রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা ক্লাস 6,7,8

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা ক্লাস 6: বাংলা সাহিত্যে স্বনামধন্য, নোবেল জয়ী, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এমন কোন বাঙালি নেই যিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম শোনেননি বা তার গান শোনেননি। তার রচনা বাঙালির মনে প্রাণে আজীবন থেকে যাবে। বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি কোনায় কোনায় তার লেখনি ছড়িয়ে রয়েছে। তার রচিত গল্প, নাটক, গান, কবিতা, উপন্যাস বাংলা সাহিত্যকে নিয়ে গিয়েছে বিশ্বের দরবারে। আজকের নিবন্ধে আলোচনা করা হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা ক্লাস 6।

আজকের নিবন্ধের বিষয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা। আজকের নিবন্ধে আলোচনা করা হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা ক্লাস 6,7,8। ক্লাস 6,7,8 এর পড়ুয়াদের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা জেনে রাখা অবশ্যই প্রয়োজন। স্কুলের পরীক্ষা বা অন্যান্য বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই ধরনের রচনা গুলি প্রায়শই প্রশ্নপত্রে দেখতে পাওয়া যায়। অতএব শিক্ষার্থীদের এই ধরনের রচনা অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন। আজকের নিবন্ধে আলোচনা করা হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা ক্লাস 6,7,8 সম্পর্কে। পড়ুয়াদের অনুরোধ করা হচ্ছে সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়ার জন্য। আমরা সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় এই ধরনের বিভিন্ন তথ্যগুলি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করি। অতএব এই ধরনের বিভিন্ন শিক্ষামূলক তথ্য পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা ক্লাস 6

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা ক্লাস 6,7,8

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা

ভূমিকা:

কবিগুরু শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমরা ‘বিশ্বকবি’ নামে জানি। তার রচিত সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে এবং বিশ্ব সাহিত্যে এক অমূল্য সম্পদ। তার রচনা বাংলা সাহিত্য কে বিশ্বের দরবারে স্থান করে দিয়েছে।

জন্ম ও বংশ পরিচয়:

কলকাতার অন্যতম জমিদার বাড়ি জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম ছিল মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতা ছিলেন সারদা দেবী। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সারদা দেবীর সব থেকে কনিষ্ঠতম সন্তান ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

বাল্যজীবন:

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চার বছর বয়স থেকেই গৃহশিক্ষকের কাছে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। তিনি ওরিয়েন্টাল সেমিনারি ও নর্মাল স্কুলে কিছুদিন পড়াশোনা করেছিলেন। বিদ্যালয়ের গণ্ডির ভেতর পড়াশোনা তিনি পছন্দ করতেন না এজন্য তিনি গৃহ শিক্ষকের কাছে পরবর্তী শিক্ষা লাভ করেছিলেন। উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি বিলেতে গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানেও তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন এবং কবিতা, গান, নাটক, উপন্যাস লেখার প্রতি মনোনিবেশ করেন।

সাহিত্যচর্চা ও কর্মজীবন:

তিনি মাত্র ১৪ বছর বয়সে তার দাদার অনুপ্রেরণায় প্রথম পত্রিকায় লেখা প্রকাশ করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় তার সাহিত্যচর্চার জীবন। তিনি অজস্র গান, কবিতা, নাটক, উপন্যাস, ছোট গল্প লিখেছেন। তার লেখা ‘বউ ঠাকুরাণীর হাট, নৌকাডুবি, চোখের বালি, প্রজাপতির নির্বন্ধন, ঘরে বাইরে, গোরা, যোগাযোগ, চতুরঙ্গ, শেষের কবিতা, মালঞ্চ, এছাড়া ‘মানসী’, ‘সোনার তরী’, ‘চিত্রা’ এবং ‘কবি কাহিনী’, ‘প্রভাত সঙ্গীত’, ‘ছবি ও গান’, ‘সন্ধ্যা সঙ্গীত’ অন্যতম। বাংলা সাহিত্যে এমন কোন অংশ নেই যেখানে তিনি তার লেখনি স্পর্শ করেননি।

১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজিতে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। এরপর ইংরেজদের দ্বারা তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করা হয়, কিন্তু তার পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি এই উপাধি ত্যাগ করেন জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সাহিত্যচর্চার জন্য দেশের বিভিন্ন কোনায় কোনায় আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। তিনি বহুবার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেন। বঙ্গভঙ্গ স্বদেশী আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঙ্গালীদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে তিনি ‘রাখি বন্ধন’ উৎসব প্রচলন করেন। আমাদের অর্থাৎ ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীত ‘জনগণমন অধিনায়ক’ রবীন্দ্রনাথের অন্যতম রচনা। এছাড়াও তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।

উপসংহার:

১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই আগস্ট বাংলার ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৮০ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হয়েছিলেন। ২৫ বৈশাখ আমরা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন করি এবং ২২শে শ্রাবণ তার প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।

মন্তব্য করুন