সকাল ৩ থেকে ৫ টার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠার গুন

সকাল ৩ থেকে ৫ টার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠার গুন:- শাস্ত্র মতে সূর্য ওঠার আগের ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সময় টাকে ব্রহ্ম মুহুর্ত বলা হয়েছে। তাই ভোর ৩ টে – ৫ টার মধ্যের এই সময় টাকে ব্রহ্ম মুহুর্ত বলা হয়। দিনের এই সময় টাতেই সুযোগ থাকে আপনার জীবন টাকে শারীরিক ভাবে সুস্থ ও মানসিক ভাবে সুন্দর গড়ে তোলার।

ভোর ৩ – ৫ টায় ঘুম ভাঙার বিশেষ গুন:-

কারণ : স্বয়ং ভগবান বলেছেন তাকে স্মরণ, ক্ষমা, দয়া, প্রার্থনা করার শ্রেষ্ঠ সময় এই ব্রহ্ম মুহুর্ত। শাস্ত্রে বলা হয়েছে এই ব্রহ্ম মুহুর্তের সময় টা খুব শান্ত থাকে এবং প্রকৃতি শুদ্ধ ও পবিত্র থাকে। ফলে এই সময় কোনো ব্যক্তি নিয়মিত ঘুম থেকে উঠলে সমস্ত প্রকার মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হতে পারে। আর মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। শাস্ত্রে আরও বলা হয়েছে এই ব্রহ্ম মুহুর্তেই সাধকরা তাদের যপের ফল প্রকৃতিতে ছড়িয়ে দেয়।  

ফলাফল : ফলস্বরূপ বলা যায় আমরা যদি এই ব্রহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠতে পারি এবং যপ ধ্যান করতে পারি, তাহলে আমাদের শরীরের সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক সাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। এতে করে আপনার মনের চঞ্চলতা দুর হবে এবং মন শান্ত থাকবে। আর কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া মানুষ যদি এই বিশেষ মুহুর্তে যপ ধ্যান করতে পারে তবে শাস্ত্রে বলা হয়েছে মানুষ তার সকল পাপ থেকে মুক্তি পেতে পারে। কেবল এই ব্রহ্ম মুহুর্তে ধ্যানের মাধ্যমেই পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এবং প্রকৃতির এই সর্ব শক্তিশালী মুহুর্তে আপনি যদি কোনো মনস্কামনা নিয়ে ধ্যান করেন তাহলে সুযোগ থাকে তা পুরণ হওয়ার।  

আরো পড়ুন- লেবুর উপকারিতা। লেবুর রসের গুণাগুণ

করনিয় : এই সময় আপনার ঘুম ভাঙলে আপনার উচিৎ ঔঁ মন্ত্র ,সূর্য মন্ত্র ,গায়ত্রী মন্ত্র বা আপনার দীক্ষা মন্ত্র যপ করা। দিনের এই সময় আপনার ধ্যান সবথেকে ভালো ফল দেবে। নিজের আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য উওম সময় এটি।

তাই যদি আপনার ঘুম ভোর ৩টে – ৫টার মধ্যে ভাঙে তাহলে দ্বিতীয় বার শুয়ে না পরে এই নিয়ম গুলো মেনে চলুন। টানা ২১ দিন এই নিয়ম মেনে চলতে পারলে তখন এটা অভ্যাস হয়ে যাবে। আর আপনার জীবন টা সুন্দর হয়ে উঠবে।  

সাধারণত ঘুম থেকে যদি তাড়াতাড়ি অর্থাৎ ভোরবেলা ওঠা যায় তাহলে বিশেষ কয়েকটি লাভ হয়ে থাকে। আর যদি ঘুম না ভাঙ্গে বা ঘুম থেকে তারাতারি ওঠা না যায় তাতে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন তাৎক্ষণিক না হলেও ধীরে ধীরে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।ভোরবেলা ঘুম থেকে যারা উঠতে পারেন না তাদের প্রথমে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাহলে দিনের কাজের ক্ষেত্রে কম সময় পাওয়া যায়, যার ফলে তাদের তাড়াহুড়ো লেগে যায় সারাদিনে।দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে শরীর ধীরে ধীরে রুগ্ন হতে থাকে, স্বাস্থ্যহানি হয় এতে। মন মানসিকতায় অলসতা আসে, চিন্তা শক্তির ক্ষয় হয়, এছাড়া মানুষের মধ্যে একাগ্রতার অভাবে ঘটে।   

যদি ভোরবেলা ঘুম ভাঙ্গে তাহলে সারাদিন কাজে মন বসে, প্রত্যেক দিন ভোরে ঘুম ভাঙলে তা অভ্যেসে পরিণত হয় এবং সারাদিনের কাজের সময় বেশি পাওয়া যায়, স্বাভাবিকভাবেই অলসতা দূর হয়, মন ভালো থাকে এবং মানুষের মধ্যে ইতিবাচক চরিত্র বেশি করে প্রকাশ পায়, আর ঘুম থেকে ভোরে উঠতে পারলে যদি ধ্যান করা যায় অথবা যোগাসন করা যায় তা শরীরের উন্নতি সাধন করে থাকে। 

Leave a Reply