৬ ঘন্টা ৫৬ মিনিট মহাশূন্যে হেঁটে বেড়ালেন নাসার দুইজন মহাকাশচারী

মহাশূন্যে হেঁটে বেড়ালেন নাসার দুইজন মহাকাশচারী
NASA

আমেরিকার অন্যতম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র NASA (National Aeronautics and Space Administration) দ্বারা মহাকাশে প্রেরিত ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনটি আপগ্রেড এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত বুধবার মহাশূন্যে হেঁটে বেড়ালেন নাসার দুইজন মহাকাশচারী। আর এই মহাশূন্যে হেঁটে বেড়ানোকেই স্পেসওয়াক বলা হয়।

মহাশূন্যে হেঁটে বেড়ালেন নাসার দুইজন মহাকাশচারী

গত বুধবার অর্থাৎ ২৭শে জানুয়ারি NASA-এর দুই মহাকাশচারী মাইক হকিন্স এবং ভিক্টর গ্লোভার জুনিয়র স্পেসওয়াক করেন। ভিক্টর এর জন্য এটি ছিল তার প্রথম মহাকাশে স্পেসওয়াক এর অভিজ্ঞতা। আর এই স্পেসওয়াক এর অভিজ্ঞতা জানাতে তিনি বলেন – স্পেসওয়াক সময় দৃশ্যটা খুবই সুন্দর ছিল।

মহাকাশচারী ভিক্টর এর জন্য এটি প্রথম স্পেসওয়াক হলেও, হকিংস এর জন্য এটি ছিল তার তৃতীয় স্পেসওয়াক। এর পূর্বে তিনি তার দুটো স্পেসওয়াক সম্পন্ন করেন, ২৫শে, সেপ্টেম্বর ২০১৩ থেকে ১০ই মার্চ, ২০১৪ এর মাঝে।

আরো পড়ুন – রহস্যময় দাগ মাইলের পর মাইল জুড়ে আন্টার্কটিকায়

গত বুধবার অর্থাৎ সাতাশে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে NASA-এর ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে সকাল ৬:২৮ নাগাদ শুরু করা হয় স্পেসওয়াক যা শেষ হয় দুপুর ১:২৪ মিনিটে। যা সম্পূর্ণ ৬ ঘণ্টা এবং ৫৬ মিনিটের একটি স্পেসওয়াক ছিল। যেখানে এই সম্পূর্ণ সময় ধরে দুজন মহাকাশচারী স্পেস স্টেশনের বাইরে মহাশূন্যে ভেসে স্পেস স্টেশন টি আপগ্রেড করেন। সাথেই এটি ছিল ২৩৩ তম স্পেসওয়াক, যা নাসার স্পেস স্টেশনটির সাহায্য করা হয়।

মহাকাশচারী হকিংস জানান তাদের স্পেস স্যুটটির একটি যুক্ত ছিল লাল ফিতের সাথে যেটা ছিল ক্রু মেম্বার ১ এর এবং দ্বিতীয় ক্রু মেম্বারের সুট টি কোন ফিতার সাথে যুক্ত ছিল না। তারা দুজনেই স্পেস স্টেশনে থাকা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির কলম্বাস মডিউল এর বাইরে Bartolomeo-টি ইন্সটল করেন। যেটি একটি নতুন পেলোড হোস্টিং স্টেশন। এই স্টেশনটির নাম ক্রিস্টোফার কলম্বাসের ছোট ভাইয়ের নামে রাখা হয়েছে। এছাড়া তারা আরো অনেক আপডেট করেন স্টেশনটিতে যা আগামী দিনে সাহায্য করবে বিভিন্ন সংযোগ স্থাপনে।

স্পেস ওয়াক করার পর দুই জন মহাকাশচারী তাদের সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে জানান। তারা বলেন এই সম্পূর্ণ স্পেসওয়াক এর মাঝে ৪৫ মিনিটে তফাত তারা দিন ও রাতের অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। তাদের সম্পূর্ণ কাজের মাঝে উজ্জ্বল আলো এবং ঠান্ডা অন্ধকার দুটি উপলব্ধি করতে পেরেছেন তারা। এটি ঘটেছে কারণ স্পেস স্টেশনটি পৃথিবী কে ১৭,৫০০ মাইল প্রতি ঘন্টার গতিতে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। যদিও উত্তাপের বা ঠান্ডার তাদের উপর সরাসরি কোনো প্রভাব পড়েনি। জানানো হয় এর পরবর্তী স্পেসওয়াক টি করা হবে ফেব্রুয়ারি ১ তারিখে।

Previous articleপ্রথম দিনেই রেকর্ড ভাঙলো FAUG, অ্যাকশন গেমের তালিকায় #1
Next articleভারতীয় দল এ বছরই যাবে ইংল্যান্ডে ক্রিকেট খেলতে। ঘোষণা হল সময়সূচী
আমরা Extra Gyaan এর সদস্যরা পেশাগতভাবে ব্লগিং এর সঙ্গে যুক্ত। আমরা ইন্টারনেট, প্রযুক্তি, নাসা, মহাকাশের বিভিন্ন তথ্য, শিক্ষাগত দিক ও খেলাধুলার বিষয়ে নিবন্ধ লিখে থাকি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায়। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষায় আপনাদের সামনে সেরা তথ্য তুলে ধরা।

1 COMMENT

Leave a Reply