কার্ল মার্কস এর জীবনী।কিভাবে তৈরি হলো কমিউনিস্ট লীগ? karl marx biography in bengali

কাল মার্কস ইতিহাসে বিখ্যাত কেন

কার্ল মার্কস এর জীবনী, কিভাবে তৈরি হলো কমিউনিস্ট লীগ?, karl marx biography in bengali: আমাদের সমাজে দু’ধরনের লোক থাকে একদল তারা যাদের কাছে সবকিছু আছে আর একদল তারা যাদের কাছে কিছুই নেই আর সমাজের পরিবর্তন তারা জানতে পারে যাদের কাছে কিছুই থাকে না আর এ রকমই একজন ব্যক্তি ছিলেন যার নাম কার্ল মার্কস তিনি সমাজবিজ্ঞানী ঐতিহাসিক অর্থনীতিবীদ রাজনীতিবিদ এবং একজন মহান দার্শনিক ছিলেন জীবন কালে তিনি অভাব এর মধ্যে কাটিয়েছিলেন তবুও তাকে মানব ইতিহাসের প্রভাবশালী ব্যক্তি বলা হয়।

সকল শোষিত বঞ্চিত ও মেহনতী মানুষকে তাদের ন্যায্য অধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে তাদেরকে সচেতন করার জন্য তিনি আমৃত্যু পর্যন্ত দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়ে যায়। তিনি ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রভাবশালী বিশিষ্ট দার্শনিক ও সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তার মূল স্লোগান ছিল “দুনিয়ার মজদুর এক হও“।    

কে ছিলেন কার্ল মার্কস

কার্ল মার্কস এর পুরো নাম ছিল কাল হাইনরিশ মার্কস। তার জন্ম হয়েছিল ১৮১৮ সালের মে মাসের ৫ তারিখে। জার্মানির রাজধানীর অন্তর্গত ট্রিয়ার শহরের রাইন অঞ্চলের নিম্নবর্তী এলাকায় তিনি জন্মেছিলেন। তার পিতার নাম ছিল হার্সেল মার্কস। আর তার মা তার নাম ছিল হেনরি এটা। তার পিতা পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন। পূর্বপুরুষ গত দিক থেকে তাঁরা ছিলেন ইহুদি ধর্ম অবলম্বী। কিন্তু পরবর্তীকালে তারা প্রোটেস্টান্ট খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। তাদের বেশ সম্ভ্রান্ত পরিবার ছিল। কাল মার্কস এর পিতার এলাকায় বেশ সুনাম ছিল। প্রতিবেশীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালই ছিল। হার্সেল এবং হেনরিয়েটার দ্বিতীয় সন্তান ছিল কার্ল মার্কস। তাদের প্রথম সন্তান ছিল কন্যা সন্তান। যখন তাদের দ্বিতীয় সন্তান হয় জন্ম হয় তখন তারা তার নাম রাখে কার্ল মার্কস।  

আরও পড়ুন- বিংশ শতাব্দীর দিকে বাচ্চাদের ডাকের মাধ্যমে পেরণ করা যেত একজায়গা থেকে অন্য জায়গায়

পারিবারিকভাবে তারা ইহুদি ছিলেন। তারা মন থেকে কখনো ধর্মান্তকরণ চাননি। তখন ইহুদিদের ওপর নির্যাতন হতো, তাদের উপর নির্যাতন হবার আশঙ্কায় ভয় পেয়েছিলেন হার্সেল। তখন কার্ল মার্কস এর বয়স মাত্র ছয় বছর। হার্সেল তার সন্তানদেরকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য তিনি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। তবে হার্সেল ধর্মান্তকরণের মাধ্যমে নিজের সন্তানদের রক্ষা করতে চেয়ে ছিলেন। তবে তা কার্যকরী হয়নি। টিবি রোগে তার চার জন সন্তান মারা যায় বেঁচে ছিলেন কার্ল মার্কস। ঈশ্বরের কৃপা তিনি বাঁচতে পেরেছিলেন। কার্ল ছোট থেকেই অন্যান্য শিশুদের থেকে একটু আলাদা প্রকৃতির ছিল স্বাধীনতা ছিল তার চারিত্রিক গুন। ভালো কে ভালো অপরাধ কে অপরাধ বলার দৃঢ় সাহস ছিল তার।

কার্ল মার্কস এর জীবনী।কিভাবে তৈরি হলো কমিউনিস্ট লীগ? karl marx biography in bengali

কার্ল মার্কস এর ছাত্র জীবন:-

ছাত্র জীবনে কার্ল মার্কস ছিল মেধাবী। ১২ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি বাড়িতে তার বাবার কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন। এরপর তার বাবা তাকে স্থানীয় বিদ্যালয় ভর্তি করে দেন। গণিত, সাহিত্য, ইতিহাস ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় বিষয়। বাল্যকাল থেকেই তিনি মানুষের দুঃখ কষ্ট দেখে চিন্তিত হয়ে পড়তেন তিনি সবসময় চাইতেন গরীব দুঃখী মানুষের সেবা করতে।  

১৭ বছর বয়সে তিনি বন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন। এখানে তিনি সাহিত্য দর্শন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চেয়ে ছিলেন। কিন্তু তার পিতার ইচ্ছা ছিল তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করবেন। তাই তিনি তার পিতার ইচ্ছায় আইন বিষয়ে পড়তে শুরু করেন।

কার্ল মার্কস এর জীবনী, karl marx biography in bengali

এই বন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় কালে কার্ল মার্কস মানসিক দিক দিয়ে অস্থির থাকতেন। আর তার পড়াশোনা ঠিকঠাক তিনি করতে পারছিলেন না। এই সময় তিনি কিছু সোশ্যাল গ্রুপ বা সামাজিক দলে যোগ দেন দলগুলোর মধ্যে কিছু গন্ডগোল হয়। এরকম পরিস্থিতি লক্ষ্য করে তার পিতা তাকে বার্লিন ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি করিয়ে দেন। কারণ তিনি ভেবেছিলেন বন ইউনিভার্সিটি থেকে কার্ল মার্কস স্কলার হতে পারবে না।

অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্লকে স্থানান্তর করতে তিনি তৎপর ছিলেন। প্রথমদিকে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে না চাইলেও তার পিতা জোর করে। এতে তিনি আইনের সঙ্গে সাহিত্য ও দর্শন পড়তে চান। এই প্রস্তাবে অগত্যা তাঁর পিতা রাজি হয়ে যায়। এবার এখানে তিনি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন পরিবেশ তার বেশ পছন্দ হয়।

এরপর ১৮৪১ সালে কার্ল মার্কস বার্লিন থেকে জেনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন। এখানে এসে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ” দ্য ডিফারেন্স বিটুইন দ্য ন্যাচারাল ফিলোসফি অফ ডেমিওকিটাস এন্ড এপিকিউরাস” এটি ছিল তার থিসিসের বিষয়। তার পরীক্ষার এই প্রবন্ধ বিষয়ে তিনি তথ্যপূর্ণ, প্রাঞ্জল, লেখার চমৎকারিত্বে এবং ভাষার ব্যবহার যেভাবে করেছিলেন তা অনন্য। তার লেখায় মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়েছিল পরীক্ষকরা।

তবে তার চিন্তাধারা এবং ভাষার ব্যবহার ছিল স্বাধীন ও বস্তুবাদী। প্রাঞ্জল লেখা হলেও তার স্বাধীনচেতা বর্ণনা কারোর মন মতো হত না। তার উগ্র ও স্বাধীন মতবাদ এর জন্যই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সুযোগ পেলেন না। কারণ সেই সময় স্বাধীনভাবে কেউই কোনো মত প্রকাশ করতে পারত না।  

ইউনিভার্সিটি অফ বার্লিনে তিনি এডওয়ার্ড গেনস এবং কার্ল ভন সেভিগনি এর বক্তৃতা মনোযোগ সহকারে শুনতেন। মূলত সাহিত্য ও আইন নিয়ে চর্চা করেছিলেন তিনি তবে এডওয়ার্ড গেনস এবং সেভিগনির বক্তৃতা তাকে দর্শন চর্চায় বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিল।

১৮৩৮ সালে তিনি ইয়ং হেগেলিয়ানস চিন্তা ধারায় উদ্বুদ্ধ গোষ্ঠী তে যোগ দেন। সেখানে তার শিক্ষক ব্রুনো বওর তাকে হেগেল এর কিছু লেখা দেখায়। হেগেল জার্মানির একজন বিশিষ্ট দার্শনিক ছিলেন। হেগেলের রচনা গুলি পড়ে কার্ল মার্কস প্রভাবিত হন। হেগেলের মতে আমাদের সমাজে একতা সেদিন হবে যেদিন মানুষের মধ্যে সমানতা আসবে। মানে সেটি হবে এমন এক সমাজ ব্যবস্থা যেখানে মালিক ও চাকর এর মর্যাদা সমান হবে। সেই সময় গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদের স্বপ্ন জার্মানির যুবসমাজ দেখতে শুরু করেছিল। আর তাদের এই চিন্তাকে কার্ল পুরোপুরি সমর্থন করতেন। বামপন্থী হেগেলীয় এর দর্শন থেকে মার্কস এবং দলের লোকেরা বৈপ্লবিক চিন্তাধারা ও নিরীশ্বরবাদ কে গুরুত্ব দিতেন।

