পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম প্রাণীর জীবাশ্ম-এর খোঁজ, যা ৯৮ মিলিয়ন বছরের পুরনো

পৃথিবীর সৃষ্টির সময় কালে যে সমস্ত প্রাণী বাস করত তাদেরকে কোন মানুষই হয়তো স্বচক্ষে দেখতে পাইনি। তবে তাদের জীবাশ্ম বিভিন্ন সময় মাটি খুঁড়ে আবিষ্কার করা হয়েছে। আর এই জীবাশ্ম ও অন্যান্য তথ্যগুলি আমাদের সাহায্য করেছে পৃথিবীর সৃষ্টির পর প্রথম দিকে এই গ্রহে বসবাসকারী প্রাণীদের আচার-আচরণ খাদ্য তালিকা এছাড়াও আরো অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে।

৯৮ মিলিয়ন বছরের পুরনো জীবাশ্ম

পৃথিবীর বুকে মাটি খুঁড়ে বিভিন্ন সময় আবিষ্কার করা হয়েছে অনেক অজানা প্রাণীদের জীবাশ্ম। আর এই জীবাশ্ম গুলো থেকেই আমরা জানতে পেরেছি এখনো পর্যন্ত পৃথিবীতে বসবাসকারী সবচেয়ে বড় প্রাণী দের প্রজাতিটি সম্পর্কে। পৃথিবীতে বসবাসকারী সবথেকে বড় প্রজাতিটি ছিল ডাইনোসরদের। আর এই প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় ডাইনোসরের জীবাশ্ম সম্ভবত আবিষ্কার করা হয়েছে সম্প্রতি।

আরো পড়ুন – সম্প্রতি মিশরে পাওয়া গেলো আরো এক প্রাচীন ইতিহাস

আর্জেন্টিনায় সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা খোঁজ পেয়েছেন এমনই এক জীবাশ্মের। বিজ্ঞানীদের মতে জীবাশ্ম টি আজ থেকে প্রায় ৯৮ মিলিয়ান বছরেরও বেশি পুরনো। তারা আরও জানান, যে প্রাণীটির জবাশ্মের খোঁজ তারা পেয়েছেন সেটি সম্ভবত পৃথিবীর বুকে ঘুরে বেড়ানো সবথেকে বড় আকারের ডাইনোসরের প্রজাতির মধ্যে একটি।

এর পূর্বেও আর্জেন্টিনায় ২০১২ সালে এমনই একটি ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কার করা হয়েছিল। খোঁজ পাওয়া জীবাশ্মটি ছিল লম্বা গলার টাইটেনোসরাস প্রজাতির ডাইনোসরের। আর্জেন্টিনায় পাওয়া সর্বপ্রথম জীবাশ্ম ছিল এটি। তবে এটির খননকার্য এখনো সম্পন্ন হয়নি।

সম্প্রতি খনন কার্যের ফলে আর্জেন্টিনায় যে হাড় গুলি পাওয়া গিয়েছে তা এখনো পর্যন্ত রেকর্ড করার সবচাইতে বড় হার গুলির মধ্যে সবথেকে বড় আকারের। এই টাইটেনোসরাস প্রজাতিটি সরোপডদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রজাতি। এদের বিশেষত্ব হলো এদের লম্বা গলা। এরা মূলত ছিল তৃণভোজী এবং পৃথিবীতে এদের বসবাস এর সময়কাল ছিল জুরাসিক যুগ ( ১৬৩.৫ মিলিয়ন থেকে ১৪৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে) থেকে ক্রেটেসওস যুগ ( ১৪৫ মিলিয়ন থেকে ৬৬ মিলিয়ন বছর পূর্বে) পর্যন্ত।

বিজ্ঞানীরা এখনো এটিকে নিয়ে অনেক গবেষণার কাজ করে চলেছে। তবে সর্ববৃহৎ প্রজাতির এই ডাইনোসরের প্রজাতি আলাদা কোন প্রজাতি কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ তারা পাননি। তবে এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত যে এখনো পর্যন্ত পাওয়া সব থেকে বড় ডাইনোসরের জীবাশ্ম এটিই।

মন্তব্য করুন