পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে, Prithibir Sob Cheye Kharap Manus Ke: আজকের এই নিবন্ধে আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে এই বিষয়ে আলোচনা করব। ইন্টারনেট বা ইউটিউবে আপনারা অবশ্যই দেখে থাকবেন পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ রূপে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করা হয়েছে। আজকে আমরা এখনো পর্যন্ত ইতিহাসে সবচেয়ে ১০ জন খারাপ মানুষ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব।
1. এলিজাবেথ বাথরি-

হাঙ্গেরির এলিজাবেথ বাথরি এমন একজন মহিলা যাকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মহিলা সিরিয়াল কিলারের তকমা দেয়া হয়েছে। বলা হয় তিনি প্রায় 600 জন মহিলাকে নিধন করেছেন। 1585 থেকে 1610 সাল পর্যন্ত তিনি হত্যা লীলা চালু রাখেন। তার নিজের ঘরে তিনি যুবতী মহিলাদের হত্যা করে তাদের রক্ত দিয়ে স্নান করতেন। শোনা যায় তিনি তার যৌবন ধরে রাখার জন্য এই ধরনের কাজকর্ম করতেন। এই সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর হাঙ্গেরির রাজা তাকে গ্রেফতার করে এবং তাকে আজীবন কারাবাস যায়।
2. হোমস / H.H Holmes-

H.H Holmes বা হারমান মাডগেট আমেরিকার একজন সিরিয়াল কিলার ছিল। ছোটবেলা থেকেই তিনি ডাক্তারি পড়তে চাইতেন কিন্তু সে ডাক্তারি পড়তে পারেননি। সেই কারণে সে বড় হয়ে ফার্মেসিতে চাকরির শুরু করে এরপরে সে নিজের একটা ফার্মেসি তৈরি করে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে, সেই ফার্মেসিতে বাচ্চা বা যুবক যুবতীরা গেলে আর ফিরে আসতো না। হোমস ফার্মেসির সামনে একটি জায়গা কেনেন এবং তারপরে একটি হোটেল তৈরি করেন। কিন্তু কেউ জানতো না এই হোটেলে কি হতো, একবার যে এই হোটেলের মধ্যে যেত সে দ্বিতীয়বার ফিরে আসতো না। পরবর্তীকালে তদন্ত করে জানা যায় যে, এই হোটেলটি এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে এর ভেতরে কেউ ঢুকলে সে নিজের ইচ্ছায় বের হতে পারবে না। অর্থাৎ হোটেলের ঘর হোটেলের সিঁড়ির পরিকল্পনা অন্যরকম ভাবে তৈরি। হোটেলের নিচে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড ঘর ছিল, যেখানে হোমস হোটেলে আগত যুবক-যুবতীদের উপকার অপারেশন করত। তার কাছে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল, অপারেশনের সরঞ্জাম ও ওষুধপত্র ছিল যা দিয়ে তিনি কাটাছেঁড়া করতো। পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে এই বিষয়ে আরো জানতে আপনার ইউটিউবে সার্চ করতে পারেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে, Prithibir Sob Cheye Kharap Manus Ke
3. ব্লাড ড্রাকুলা / Vlad Dracula-

আপনারা হলিউড সুপারহিরো সিনেমা গুলিতে বিভিন্ন ক্যারেক্টার কে দেখেছেন যেমন স্পাইডার ম্যান, ব্যাটম্যান, আয়রন ম্যান সেরকমই ড্রাকুলা চরিত্রের নাম শুনেছেন। কিন্তু তফাৎ হলো স্পাইডারম্যান বা ব্যাটম্যান চরিত্রগুলি কাল্পনিক কিন্তু ড্রাকুলা চরিত্রটি বাস্তবদের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি করা হয়েছে। ড্রাকুলা 1428 সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি রোমানিয়া সাম্রাজ্য শাসন করেন। ব্লাড ড্রাকুলা, ব্লাড দ্যা ইম্পালার নামেও পরিচিত রয়েছেন। তিনি সেই সময়কার সবচেয়ে নিকৃষ্টতম শাসক ছিলেন। তিনি তার শত্রুদের নিধন করে তাদের প্রত্যেককে রাস্তার ধারে দিয়ে জীবন্ত শুলের উপর চড়িয়ে রাখতো। যাতে দেখে লোকেরা ও তা শত্রু পক্ষ অত্যন্ত ভীত হয় এবং তিনি তার নিজের নাম ড্রাকুলা রাখেন। মানুষ জনের মধ্যে তার সম্বন্ধে নিকৃষ্টতম ভয় ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি এই ধরনের কাজ করতেন এবং তিনি এতে অত্যন্ত আনন্দ পেতেন। এই কারণে ব্লাড ড্রাকুলাকে এখনো পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ এর চোখে দেখা হয়। 1476 সালে সালতানাতে উসমানিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে তার মৃত্যু হয় এবং তাকেও উসমানিয়ার শাসক তার মত করে শাস্তি দিয়েছিলেন। দৃষ্টান্ত তৈরি করার জন্য ব্লাড ড্রাকুলা কে শুলের উপর চড়িয়ে দেয়া হয়। এই জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ এর তালিকায় ড্রাকুলার নাম রয়েছে।
4. ইভান / Ivan the terrible-

1500 শতকে রাশিয়ার এক রাজার নাম ছিল ইভান। তার বাবা রাশিয়ার রাজা ছিলেন কিন্তু মাত্র তিন বছর বয়সে থাকাকালীন তার বাবার মৃত্যু হয়। এরপর তাকে অনেক দুঃখ যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় যার প্রভাবে তিনি পরবর্তীকালে অত্যন্ত ভয়ানক একজন শাসকের পরিণত হন। এরপর যখন ইভানের 13 বছর বয়স হয় তখন সেখানকার জনগণ তাকে রাজা ঘোষণা করে। কিন্তু হয়তো তারা জানতো না আজ যাকে তারা রাজা বানালো সেই পরবর্তীকালে তাদের ভয়ানক স্বপ্ন হয়ে দাঁড়াবে। ছোটবেলা থেকেই ইভানের মধ্যে বিভিন্ন অত্যাচারী চিন্তাধারা চলে আসে যা রাজা হওয়ার পর তার মধ্য থেকে বেরিয়ে আসে। এই বিষয়ে আর জানতে আপনারা ইউটিউবে সার্চ করতে পারেন, কারণ এই বিষয়ে গল্পটি অনেকটা বড়। পরবর্তীকাল 1584 সালের দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।
5. ইদি আমিন / Idi Amin-

ইদি আমিন একজন চ্যাম্পিয়ন বক্সার ছিলেন প্রথমে পরবর্তীকালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ব্রিটিশ সৈন্যদের জন্য খাবার তৈরির কাজ করতেন। ইদি আমিন উগান্ডার বাসিন্দা ছিলেন এবং সেই সময় উগান্ডা ব্রিটিশদের অধীনে ছিল। 1962 সালে যখন ব্রিটিশরা উগান্ডা কে স্বাধীন করে চলে যায় তখন ইদি আমিন কে উগান্ডার সেনা দলের প্রধান রূপে নিযুক্ত করা হয়। কিছুদিন পরে উগান্ডার প্রেসিডেন্ট তাকে উগান্ডার তিনটি সৈন্যদলের প্রধান গ্রুপে নিযুক্ত করেন। কিন্তু ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পরে তিনি করাপশনে ডুবে যান। তখন উগান্ডার সরকার তাকে সরানোর চেষ্টা করে কিন্তু উল্টে ইদি আমিন 1971 সালে উগান্ডার প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত হয়ে যান। এরপর তিনি হিটলারের মত অত্যাচারী শাসক হয়ে ওঠেন। এরপর তিনি প্রতিবেশী দেশ তানজানিয়ার উপর আক্রমণ করে। কিন্তু তানজানিয়া সৈন্য ও উগান্ডার দেশবিরোধীরা মিলে ইদি আমিন কে পরাজিত করা এবং তিনি আরব দেশের পালিয়ে যান। 2003 সালে কিডনি অচল হয়ে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়।
6. সাদ্দাম হোসেন / Saddam Hussein-

সাদ্দাম হুসেন 1937 সালে ইরাকে জন্মগ্রহণ করেন। এই সাদ্দাম হোসেন এক সময় ইরাকে 24 বছর শাসন করেছেন। একসময় সারা বিশ্বের তাবর দেশগুলি সাদ্দাম হোসেনকে সমর্থন করত কিন্তু তারপর এমন এক সময় আসে যখন সাদ্দাম হোসেনকে সবাই ব্যান করে। 1966 সালে সাদ্দাম হোসেন তার রাজনৈতিক দলে যোগদান করেন। তখন থেকে তিনি তার বিরোধিতার নিধন করতে শুরু করে। যারাই তার বিরুদ্ধে কথা বলতো তাদেরকে সাদ্দাম কঠোর শাস্তি দিত। তিনি প্রায় একশটির বেশি কঠোর শাস্তির তালিকা তৈরি করে ফেলেছিলেন। যার মধ্যে ছিল বিদ্যুতের ঝটকা, দাঁত মুখ ভেঙ্গে ফেলা, এছাড়া উল্টো ঝুলিয়ে ধোলাই করা। 1979 সালে সাদ্দাম হোসেন ইরাকের সম্পূর্ণ প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত হন। এরপর থেকে শুরু হয় তার অত্যাচার, সেই সময় ইরাকের প্রধান আয় ছিল তেল উৎপাদনের মাধ্যমে। কিন্তু সাদ্দাম হোসেন তেল বিক্রি করা টাকা দিয়ে ইরাকের সামরিক বাহিনী শক্তিশালী করার চেষ্টা করে। এরপর 1980 সালে তিনি ইরানের উপর হামলা করে কিন্তু এই যুদ্ধ প্রায় 10 বছর দীর্ঘায়িত হয়। শোনা যায় এই সময় তিনি তারই দেশে তার বিরোধী এক গোষ্ঠর উপর কেমিক্যাল গ্যাসের ব্যবহার করে। যার ফলে সেই এলাকার মানুষেরা বিভিন্ন রোগে ভুগতে থাকে এছাড়া বিকলাঙ্গ হয়ে যায়। এরপর আমেরিকা অপারেশন চলে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করে এবং তাকে প্রাণদণ্ড দেয় 2006 সালে।
পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে, Prithibir Sob Cheye Kharap Manus Ke
7. হেনরিক হিমলার / Heinrich Himmler-

হেনরিক হিমলার জার্মানির নাজি দলের সদস্য ছিলেন। তিনি জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের সহযোগী ছিলেন। হিটলারের পরে যদি কোন নেতার নাম বলা হত তবে তার নামই বলা হতো। হেনরিক হিমলার 1900 সালে জন্মগ্রহণ করেন জার্মানিতে এরপর তিনি ইহুদীদের বিরুদ্ধে জার্মান সেনাদের যোগদান করেন। বলা হয় হিটলারের সময়কালে তিনি হিটলারের সেনাপতি ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন যখন সমস্ত ইহুদীদের বন্দী করা হয় তখন তার দায়িত্ব হেনরিক হিমলারের উপর দেওয়া হয়। এছাড়া সেই সময় প্রায় ৫০ লক্ষ ইহুদীকে নিধন করা হয়, শোনা যায় এই কাজে হেনরিক হিমলারের হাত ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে যখন তিনি বুঝতে পারেন জার্মানরা যুদ্ধ হারতে চলেছে তখন তিনি ব্রিটিশ ও আমেরিকার কাছে জার্মানির আত্মসমর্পণের বার্তা পৌঁছে দেন কিন্তু হিটলার এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না। হিটলার জানতে পারার পরে হেনরিক হিমলার কে সমস্ত ক্ষমতা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর 1945 সালে হিমলার ছদ্মবেশ ধরে ডেনমার্কের সীমানায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু ব্রিটিশ সৈন্যরা তাকে গ্রেফতার করে এবং তিনি শোনা যায় যে, আত্মহত্যা করেন।
8. পল পট / Pol Pot-

পল পট কম্বোডিয়ার একজন বিপ্লবী দলের নেতা ছিলেন। তিনি কম্বোডিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে চার বছর কম্বোডিয়াকে শাসন করেছেন। কিন্তু এই চার বছরেই তিনি একজন অত্যাচারীর শাসক রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। 1976 থেকে 1979 সাল পর্যন্ত তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। 1925 সালে পল পট জন্মগ্রহণ করেন কম্বোডিয়াতে, এরপর ধীরে ধীরে তিনি কম্বোডিয়ার বিপ্লবী দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। সেই সময় কম্বোডিয়াতে ফ্রান্সের রাজত্ব ছিল, 1953 সালে ফ্রান্সের রাজত্ব থেকে মুক্তি পায় কম্বোডিয়া ফলে সেখানে রাজনৈতিক পদে খালি জায়গা তৈরি হয় এবং পল পট ও তার সহযোগী দল সেই জায়গা পূরণের চেষ্টা করে। কিন্তু সেই সময়কার কম্বোডিয়ার সরকার তাদেরকে কমজোর করার জন্য তাদের উপর আক্রমণ করে এবং পল পট ও তার সহযোগীরা বনের মধ্যে আশ্রয় নেয়। সেখানে পুল পট একটি ভিয়েতনামি সংগঠনের সঙ্গে মিলিত হয়ে কম্বোডিয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং 1976 সালে তিনি কমোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি তার বিরোধীদের উপর অত্যাচার করতে শুরু করে এবং তাদের ডিটেনশন সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এইভাবে তিনি প্রায় তার দেশের 25 লক্ষ মানুষকে নিধন করেছিলেন। এই অত্যাচারীর শাসক 1998 সালে মারা যান। এই জন্য পল পট পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ এর তালিকায় রয়েছেন।
9. জোসেফ স্ট্যালিন / Joseph Stalin-

জোসেফ স্ট্যালিন ১৯ দশকের সবচেয়ে ক্ষমতা সম্পন্ন নেতাদের মধ্যে একজন ছিলেন। তিনি সেই সময়কার সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) কে 1924 থেকে 1953 সাল পর্যন্ত শাসন করেছেন। তাকেও উনিশ দশকের অন্যতম খারাপ মানুষের মধ্যে ধরা হয়। 1939 সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির হিটলারের বিরুদ্ধে তিনি প্রায় ১০ লক্ষ সোভিয়েত সেনা তৈরি করেছিল এবং এই বিশ্বযুদ্ধে তিনি জয়লাভ করেছিলেন। যদি কেউ তার বিরুদ্ধে বিরোধ করতেন তবে তাকে তিনি রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতেন। এমনকি তিনি তার পরিবারের লোকেদের ও ছাড়েননি। এইভাবে তিনি তার নিজের রাজনৈতিক দলের বহু নেতাকে সরিয়ে দিয়েছেন। 1978 সালে জর্জিয়াতে জোসেফ স্ট্যালিনের জন্ম হয়। 1953 সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।
10. এডলফ হিটলার / Adolf Hitler-

জার্মান শাসক এডলফ হিটলারের নাম তো সবাই শুনেছেন। 1933 সাল থেকে 1945 সাল পর্যন্ত তিনি জার্মানির শাসক ছিলেন। হিটলার কেই পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ বলা হয়ে থাকে। কারণ তার সময়কালে ও তার প্রভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়। যদিও আজকের সময় হিটলার সবার চোখে একজন খারাপ মানুষ। কিন্তু তার সময়কালে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন, তার ভাষণের প্রভাব এতটাই ছিল যে তিনি খুব সহজেই মানুষকে উৎসাহিত করতে পারতো। অনুমান করা হয় তার এই ভাষণের প্রভাবে তিনি এত বড় নাজি সেনা তৈরি করেছিল।
1889 সালে এডলফ হিটলার জন্মগ্রহণ করেন অস্ট্রিয়া তে। ছোটবেলা থেকেই তিনি জার্মান রাষ্ট্রবাদী নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি জার্মান সেনাতে যোগদান করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানের পরাজয়ের পর তার অত্যন্ত দুঃখ হয় এবং তিনি জার্মানিতে নাজি পার্টিতে যোগদান করেন। তিনি ইহুদীদের অত্যন্ত ঘৃণা করতেন যার কারণে তিনি পার্টিতে যোগদান করেন এবং ভোটে লড়াই করেন। 1932 সালে তিনি জার্মানির রাষ্ট্রপতি পদে লড়াই করেন কিন্তু তিনি বিফল হন। এরপর 1933 সালে তিনি জার্মানির চ্যান্সেলর হন এবং রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর পর তিনি নিজেকে জার্মানির রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। এরপর তিনি ধীরে ধীরে তার সৈন্য বাড়াতে থাকেন। 1939 সালে তিনি তার প্রতিবেশী দেশগুলোতে হামলা করেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়। 1945 সালে এডলফ হিটলার আত্মহত্যা করেন এবং তারপরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি হয়। এই জন্য হিটলারকে সবাই পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ বলে থাকেন।
[…] […]
[…] আরো পড়ুন- পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানু… […]