আরো এক নতুন গ্রহের আবিষ্কার, জল থাকার সম্ভাবনা সেই গ্রহে, জানালো নাসা

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন এমন এক গ্রহের, যে গ্রহের বায়ুমন্ডলে জলের মেঘ থাকতে পারে। এই এক্সোপ্ল্যানেট এর অবস্থান পৃথিবী থেকে ৯০ আলোকবর্ষ দূরে। নাসা জানিয়েছে নতুন এই গ্রহ পৃথিবী থেকে প্রায় তিন গুণ বড়। এই গ্রহের সাথে নেপচুনে অদ্ভুত মিল খুঁজে পেয়েছেন তারা। এই এক্সোপ্ল্যানেট এর নাম দেওয়া হয়েছে TOI-1231। যে গ্রহটি লাল রঙের একটি বামন নক্ষত্র কে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। নাসার মতে এই লাল নক্ষত্র সূর্য থেকে অনেকটাই ছোট তবে এর বয়স সূর্য থেকে অনেক বেশি।

এক্সোপ্ল্যানেট টি তার নিজস্ব বামন নক্ষত্রকে সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে ২৪ দিন সময় নেয়। অর্থাৎ সেই গ্রহে এক বছর হয় মাত্র ২৪ দিনে। নক্ষত্রের সান্নিধ্যে থাকা সত্বেও TOI-1231 তুলনামূলক বেশ ঠান্ডা কারণ নক্ষত্রটি সূর্যের তুলনায় অনেকটাই শীতল।

নাসা একটি বিবৃতিতে জানায়, বিজ্ঞানীরা এই গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণ করে মেঘের নমুনা পেতে পারেন আর সেই মেঘ হয়তো আমাদের আকাশে থাকা মেঘের মতোই জল দ্বারা তৈরী। লাল বামন নক্ষত্র এবং তার চারপাশে ঘুরে চলা এই এক্সোপ্ল্যানেট পৃথিবীর তুলনায় অনেক বেশি গতিতে ঘুরে চলেছে। উচ্চ গতি হওয়ার কারণে এই TOI-1231 এর বায়ুমণ্ডল থেকে হাইড্রোজেনের এটম খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। যার অর্থ গ্রহের একটি ‘tail’ থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে।

আরো পড়ুন-সূর্যগ্রহণের সময় তোলা নাসার এই ছবিগুলি আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে, দেখুন সেই ছবি

যদিও পৃথিবীর বায়ুমন্ডল এবং আন্ত:কেন্দ্রীয় গ্যাসের কারণে বাইরের কোন গ্রহের এ জাতীয় পরমাণু গুলি সনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব। তবে নাসা জানিয়েছে এই TOI-1231 গ্রহটির গতি এতটাই যে এই গ্রহ থেকে হাইড্রোজেন পরমাণু গুলি ছিটকে বেরিয়ে যাচ্ছে বাইরের দিকে। যার ফলে নাসার হাবল টেলিস্কোপ জাতীয় টেলিস্কোপ এর সাহায্যে এগুলি শনাক্ত করা সম্ভব।

TOI-1231 গ্রহটি শনাক্ত করার পিছনে রয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আন্তর্জাতিক দল, যার প্রধান জেনিফার বর্ট, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার জেট প্রপুলসন ল্যাবরেটরির এক্সোপ্ল্যানেট এর গবেষকরা এছাড়াও রয়েছেন প্রফেসর ডায়ানা দর্গমির, যিনি নিউ মেক্সিকোর ইউনিভার্সিটির এক্সোপ্ল্যানেট বিশেষজ্ঞ।

“আরো এক নতুন গ্রহের আবিষ্কার, জল থাকার সম্ভাবনা সেই গ্রহে, জানালো নাসা”-এ 2-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন