বাংলাদেশের ১ নম্বর ধনী ব্যক্তি

বাংলাদেশের ১ নম্বর ধনী ব্যক্তি: ভারতবর্ষের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ। আয়তনে ছোট এই দেশ দারিদ্র্যপীড়িত দেশ হওয়ার কারণে এই দেশের GDP অনেকটাই নিম্নে অবস্থান করছে। স্বল্প অর্থনীতি এবং নিম্ন GDP এই দেশের মানুষকে অনেকটাই কষ্টের মধ্যে ফেলেছে। কিন্তু অন্যদিকে এই দেশেই এমন অনেক ধনী ব্যক্তিরা রয়েছেন যারা আর্থিক দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছেন।

আজকের নিবন্ধে আমরা জানবো বাংলাদেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তি কে, বাংলাদেশের ১ নম্বর ধনী ব্যক্তি, ১ নম্বর ধনী ব্যক্তি কে, বাংলাদেশের ১ নম্বর ধনী ব্যক্তি এর পরিচয়, বাংলাদেশের ১ নম্বর ধনী ব্যক্তি এর সম্পত্তির পরিমাণ এবং অন্যান্য সকল তথ্যগুলো। বাংলাদেশের ১ নম্বর ধনী ব্যক্তি সম্মন্ধে জানতে অবশ্যই এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণ পড়বেন। আমরা এই ধরনের বিভিন্ন শিক্ষামূলক তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করি। অতএব আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করবেন এই ধরনের তথ্যগুলো পাওয়ার জন্যে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের ১ নম্বর ধনী ব্যক্তি কে।

বাংলাদেশের ১ নম্বর ধনী ব্যক্তি:

বাংলাদেশের ১ নম্বর ধনী ব্যক্তি হলেন মুসা বিন শমসের। তিনি ‘DATKO’ গ্রুপ এর ফাউন্ডার।

মুসা বিন শমসের:

মুসা বিন শমসের হলেন একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি। মুসা বিন শমসের বাংলাদেশে ‘প্রিন্স মুসা’ নামেও পরিচিত। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে বহুল জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। বর্তমান সময়ে মুসা বিন শমসের DATKO গ্রুপের চয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

মূসা বিন শমশের: এক নজরে

জন্ম১৫ অক্টোবর, ১৯৪৫
জন্মস্থানফরিদপুর, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাDATKO গ্রুপ চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
জীবন সঙ্গিনীকানিজ ফাতেমা চৌধুরী
সন্তান৩ জন

জন্ম ও বংশপরিচয়:

মুসা বিন শমসের ১৯৪৫ সালের ১৫ অক্টোবর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ফরিদপুরে একটি মুসলিম মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন। তার বাবা ছিলেন শমসের আলী মোল্লা। তার পিতা স্থানীয় ব্রিটিশ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা ছিলেন। মুসা তার পিতা মাতার চার পুত্র ও দুই কন্যার মধ্যে তৃতীয় পুত্র সন্তান ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন:

বাংলাদেশের ১ নম্বর ধনী ব্যক্তি
মুসা বিন শমসের এবং তার পরিবার

মুসা কানিজ ফাতেমা চৌধুরীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই পুত্র এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তার দুই পুত্র সন্তানের মধ্যে ববি হাজ্জাজ শিক্ষক এবং রাজনীতিবিদ এবং জুবি মুসা আইনজীবী। তার মেয়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে শেখ ফজলে ফাহিমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

ব্যবসায়িক জীবন:

মুসা বাল্যজিবন থেকেই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। তার প্রথম ব্যবসায়িক জীবনে DATKO নামের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ করেন। এই পরেই তিনি জনশক্তি রপ্তানিতে বাংলাদেশে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বাংলাদেশের অন্যতম পদ্মাসেতু নির্মাণের তিনি ব্যক্তিগত বিনিয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

মুসা বিন শমসের সম্পত্তির পরিমাণ ২০২৩:

২০১৫ সালের ৭ জুন মুসা তার সম্পত্তির বিবরণী জমা করেন দুদকে। তার জমা দেওয়া সম্পত্তির হিসাব অনুযায়ী সুইস ব্যাংকে মোট জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ১২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের টাকায় এই অর্থের পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকার বেশি।

এছাড়াও তার কাছে রয়েছে ৭০০ কোটি টাকা মূল্যের অলঙ্কার, ফরিদপুরে রয়েছে তার রাজকীয় বাড়ি, বনানীতে রয়েছে তার নিজের বাড়ি। সাভার গাজীপুরে রয়েছে তার বারোশো বিঘা জমি, তিনি তার সম্পদের ব্যাপারে বলেছেন ৪০টি দেশের সামরিক বাহিনীর সাথে রয়েছে তার অস্ত্রের ব্যবসা। যেসব দেশের সাথে অস্ত্র ব্যবসা তিনি করছেন সেই টাকা সমস্ত সুইস ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করা হয় এবং সুইস ব্যাংকেই জমিয়ে রাখা হয়।

এছাড়াও ডেটকো গ্রুপ নামে রয়েছে তার জনশক্তি রপ্তানি কোম্পানি। যে কোম্পানির মাধ্যমে তিনি শত শত কোটি টাকা আয় করেন। এই কোম্পানির মাধ্যমে তিনি মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপে জনশক্তি রপ্তানি করা শুরু করেন। মুসা বিন শমসেরের বাৎসরিক আয় ৫০০ মিলিয়ন ডলার বা পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

মুসা বিন শমসের সম্পর্কে অজানা তথ্য:

মুসা বিন শমসের একজন সৌখিন মানুষ। তিনি যেকোনো ব্যবসা বা অন্যান্য কাজে স্বাক্ষরের জন্য একটি বিশেষ কলম ব্যবহার করেন। এই কলমটি তার সুইস ব্যাংকের সুরক্ষিত রয়েছে। আপনি কি জানেন এই কলমটির দাম কত? মুসা যে কলমটি ব্যবহার করেন তার নির্মাতা কোম্পানি ফ্রান্সের এবং ওই কোম্পানি দ্বারা এই পেন একটিমাত্র তৈরি করা হয়েছিল। ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি এই পেনে রয়েছে ৭৫০০ টি হীরের খন্ড। কলোমটির দাম ১০ কোটি টাকা। যখন এই কলমের দরকার হয় তখন কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে কলম নিয়ে যাওয়া হয় এবং কাজের শেষে আবার কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে কলমটিকে আবার ফিরিয়ে আনা হয় সুইস ব্যাংকে।

মুসা বিন শমসেরের ব্যবহৃত জুতার দাম ১০ কোটি টাকা এবং তিনি যে ঘড়ি ব্যবহার করছেন সেই ঘড়ির দাম ৮ কোটি টাকা। তিনি যে ঘড়ি ব্যবহার করেন সেটি রোলেক্স কোম্পানির তৈরি ঘড়ি।

অনুদান:

মুসা বিন শমসের ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে লেবার পার্টির নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য অনুদান দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।

মন্তব্য করুন