এরপর ১৮৩৮ সালে তাঁর পিতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাই সেইসময় মার্কস শহরে তার মায়ের কাছে ফিরে যান। এরপর তিনি সেখানে ট্রিয়েরে থাকাকালীন তার প্রেমিকা জেনির সঙ্গে বিবাহ করেন। জেনি ছিলেন মার্কসের বাল্যকালের বন্ধু ও সহপাঠী। তারা অল্প বয়স থেকেই একে অন্যকে ভালোবাসতেন। মূলত তার জেনির কাছ থেকে দূরে বন বিশ্ববিদ্যালয় চলে যেতে হয়েছিল তাই তিনি অস্থির থাকতেন। শহরে ফিরে তিনি জেনিকে বিবাহ করে নেন। জেনি ছিলেন ধনী পরিবারের মেয়ে তিনি দেখতে অসাধারণ সুন্দরী ছিলেন। তিনি ধনী পরিবারের মেয়ে হয়েও কার্লের মতো দরিদ্র কে বিবাহ করেছিলেন জীবনের সমস্ত রকম সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে বর্জন করে তিনি দারিদ্র্য ও দুঃখ ভাগ করে নিয়েছিলেন কার্ল মার্কস এর সাথে।  

তার পিতার মৃত্যু হওয়ায় অর্থ উপার্জনের বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেয়। তাদের পরিবারকে অভাব গ্রাস করে। চাকরির আশায় কার্ল মার্কস তার শিক্ষক ব্রুনোর কাছে কোন জায়গায় শিক্ষকতার চাকরি চান কিন্তু এমনটা হয়নি।  

কার্ল মার্কস এর জীবনী, karl marx biography in bengali

কার্ল মার্কস এর সংগ্রামী জীবন:-

কার্ল মার্কস এর পর পরবর্তী সময়ে বনে ফিরে যান। এখানে কিছু যুবকের সাথে তার পরিচয় হয় তারা হেগেলের মতবাদি ছিল। কাল তাদের সঙ্গেই বৈপ্লবিক কাজকর্মে যুক্ত হন। তৎকালীন সময়ে অন্যান্য দার্শনিকদের থেকে প্রাঞ্জল হয়ে উঠলেন ডক্টর কার্ল মার্কস। তাদের বৈপ্লবিক কার্যকলাপের জন্য প্রচারের প্রয়োজন ছিল। তারা তাই রাইন অঞ্চল এর যুবকদের নিয়ে গড়ে তোলে রেইন্স গেজেট নামের একটি সংবাদপত্র। ১৮৪২ সালে তিনি সেই সংবাদপত্রের সম্পাদক নিযুক্ত হন। সেই সময় চড়ম দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের সচেতন করার জন্য লেখেন একের পর এক প্রবন্ধ। তার কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশে কর্মচারীরা সচেতন হতে শুরু করে। শ্রমিকদের মধ্যে পরিষ্কার বিদ্রোহ মনোভাব প্রকাশ পায়।  

এই রকম পরিস্থিতি লক্ষ্য করে তৎকালীন সরকার ও মালিক শ্রেণি ভীত হয়ে পড়ে এবং তার উপস্থিতি বিপদের আরেক নাম মনে করে তাকে দেশ থেকে নির্বাসিত করে। তার ন্যায়-নীতি, লেখার সৌন্দর্য ও যুক্তি কাকে নির্বাসিত হতে বাধ্য করল।   

এরপর জার্মান ছেড়ে ফ্রান্সে মার্কস এবং জেনি এসে উপস্থিত হলেন। এখানে তার পরিচয় হয় তার মতোই কিছু স্বাধীনচেতা যুবকের সাথে। এখান থেকেই তিনি তাঁর লেখা চালু রাখলেন। জার্মানে একটি পত্রিকা প্যারিস থেকে যেত সেখানেই তিনি তার প্রবন্ধের মাধ্যমে প্রতিবাদ চালালেন।

কার্ল মার্কস এর জীবনী

কার্ল মার্কস চেয়ে ছিলেন সকল ধর্ম সমন্বয়ের সমাজ। তাই তিনি বলেন যে ধর্ম শুধুমাত্র মানুষকে সুখের প্রতিশ্রুতি দেয়। এই ব্যাপারটি মানুষের বুঝতে হবে। এটি শুধু আফিনের মত। মার্কসের চাওয়ার সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় মালিক শ্রেণীর ধনী ব্যক্তিদের। সমস্ত দার্শনিক দুনিয়াকে বুঝত ও বিশ্লেষণ করত শুধু। আর মার্কস চেয়েছিলেন বোঝার পর দুনিয়াকে পাল্টাতে। যাদের সমস্ত কিছুই আছে তাদের এই পরিবর্তন কোন লাভজনক না হওয়ায় তাদের সঙ্গে তার বিবাদ শুরু হয়। তারা তাকে ফ্রান্স থেকে চলে যেতে বাধ্য করে কারণ তারা এই প্রতিবাদে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল।  

এই সময় তার পরিচয় হয় এক নতুন ব্যক্তির সাথে নাম ফ্রেডারিক এঙ্গেলস। জার্মান এক শিল্পপতির ছেলে ছিলেন এঙ্গেলস। তিনি মার্কসের প্রিয় এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়েছিলেন। এরপর নির্বাসিত হয়ে তারা ব্রাসেলসে এসে উপস্থিত হলেন।

আরও পড়ুন- চকলেট কিভাবে তৈরি হয়। চকলেট তৈরির ইতিহাস

কার্ল মার্কস এর জীবনী, কাল মার্কস ইতিহাসে বিখ্যাত কেন?

তিনি এতদিন নানা প্রতিবাদ তার লেখার মাধ্যমে তুলে ধরলেও সমাজতান্ত্রিক নানা দলে তিনি যোগ দেননি। ইংল্যান্ডে তার যোগাযোগ হয় শ্রমিক সংঘের নেতাদের সাথে ও নানান শ্রমিক সংঘ গুলীর সাথে। তার বন্ধু তখন প্যারিসের শ্রমিক সংঘ গুলিকে একত্রিত করতে ব্যস্ত।  

ধীরে ধীরে তারা সকল শ্রমিক সংঘ গুলির মধ্যে একতা তৈরি করতে সক্ষম হলো। তাদের সকলের সমাজতান্ত্রিক ভাবধারা ও একতায় গড়ে উঠলো আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট লীগ। এই লীগে যোগ দিলো জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও লন্ডনের প্রতিনিধিত্বকারী রা এখান থেকেই মার্কস এবং এঙ্গেলস একত্রে রচনা করলেন কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো।

মার্কস সমাজতন্ত্রের পরিবর্তে কমিউনিজম নামটি ব্যবহার করতেন। তাদের এই কর্মকান্ড গোটা ইউরোপে বিপ্লবের ঝড় তুললো। এই বিপ্লবে শাসকশ্রেণী ভীত হয়ে তাকে ব্রাসেলস থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিল।মার্কসের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সব চেয়ে আলাদা। সমাজতান্ত্রিক চিন্তা ভাবনার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন তিনি। উদ্বৃত্ত মূল্য তত্ত্ব নামে একটি তত্ত্বের কথা বলেন তিনি। যেখানে তিনি অন্যান্য পণ্যের মত মানুষের শ্রম কে একটি পণ্য বলে গণ্য করেছেন। তিনি বলতেন সমাজে রয়েছে দুই রকমের শ্রেণী এক পুঁজিপতি বা মালিক শ্রেনী আর এক শ্রমিক শ্রেণী। তার মতে পুঁজিপতিদের ক্রমাগত শোষণ-নিপীড়নের যেদিন দুর্দশাগ্রস্ত সকল শ্রমিক শ্রেনী সচেতন হবে সেদিন সূচনা হবে বিপ্লবের। মাক্স চেয়েছিলেন শ্রেণীহীন সমাজ আর এটাই ছিল সমাজতন্ত্রের লক্ষ্য। রাষ্ট্র হীন সমাজ ব্যবস্থা ছিল তাঁর কাম্। তবে তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি তা কয়েকটি জাতীয় ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার ভাবনা, দর্শন, মানবতা, আজও অমর হয়ে রয়েছে।

কাল মার্কস এর মত সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তি জেনির জন্য লিখেছিলেন অনেক কবিতাও। তিনি সেই সমস্ত কবিতা তার প্রেয়সীকে প্রেমপত্রে পাঠাতেন। দাস ক্যাপিটাল, কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো এবং আরো অনেক জনপ্রিয় লেখার লেখক হলেও  শেষ জীবনটা সুখের হয়নি। চরম অর্থকষ্টে ভূগে ১৮৮৩ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তবে জীবনের অনেক কষ্টের মধ্যেও তিনি বিচলিত হননি। সর্বহারার হয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি নিজেই একজন সর্বহারা ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। দীন দরদি, দীপ্ত উজ্জ্বল সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তিটি তাই আজও অমর হয়ে রয়েছেন।

Previous articleঅস্ট্রেলিয়ার 10 টি ঐতিহ্যবাহী স্থান, heritage places in Australia in bengali
Next articleপৃথিবীর সেরা 10 ধনী ক্রিকেটার 2023
আমরা Extra Gyaan এর সদস্যরা পেশাগতভাবে ব্লগিং এর সঙ্গে যুক্ত। আমরা ইন্টারনেট, প্রযুক্তি, নাসা, মহাকাশের বিভিন্ন তথ্য, শিক্ষাগত দিক ও খেলাধুলার বিষয়ে নিবন্ধ লিখে থাকি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায়। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষায় আপনাদের সামনে সেরা তথ্য তুলে ধরা।

2 COMMENTS

Leave a Reply