নাসার পার্কার সোলার প্রোব আবিষ্কার করল শুক্র গ্রহের একটি ধুলোর বলয়

নাসার পার্কার সোলার প্রোব মিশন

পার্কার সোলার প্রোব মিশন হল নাসার দ্বারা পরিচালিত একটি সূর্যের মিশন। 2018 সালে মিশনটি লঞ্চ হয় এবং যার উদ্দেশ্য হল সূর্যের কাছে যাওয়া। সূর্যের বাইরের সারফেসে ‘সৌর আধীর’ গবেষণা করার জন্য মূলত এই মিশনটি লঞ্চ করা হয়। এখনো পর্যন্ত পার্কার সোলার প্রোব শুক্র গ্রহকে আবর্তন করছে।

শুক্র গ্রহকে আবর্তন করার সময় প্রোব টি বিজ্ঞানীদের হাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে দিয়েছে। নাসা তাদের ‘Parker solar probe‘ টুইটার একাউন্টের মাধ্যমে ছবি সহ খবর টি প্রকাশ করেছে। নাসা তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বলেছে যে, শুক্র গ্রহের চারপাশে একটি অতি সূক্ষ্ম ধুলোর বলয় রয়েছে। নাসা সেই অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার ছবিও প্রকাশ করেছে, নিচে সেই ছবি দেওয়া হল।

সৌর আধীর ফলে সূর্য থেকে প্রতিনিয়ত একটি তরঙ্গ মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল কে ক্রমাগত আঘাত করছে। বিজ্ঞানীদের মতে শুক্র গ্রহের চারপাশে যে ধূলিকণার বলয় রয়েছে এবং সেটার থেকে যে আলোর প্রতিফলন সৃষ্টি হয় তা সৌর আধীর থেকেও বেশি।

আরো পড়ুন- সম্পূর্ণ এলাকা নীল হলুদ রঙের, মঙ্গল গ্রহের বিস্ময়কর ছবি প্রকাশ করল নাসা

ছবিটিতে যে উজ্জ্বল সাদা বর্ণের আলোকরেখা দেখা যাচ্ছে সেটি হল শুক্র গ্রহের ধূলিকণার বলয়। যদিও এই মিশনের পূর্বে আমেরিকান জার্মান হেলিওস মহাকাশযান ও নাসার স্টেরিও মিশন শুক্র গ্রহের কক্ষপথের এই ধূলিকণার অনুমান করেছিল। এই দুটি মিশনের তথ্যের উপর নির্ভর করে পার্কার সোলার প্রোব বিজ্ঞানীরা এই অভূতপূর্ব ‘Dust Ring‘ এর উপর মডেল গবেষণা করতে পেরেছে।

Twitter source- @NASASun

কিন্তু মহাকাশে এই ধুলোর আবির্ভাব কোথা থেকে। এই নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও কিছু বিজ্ঞানীদের দাবি সৌরজগতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গ্রহানু গুলির আগমন এই ধুলোর সৃষ্টি করেছে। আবার নাসার ‘Juno‘ মিশনের তথ্য কে সামনে রেখে কিছু বিজ্ঞানীরা বলেন মঙ্গল গ্রহে ধুলোর ঝড়ের কারণে মহাকাশে এত ধুলোর উৎপত্তি।

Leave a Reply