সম্প্রতি নাসার এই প্রথমবার এমন এক গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের আবিষ্কার করেছে যার রং সম্পূর্ণ নীল। এই ছায়াপথের তারাগুলি থেকে বিকিরিত আলোর রংও সম্পূর্ণ নীল। যার কারণে সম্পূর্ণ গ্যালাক্সি থেকে বেরিয়ে আসছে নীল আভা।
নীলাভ গ্যালাক্সির আবিষ্কার করল নাসা
(NASA) নাসা দ্বারা আবিষ্কৃত এই ছায়াপথটি পৃথিবী থেকে ১০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। পৃথিবী থেকে এতটা দূরত্বে অবস্থিত ছায়াপথটির ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে নাসার ‘হাবল টেলিস্কোপ‘। ছায়াপথটির নাম ‘এনজিসি২৩৩৬‘।
মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করার কাজ বহুদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে। তবে এতদিনে এখনো পর্যন্ত এমন ছায়াপথের আবিষ্কার এই প্রথম। নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই ছায়াপথের রং নীল হওয়ার কারণ এতে থাকা তারাগুলি। যার অধিকাংশই নীল আলো বিকিরণ করে।
আরো পড়ুন – শনির উপগ্রহের মহাসাগরের জলে তীব্র আলোড়ন, সামনে আসলো গবেষকদের বিস্ময়কর তথ্য
নিলাভ এই ছায়াপথ পৃথিবী থেকে ১০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্রপুঞ্জে অবস্থিত। এই নক্ষত্রপুঞ্জের নাম ‘ক্যামেলোপার্ডোলিস‘। নক্ষত্রপুঞ্জের ভিতরে অবস্থিত এনজিসি২৩৩৬ এর আয়তনটাও নেহাত কম নয়। প্রায় ২ লক্ষ আলোকবর্ষ জায়গা জুড়ে এই ছায়াপথের অবস্থান। বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই ছায়াপথের মাঝখানে যে তারা গুলো রয়েছে সেগুলির রং লাল। গবেষকদের মতে এই লাল তারাগুলির বয়স অনেক বেশি। তবে ছায়াপথের স্পাইরাল আর্ম-এ অবস্থিত তারা গুলির বেশিরভাগই নীল বর্ণের এবং এই তারাগুলি তুলনামূলক কম বয়স্ক। গবেষকদের মতে এই তারাগুলিই সম্পূর্ণ ছায়াপথের নীল আভার কারণ।
এর পূর্বে ১৮৭৬ সালে এই ছায়াপথের প্রথম সন্ধান পান জার্মানির জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলহেম টেম্পল, একটি ছোট টেলিস্কোপ এর সাহায্যে। তবে প্রযুক্তির অভাবে ছায়াপথ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। প্রায় ২৫০ বছর পর সেই ছায়াপথটি এবার নাসার হাবল টেলিস্কোপ সঠিকভাবে চিনতে সক্ষম হয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা নতুন আবিষ্কৃত এই ছায়াপথের নীল তারাগুলি আগামী দিনে তারার জন্মের প্রাথমিক দশা কেমন হয় তা বুঝতে সাহায্য করবে বিজ্ঞানীদের।
[…] […]
[…] […]