প্রাচীনকালে নির্মিত বিশ্বের ৫ টি বিখ্যাত প্রাচীর যা আজও আশ্চর্যের

প্রাচীনকালে নির্মিত বিশ্বের ৫ টি বিখ্যাত প্রাচীর যা আজও আশ্চর্যের

বিশ্বের ৫ টি বিখ্যাত প্রাচীর: বিশ্বের বিখ্যাত প্রাচীর গুলি নিয়ে অনেক ইতিহাস রয়েছে এবং বিখ্যাত এই প্রাচীর গুলি আজও টিকে আছে ঠিক আগের মতই আবার কিছু প্রাচীর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রয়ে গেছে শুধু স্মৃতিতেই।

পৃথিবীর বুকে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময়ে অনেক বড় বড় প্রাচীর নির্মাণ করা হয় কখনো বা যুদ্ধ আটকাতে কখনো দুর্গের সুরক্ষার জন্য আবার কখনো সৌন্দর্যের খাতিরে। তবে যেসব প্রাচীরের কথা আজ আমরা জানবো সেগুলি আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্যই তৈরি এবং শুধু তাই নয় এই প্রাচীর বিশ্বের বিখ্যাত প্রাচীর গুলির কয়েকটি।

আরও পড়ুন- স্ট্যাচু অফ লিবার্টি নির্মাণের ইতিহাস। কিভাবে আমেরিকায় গড়ে উঠলো এই মূর্তি

চীনের প্রাচীর : প্রাচীর বলতে প্রথমেই যেটির কথা সর্বপ্রথম মাথায় আসে সেটি হল চিনে অবস্থিত দ্য গ্রেট ওয়াল অফ চায়না। পাথর ও মাটি দিয়ে তৈরি এই প্রাচীর প্রায় ৫ থেকে ৮ মিটার উঁচু এবং ৮৮৫২ কিলোমিটার লম্বা। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতক থেকে ১৬শ শতক পর্যন্ত চীনের উত্তর সীমান্ত রক্ষা করার জন্য এটি তৈরি করা হয়। শংঘাই পাশ থেকে শুরু হয়ে এটি শেষ হয়েছে লোপনুর নামক স্থানে। লোকমুখে প্রচলিত একটি মানুষের তৈরি একমাত্র প্রাচীর যা চাঁদ থেকে ও দেখা যায়।

বিশ্বের ৫ টি বিখ্যাত প্রাচীর

ওয়েলিং ওয়াল, জেরুজালেম :  পশ্চিমা প্রাচীর বা উইলিং ওয়াল ইহুদীদের জন্য তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ধর্মীয় স্থান। জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে অবস্থিত মন্দির এর পশ্চিমে অবস্থিত সমর্থন প্রাচীর। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন নামাজ ও তিলাওয়াত করতে। রাজা হোরাদ দ্বিতীয় মন্দিরের সম্প্রসারণের সময় ২০ বি. সি.ই তে এটি তৈরি করেন।

বার্লিনের প্রাচীর, জার্মানি : ১৯৬১ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত কংক্রিটের তৈরি এই প্রাচীর আক্ষরিক ও মতাদর্শগতভাবে বার্লিন শহরকে বিভক্ত করেছিল। জার্মান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কর্তৃক এই প্রাচীরটি নির্মিত। ১৩ ই আগস্ট ১৯৬১ থেকে শুরু করে ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে পূর্ব জার্মান কর্মকর্তাদের নির্দেশে এটি ভেঙে দেওয়ার আগে পর্যন্ত দীর্ঘ ২৮ বছর পূর্ব জার্মান ও পূর্ব বার্লিন সহ পশ্চিম বার্লিনের মধ্যে সীমানা প্রাচীর হিসেবে অবস্থান করছিল এটি। প্রাচীরের আনুষ্ঠানিকভাবে পতন ঘটে ১৩ ই জুন ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে।

ট্রয় এর প্রাচীর :  ট্রয়ের যুদ্ধের কথা তো কারোরই অজানা নয়। যে যুদ্ধ জন্ম দিয়েছিল ২ মহাকাব্য ইলিয়াড ও ওডিসি।  প্রাচীন গ্রিসের ইতিহাস কে উৎখনন করেন ব্রিটিশ পুরাতত্ত্ববিদ ফাস্ক কর্লভার্ট ১৮৬৫ সালে। ১৯৯৮ সালে সেখান থেকে পাওয়া যায় প্রাচীন ঐতিহাসিক এই প্রাচীরের অংশ যা মর্যাদা পায় ইউনেস্কোএর হাত ধরে।

আরো পড়ুন- ভারতের সবচেয়ে ধনী শহর

হাদ্রিয়ান ওয়াল :  সম্রাট হাদ্রিয়ান দৈব আদেশেই প্রাচীর তৈরি করেন বলে জানা যায়। এ নিয়ে বিতর্ক আছে যে বর্বর দের থেকে ব্রিটিনিয়া কে রক্ষা করতে এই প্রাচীর দেওয়া হয়। তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের প্রাচীনতম প্রাচীর ১২২ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় এবং শেষ হয় প্রায় ৬ বছর পর। প্রাচীরের কোন কোন অংশ ১১৮ ও ১১৯ খ্রিস্টাব্দে গাঁথা হয়েছিল বলে প্রমাণ পেয়েছেন পুরাতত্ত্ববিদেরা।

এছাড়া বিশ্বের বিখ্যাত প্রাচীর রয়েছে আরো অনেকগুলো। যেগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রেয়েছে। কিছু ভগ্নপ্রায় কিছু মিলিয়ে গেছে সময়ের সাথে সাথে যার ইতিহাস আজ বিলুপ্ত।

Previous articleলিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আবিষ্কার, কেমন ছিল বিজ্ঞান ভিত্তিক লিওনার্দো?
Next articleপ্রাগৈতিহাসিক পাখি কাসওয়ারী। পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত পাখি
আমরা Extra Gyaan এর সদস্যরা পেশাগতভাবে ব্লগিং এর সঙ্গে যুক্ত। আমরা ইন্টারনেট, প্রযুক্তি, নাসা, মহাকাশের বিভিন্ন তথ্য, শিক্ষাগত দিক ও খেলাধুলার বিষয়ে নিবন্ধ লিখে থাকি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায়। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষায় আপনাদের সামনে সেরা তথ্য তুলে ধরা।

1 COMMENT

Leave a Reply