মাত্র তিন মাসেই লাল গ্রহে পৌঁছাতে পারবেন মহাকাশচারীরা, জানালো NASA

The astronauts will be able to reach the red planet in three months

আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে অন্যতম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র NASA পৃথিবীর নিকটবর্তী লাল গ্রহ অর্থাৎ মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাবার পরিকল্পনা করে ফেলেছে। পৃথিবীর নিকটবর্তী গ্রহ হওয়া সত্ত্বেও এটি ১৪০ মিলিয়ন মাইল দূরত্বে অবস্থিত। আর এই কারণে লাল গ্রহে মহাকাশচারীদের পাঠানো টা খুবই কঠিন একটা কাজ।

তিন মাসেই লাল গ্রহে পৌঁছাতে পারবেন মহাকাশচারীরা

লালগ্রহের বায়ুমণ্ডল এবং আবহাওয়া পৃথিবীতে অবস্থিত আন্টার্কটিকার মতোই শীতল। শীতল আবহাওয়া একমাত্র সমস্যা নয়, তার থেকেও বড় সমস্যার কারণ অক্সিজেনের অভাব। যে কারণে সেখানে মহাকাশচারীরা যত বেশি দিন থাকবেন তাদের জীবনের ঝুঁকি ঠিক ততই বাড়তে থাকবে। আর ঠিক এই কারণেই মহাকাশবিজ্ঞানীরা চান মঙ্গলে যাতায়াতের সময় যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে।

বিজ্ঞানীদের এই প্রচেষ্টাকে সফলতা দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছে একটি কোম্পানি। যেটির নাম আল্ট্রা সেফ নিউক্লিয়ার টেকনোলজিস Ultra Safe Nuclear Technologies (USNC-Tech)। কোম্পানির তরফ থেকে যাতায়াতের সময় কমানোর জন্য একটি সমাধান বের করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন একটি নিউক্লিয়ার থার্মাল প্রপালসন Nuclear Thermal Propulsion (NTP) ইঞ্জিনের সম্পর্কে। যেটির সাহায্যে মহাকাশচারীদের পৃথিবী থেকে মঙ্গলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব মাত্র তিন মাসে। যেখানে মহাকাশচারী বিহীন একটি মহাকাশযানের ন্যূনতম ৭ মাস এবং মহাকাশচারী বহন করে ন্যূনতম ৯ মাস সময় লাগে রাসায়নিক ইঞ্জিন চালিত রকেট গুলির।

আরো পড়ুন – পৃথিবীর থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবস্থিত অ্যাপোলো-১৫ এর সুস্পষ্ট ছবি তুললেন বিজ্ঞানীরা

টেক কোম্পানি USNC-Tech এর ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টর মাইকেল ইডেস জানিয়েছেন, বর্তমানে যে রাসায়নিক ইঞ্জিন গুলি ব্যবহার করা হয় মহাকাশে যাতায়াতের জন্য সেই ইঞ্জিন গুলি থেকে এই নিউক্লিয়ার পাওয়ার ইঞ্জিন অনেক বেশি শক্তিশালী। যে কারণে রাসায়নিক ইঞ্জিনগুলো তুলনায় এটি অনেক দ্রুত এবং অনেক দুর চলতে সক্ষম অবশ্যই কম জ্বালানি ব্যবহার করে।

বর্তমানে মহাকাশের যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হয় রাসায়নিক ইঞ্জিনের। যেগুলি ব্যবহার করে মঙ্গল পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে আসতে সময় লেগে যাবে তিন বছর। তবে NASA থেকে জানানো হয় তারা এই যাতায়াতের সময় কমিয়ে আনতে চান। কারণ অতিরিক্ত সময় মহাকাশে মহাকাশচারীরা থাকলে সেখানকার রেডিয়েশনের কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সাথে আজীবন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর ঠিক এই কারণেই নিউক্লিয়ার থার্মাল প্রপালসন ইঞ্জিন বানানোর প্রচেষ্টা করছে NASA। যেটি আগামী মার্স মিশনে মহাকাশচারীদের লালগ্রহে পদার্পণ করতে সাহায্য করবে এবং ২ বছরেরও কম সময়ের মধ্যেই তাদেরকে পুনরায় পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে।

Previous articleT10 লিগে ঝড় তুললো ক্রিস গেইল। ৮৪ রান করলেন ২২ বলে, রইল ভিডিও
Next articleকৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন কোহলি, রাহানে, শচীন টেন্ডুলকার
আমরা Extra Gyaan এর সদস্যরা পেশাগতভাবে ব্লগিং এর সঙ্গে যুক্ত। আমরা ইন্টারনেট, প্রযুক্তি, নাসা, মহাকাশের বিভিন্ন তথ্য, শিক্ষাগত দিক ও খেলাধুলার বিষয়ে নিবন্ধ লিখে থাকি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায়। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষায় আপনাদের সামনে সেরা তথ্য তুলে ধরা।

1 COMMENT

Leave a Reply