শান্তিপুর শেষ স্টেশন, তবু কেন জংশনের তকমা দেওয়া, রয়েছে ইতিহাস

পশ্চিমবঙ্গে যারা থাকেন তাদের কাছে শান্তিপুর নামটা অতি পরিচিত কারণ এই শান্তিপুরের তাঁতের শাড়ি থেকে শুরু করে শান্তিপুরের রাস যাত্রা যথেষ্ট জনপ্রিয়। যারা শান্তিপুর গেছেন বা শান্তিপুর লোকালে উঠেছেন তারা অবশ্যই দেখে থাকবেন শান্তিপুর নামের পাশে সব সময় জং কথাটি লেখা থাকে, যার অর্থ জংশন। অর্থাৎ শান্তিপুর কে জংশন স্টেশন বলা হচ্ছে।

সাধারণত জংশন স্টেশন তাকেই বলা হয় যেখান থেকে অন্যান্য বিভিন্ন জায়গার কার ট্রেন ছাড়ে। অর্থাৎ একের অধিক বেশি জায়গার ট্রেন যদি এক স্টেশন থেকে ছাড়া হয় তাকেই জংশন স্টেশন বলে। কিন্তু দেখতে গেলে শান্তিপুর স্টেশন থেকে অন্য কোন জায়গার ট্রেন ছাড়া হয় না। শিয়ালদা লাইনে শিয়ালদা থেকে শান্তিপুর লোকাল ছাড়ে যার অন্তিম স্টেশন শান্তিপুর। কিন্তু তবুও শান্তিপুর স্টেশনে শান্তিপুর নামের পাশে জংশন কথাটি লেখা আছে যার পেছনে রয়েছে একটু ইতিহাস।

আরো পড়ুন- Jio 5G: কলকাতার পার্শ্ববর্তী শহরেও শুরু হতে চলেছে Jio 5G, কোন শহর জানেন?

স্বাধীনতার পর ১৯৪৮ সাল থেকে ন্যারোগেজ লাইনের মাধ্যমে কৃষ্ণনগর যাওয়া যেত। এছাড়া নবদ্বীপ ঘাট স্টেশনের ন্যারোগেজ লাইনের সঙ্গে শান্তিপুরের বরগেজ লাইনের সংযুক্তিকরণ ছিল। সেই কারনে শান্তিপুর কে সেই সময় জংশন স্টেশনের তকমা দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে ন্যারোগেজ লাইন উঠে যায় নবদ্বীপ লাইন বন্ধ হয়ে যায়।

এরপরও অবশ্য জংশন স্টেশন নাম রাখা হয় তার কারণ ন্যারোগেজ লাইন উঠিয়ে ব্রডগেজ লাইন পাতা হয় কৃষ্ণনগর পর্যন্ত। যে লাইনের মাধ্যমে বর্তমানেও শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর ট্রেন চলাচল করে। এছাড়াও রানাঘাট লোকাল ও বনগাঁ লোকাল চালু হয় পরবর্তীকালে যার কারণে শান্তিপুর জংশন নামটি স্থায়ী হয়ে যায়।

Leave a Reply