অলিম্পিকের ইতিহাসে এই প্রথম! ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য দিয়ে পদক নির্মাণ করেছে জাপান

এই বছর জাপানের টোকিও শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অলিম্পিক ক্রিয়া প্রতিযোগিতা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিয়া প্রতিযোগিতা এটিই। ক্রিয়া জগতের সবচেয়ে বড় এই অনুষ্ঠানে এবার ইতিহাস গড়ল জাপান। এমনটা হয়তো এর আগে কখনো কেউ ভেবেও দেখেননি। পৃথিবীতে বেড়ে চলা আবর্জনার পরিমাণ এবং পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে অলিম্পিক গেমসের পদক তৈরীর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক বর্জ্যকেই।

জাপানে নির্মিত অলিম্পিক মেডেল গুলি তৈরি করা হয়েছে ফেলে দেওয়া বা পুরনো মোবাইল ডিভাইসগুলির সাহায্যে। ডিভাইসগুলি একত্র করে পুনর্ব্যবহার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা এবং সে কাজে সফল হয়েছে জাপান। পরিকল্পনা অনুযায়ী টানা দুই বছর ধরে ফেলে দেওয়া ছোট ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইস সংগ্রহ করেছে টোকিও। আর এই ফেলে দেওয়া ইলেকট্রনিক বর্জ্য গুলি টোকিও অলিম্পিক২০২০ এর পদক তৈরীর কাজে লাগিয়েছেন তারা। তবে টোকিও-এর পক্ষে একক ভাবে এটি করা সম্ভব ছিল না। এই কাজে সাহায্য করেছে জনসাধারণ। জাপানের তরফ থেকে জনসাধারণের ব্যবহার করা ও বাতিল হয়ে যাওয়া ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলি দান করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

জাপানে সমস্ত মিউনিসিপ্যালিটি, স্কুল ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে প্রায় ৯০ শতাংশ গ্রাম, শহর এবং মফস্বল গুলি তাদের এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছিলেন। জাপানের প্রতিটি কোনা থেকে ইলেকট্রনিক ডিভাইস দান করা হয়েছিল মেডেল নির্মাণের কাজে। জাপান তাদের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিভাইসগুলির মেলটিং করে এবং তার থেকে সোনা, রুপা এবং ব্রোঞ্জ উপকরণ হিসেবে বেছে নেয়। এরপর সেইগুলি থেকেই ধাতব রুপ দিয়ে অলিম্পিকের বিখ্যাত মেডেল গুলির নকশা তৈরি করা হয়েছিল।

আরো পড়ুন-Olympic 2021: গুগল ডুডলের “চ্যাম্পিয়ন আইল্যান্ড গেম” খেলতে পারবেন আপনিও, কিভাবে জানুন?

জাপানের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী ৮০ টন ছোট ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে প্রায় ৭,৭০০ পাউন্ড রূপো, ৪,৮৫০ পাউন্ড ব্রোঞ্জ, এবং ৭০ পাউন্ড সোনা রিসাইকেল করতে পেরেছিলেন তারা। অলিম্পিক গেমসের ইতিহাস এই অভিনব পরিকল্পনা বিশেষ নজির গড়েছে। টোকিও গেমস এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে অলিম্পিক ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রিসাইকেলিং ধাতু দিয়ে মেডেল তৈরি করা হলো, আর এই কাজে সাহায্য করেছে জাপানের সাধারণ মানুষরা।

“অলিম্পিকের ইতিহাসে এই প্রথম! ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য দিয়ে পদক নির্মাণ করেছে জাপান”-এ 1-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন