পারসিভেরান্স দ্বারা সংগৃহীত নমুনায় রয়েছে আগ্নেয় উপাদান! মঙ্গলে জলের খোঁজ?

মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব এবং জলের সন্ধানে অনেকদিন ধরেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহে পাঠানো মার্স রোভার পারসিভেরান্স মঙ্গল গ্রহ থেকে পাথর এর নমুনা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। প্রথম প্রচেষ্টা সফল না হলেও দ্বিতীয়বার ভুলের পুনরাবৃত্তি হয়নি। রোভার দ্বারা সংগৃহীত রক স্যাম্পল নিয়ে ইতিমধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে দিয়েছেন নাসার গবেষকরা। নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে লালগ্রহের মাটি থেকে দুটো পাথরের নমুনা অর্থাৎ রক স্যাম্পল সংগ্রহ করেছেন তারা। মার্স রোভার দ্বারা সংগৃহীত ওই একজোড়া পাথরের নমুনার উপর গবেষণা চালানোর পরে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন বহুদিন ধরেই জলের সংস্পর্শে ছিল পাথরগুলো।

বিজ্ঞানীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে মঙ্গলে কি তাহলে জলের অস্তিত্ব কোনো না কোনো সময় উপস্থিত ছিল। সে প্রশ্নের উত্তর পেতে হয়তো আরো বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। তবে সেই প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানীরা একদিন ঠিক খুঁজে বের করবেন, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত। পৃথিবীর বাইরে ভিন্ন গ্রহে প্রাণ এবং জলের অস্তিত্ব আছে কিনা সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজে প্রথমে জল এর সন্ধান করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর সম্প্রতি প্রাপ্ত পত্রের নমুনা থেকে সেই জলের অস্থিত্ব এর সন্ধানও পেয়েছেন তারা। বিজ্ঞানীদের মতে মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের ধারণা আরো জোরালো হয়েছে মার্স রোভার দ্বারা সংগৃহীত নমুনা থেকে।

নাসার একজন প্রজেক্ট সাইন্টিস্ট জানিয়েছেন মঙ্গল গ্রহের মাটি থেকে সংগ্রহ করা পাথর পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে মঙ্গল গ্রহে হয়তো কোন সময় বসবাসযোগ্য পরিবেশ ছিল। তবে তা অজানা কারণে হয়তো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নাসার পারসিভেরান্স রোভার এই রক স্যাম্পল সংগ্রহের প্রথম প্রচেষ্টা চালিয়ে ছিল গত ৬ সেপ্টেম্বর। প্রথম প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হলেও পরবর্তী প্রচেষ্টায় সফলতা অর্জন করেন নাসা। গত ৮ সেপ্টেম্বর Montagnac নামের একটি পাথর থেকে সংগ্রহ করা হয় নমুনা। রক স্যাম্পেল গুলির ব্যাস ছিল ৬ সেন্টিমিটার। যেগুলি বর্তমানে রোভারের ভিতরে থাকা একটি টিউবের মধ্যে সুরক্ষিত রয়েছে।

আরো পড়ুন-চন্দ্রযান-২ এর চোখে ধরা পড়লো সূর্যের অভ্যন্তরের মহাপ্রলয়! কি বলছেন গবেষকরা

মঙ্গল গ্রহে পৃষ্ঠদেশ থেকে সংগৃহীত নমুনায় রয়েছে ব্যাসল্ট শিলা। বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন সম্ভবত লাভা থেকে উৎপত্তি এই পাথরগুলির। পাথর দুটি কত বছর পুরনো সে বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণাও পেয়েছেন তারা। যার সাহায্যে ওই এলাকার ভূগাঠনিক ইতিহাস সম্পর্কে একটি ধারনা করে নেওয়া সম্ভব। ESA এর সঙ্গে একত্রে নাসা পাথরের নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসতে ইচ্ছুক। যে কাজে আপাতত আরো ৯ বছর সময় লাগবে নাসার। অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে পাথরের নমুনাগুলো নিয়ে বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হবে।

“পারসিভেরান্স দ্বারা সংগৃহীত নমুনায় রয়েছে আগ্নেয় উপাদান! মঙ্গলে জলের খোঁজ?”-এ 1-টি মন্তব্য

Leave a Reply