নাসা আর্টেমিস মিশনের মুখ্য ভূমিকায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মহিলা

আমেরিকার অন্যতম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) এর আগামী অভিযানটি চাঁদ ও তার বাইরে গভীর মহাকাশে হতে চলেছে, যার নাম আর্টেমিস মিশন (Artemis mission)। যেখানে মহাকাশযানের সাথে পাঠানো হবে নভশ্চরদের। আর এই মিশনেই রকেটের কোর স্টেজের পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুভাষিনী আইয়ার। ভারতের কোয়েম্বাতরে জন্মগ্রহণ করেন সুভাষিনী, যিনি গত দুই বছর ধরে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (SSL)-এর সাথে যুক্ত আছেন।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সুভাষিনী আইয়ার হলেন প্রথম মহিলা, যিনি তার কলেজে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ গ্র্যাজুয়েট পাশ করেছিলেন ১৯৯২ সালে।

সুভাষিনী আইয়ার একটি বিবৃতিতে বলেন – “আমরা চাঁদে সর্ব শেষ পা রেখেছি প্রায় ৫০ বছর আগে, আমরা মানুষকে চাঁদে এবং বাইরে গভীর মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুনরায় প্রস্তুত হচ্ছি”।

তিনি আরো জানান – “আমার মূল ভূমিকা হল নাসাকে সব রকমের সমর্থন ও পর্যবেক্ষণ করা, যখন কোর স্টেজটি তৈরি হবে এবং নাসার কাছে হস্তান্তরিত হবে তারপর থেকে”।

আরো পড়ুন-মহাকাশ থেকে হিমালয়ের অত্যাশ্চর্য ছবি তুললেন নাসার একজন নভশ্চর, দেখুন সেই ছবি

চাঁদকে আরো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য নাসার আর্টেমিস লুনার এক্সপ্লোশন প্রোগ্রামের নতুন প্রযুক্তি ও সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। সুভাষিনী যে রকেট পর্যবেক্ষণে রয়েছেন সেই স্পেস লাঞ্চ সিস্টেম (SSL) নভশ্চরদের অরিয়ন স্পেসক্রাফটে করে পৃথিবী থেকে প্রায় চতুর্থাংশ মিলিয়ন মাইল দূরে চাঁদের কক্ষপথে নিয়ে যাবে।

চাঁদ এবং চাঁদের বাইরে গভীর মহাকাশকে পর্যবেক্ষণের জন্য নাসা মোট ৩ টি মিশন করবে একটি আর্টেমিস-১, দ্বিতীয়টি আর্টেমিস-২ এবং আর্টেমিস-৩ মিশন। আর্টেমিস-১ মিশনে SSL এবং অরিয়ন স্পেসক্রাফটকে ক্রু বিহীন একসাথে পাঠানো হবে চাঁদে। আর্টেমিস-২ এর ক্ষেত্রেও একই ভাবে SSL এবং অরিয়ন স্পেসক্রাফটকে একসাথে পাঠানো হবে, তবে দ্বিতীয় মিশনে ক্রু উপস্থিত থাকবে। এরপর ২০২৪ সালে নভচারী দের চাঁদে অবতরণ করাবে নাসা।

“নাসা আর্টেমিস মিশনের মুখ্য ভূমিকায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মহিলা”-এ 1-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন