতিতে যখন ল্যান্ডার ও রোভার আলাদা হবে তখন রকেট থেকে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।

মঙ্গলের পাতলা হলেও যেহেতু বায়ুমণ্ডল হয়েছে সে কারণে এই গতিবেগে অবতরণের সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষের সেটি জ্বলে পুড়ে যেতে পারে। নিরাপদে অবতরণের জন্যই এই প্যারাসুট তৈরি করা হয়েছে। শব্দের গতির দ্বিগুণ গতিতে নেমে আসার সময় বায়ুমণ্ডলের সংঘর্ষ থেকে হওয়া জ্বলন রোধ করার জন্য একটি বিশেষ অ্যান্টি থার্মাল সিস্টেম রয়েছে এই প্যারাসুটএ। এতো বড়ো প্যারাসুট খুলতে সময় নেবে মাত্র এক থেকে দুই সেকেন্ডে এবং খোলার সাথে সাথেই রাডার ক্যামেরাটি অবতরণের জায়গার সন্ধান করে এটিকে নিরাপদে মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতীর্ণ করাবে।

“বর্ধমানের বাঙালি ছেলে সৌম্য দত্তর তৈরি প্যারাসুটে করেই মঙ্গলে অবতরণ করবে নাসার “মার্স২০২০রোভার “”-এ 2-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন