পিরামিডের আকারের ৩ গুণ বড় গ্রহাণু পাশ কাটিয়ে যাবে পৃথিবীর! কি বলছেন বিজ্ঞানীরা?

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) এর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন পিরামিডের আকারের থেকেও তিন গুণ বড় আকারের একটি গ্রহানু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন গ্রহাণুটির আয়তন প্রায় ১,৬০০ ফুট, এটি ১১ ই মার্চ অর্থাৎ শুক্রবার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকবে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এটি আসলে একটি শিলা, যার নাম ২০১৫ ডিআর ২১৫। এরপূর্বে নাসা জানিয়েছিল চলতি সপ্তাহে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসতে পারে তবে সম্প্রতি এটির দিনক্ষণ এবং সময় জানিয়েছেন তারা। তবে নাসা এও জানিয়েছে গ্রহাণুটির সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষের সম্ভাবনা খুবই কম, মূলত এটি পৃথিবীর পাশকাটিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। নাসার তরফ থেকে দেওয়া একটি বিবৃতি অনুযায়ী গ্রহাণুটির আকার দা গ্রেট পিরামিড এর থেকেও তিনগুণ এবং কুতুব মিনার থেকে প্রায় ছয় গুণ বড়।

গ্রহাণুটি সম্পর্কে নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ জানিয়েছে এই ২০১৫ ডিআর ২১৫ এর প্রত্যাশিত ট্রাজেক্টরি এটিকে আমাদের পৃথিবীর পাশ দিয়ে নিয়ে যাবে একে বলা হয় ক্লোজ অ্যাপ্রচ। তবে পৃথিবীর থেকে এর দূরত্ব হবে অনেকটাই। যখন গ্রহানুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকবে তখন এটির সাথে পৃথিবীর দূরত্ব হবে ৪.১ মিলিয়ন মাইল, যা চাঁদের দূরত্ব প্রায় ১৭ গুণ বেশি অর্থাৎ পৃথিবীর সাথে এই গ্রহাণুর সংঘর্ষের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

আরো পড়ুন-বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদে প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধান করতে মহাকাশযান পাঠাবেন বিজ্ঞানীরা, জানুন বিস্তারিত

গ্রহাণু সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে সমস্ত গ্রহানু পৃথিবীর কাছাকাছি প্রায় ৪ লক্ষ ৬৫০ হাজার মাইল দূরত্বের মধ্যে থাকে এবং ৫০০ ফুট ব্যাসের চেয়ে বড় হয় তাদের বলা হয় পোটেনশিয়াল হ্যাজার্ডাস অ্যাস্টওয়েড বা সম্ভাব্য বিপদজনক গ্রহাণু। ২০১৫ ডিআর ২১৫ গ্রহাণুটি একটি সম্ভাব্য বিপদজনক গ্রহানু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তারা। এটির গতিবেগ ১৮,৫০০ মাইল প্রতি ঘন্টায়। ১১ই মার্চ ১.৪১ মিনিটে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি চলে আসবে এটি, তবে তার গতিপথ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা বিশেষ কিছু জানাননি। ২০২৮ সালে পুনরায় পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যাবে তবে সেক্ষেত্রে পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষের কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

“পিরামিডের আকারের ৩ গুণ বড় গ্রহাণু পাশ কাটিয়ে যাবে পৃথিবীর! কি বলছেন বিজ্ঞানীরা?”-এ 1-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন