১৫ তারিখ বদল ঘটছে হোয়াটসঅ্যাপে, জানুন কি করবেন আর কি করবেন না

এই বছরের শুরুতেই প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে বারংবার আঙ্গুল উঠেছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের উপর। নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে অস্পষ্টতার কারণে অনেক গ্রাহকরাই ঝুঁকেছে অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এর দিকে। যার কারণে অনেক প্রভাব পড়েছে হোয়াটসঅ্যাপের উপরে। আর ঠিক এই জন্যেই সময়সীমা পিছিয়ে নিয়েছিল এই সংস্থা।

বিতর্কে জড়ানোর কারণে হোয়াটসঅ্যাপ পূর্বের ৮ই ফেব্রুয়ারি দিনটি পিছিয়ে নিয়েছিল। নতুন দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫ই মে। আর এই তারিখটিকেই ডেডলাইন হিসেবে মেনে চলছে এই সংস্থা। আগামী ১৫ তারিখের পরেই বদল ঘটছে হোয়াটসঅ্যাপে। যদিও ব্যবহারকারী হারানো এবং নানান বিতর্কের কারণে সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়, নতুন প্রাইভেসি পলিসি মেনে না নিলেও অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করা যাবে। তবে সে ক্ষেত্রে বঞ্চিত হতে হবে অনেকগুলো ফিচার থেকে। অর্থাৎ বেশ কিছু ফিচার আর ব্যবহার করা যাবে না।

হোয়াটসঅ্যাপ তরফ থেকে বলা হয়েছে, নতুন প্রাইভেসি পলিসি বাধ্যতামূলক নয়। তবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচার আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ করলে কি হবে এবং না করলে কোন কোন সুবিধা পাবেন না সেগুলি একবার জেনে নেওয়া যাক।

হোয়াটসঅ্যাপে তরফ থেকে পূর্বের বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল সবাইকেই ১৫ই মে এর মধ্যে প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটেছে কিছুটা। সম্প্রতি প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হবে না, গ্রাহকদের নিজেদের পছন্দ মতো বিকল্প বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে।

আরো পড়ুন-Whatsapp-এর নতুন ফিচার, এবার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মুছে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ

প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ না করলে ব্যবহারকারীরা অনেকগুলি ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন না। অ্যাকাউন্ট বন্ধ না হলেও এদিক থেকে সীমাবদ্ধতা এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ।

যারা প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ করবেন না তাদের নিয়মিত প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণের জন্য নোটিফিকেশন পাঠাবে হোয়াটসঅ্যাপ। এর পরেও গ্রহণ না করলে বঞ্চিত হতে হবে বিভিন্ন ফিচার থেকে।

পলিসি গ্রহণ না করার জন্য প্রথমেই বন্ধ করে দেয়া হবে চ্যাট লিস্ট। মেসেজের নোটিফিকেশন আসলেও এপ্লিকেশন না খুলে সেটি দেখা যাবেনা এবং উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে ভয়েস কলের ক্ষেত্রে নোটিফিকেশন থেকে কল ব্যাক করা যাবে।

এর পরবর্তীতে ভয়েস এবং ভিডিও কলের ফিচারটি বন্ধ করে দেয়া হবে তাদের জন্য যারা প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ করবেন না। এক্ষেত্রে আপনাকে এক প্রকার বাধ্য হয়েই তা গ্রহণ করতে হবে অথবা অন্য কোন মেসেজ অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে আপনাকে।

মন্তব্য করুন