Suvo Mahalaya Wishes In Bengali

Suvo Mahalaya Wishes In Bengali: নীল আকাশ, পেজা তুলোর মত মেঘ, শিউলি ফুলের গন্ধ আমাদের জানান দেয় পুজো আসছে। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। ফাঁকা মাঠ জুড়ে সাদা ঘন কাশফুলের বন, ভোরবেলায় উঠে শিউলি ফুলের গন্ধ যেন আমাদের জানান দেয় দেবিপক্ষের সূচনার। আর এই দেবি পক্ষের সূচনা ঘটে মহালয়ার দিন থেকে। মহালয়ার দিন থেকেই পিতৃপক্ষের শেষ এবং দেবীপক্ষ এর সূচনা হয়।

মহালয়ার দিন ভোর বেলায় উঠে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহিষাসুর মর্দিনী মুগ্ধ করে সকল বাঙালিকে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য দেবী আগমনী বার্তা মহালয়ার ভোরবেলা থেকেই শুরু হয়। এই দিন বিশেষভাবে সবাই অপেক্ষা করে থাকেন মহালয়া দেখার জন্য। আমরা অনেকেই ছোটবেলা থেকে মহালয়ার দিন ভোরবেলায় উঠে রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহালয়া শুনেছি। এখনকার দিনেও প্রায় সকলেই দেবী আগমনির এই বার্তা শোনেন। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্র পাঠ সকলকেই ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে মহালয়া শুনতে একপ্রকার বাধ্য করে, শরীরের শিহরণ জায়গায় তার কণ্ঠস্বর।

মহালয়ার পর থেকেই বাঙ্গালীদের মধ্যে শুরু হয় পূজোর মেজাজ। বহু প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালীরা এই দিনটিকে ঐতিহ্যপূর্ণভাবে পালন করে আসছেন। কিন্তু অনেকেরই হয়তো অজানা মহালয়ার প্রাচীন ইতিহাস, কিভাবে সৃষ্টি এই মহালয়ার। আজকের নিবন্ধে আমরা জানবো মহালয়ার ইতিহাস, মহালয়া কি, মহালয়া কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে, Suvo Mahalaya Wishes In Bengali, মহালায়া ২০২৩ তারিখ এই ধরনের কিছু অজানা তথ্য। এই ধরনের শিক্ষামূলক তথ্য আমরা সম্পূর্ণ বাংলাতে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করি। অতএব নিবন্ধটি সম্পূর্ণ পড়বেন এবং এই ধরনের আরো শিক্ষামূলক তথ্য পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটিকে ফলো করবেন।

মহালয়া কি?

প্রিতৃপক্ষের শেষক্ষন এবং দেবিপক্ষে সূচনার সময় কালকে বলা হয় মহালয়া।

মহালয়ার ইতিহাস

মহালয়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গল্প কাহিনী প্রচলিত আছে যেমন

মহাভারত অনুযায়ী-

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কর্ণ এর মৃত্যুর পর তার আত্মা স্বর্গে গমন করে, সেই সময় স্বর্ণ ও রত্ন খাদ্য হিসেবে দেয়া হয় তাকে। এমন খাবার তার স্বর্গযাত্রা কালে দেওয়ার জন্য তিনি তার কারণ জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তখন উত্তরে তাকে বলা হয় সারা জীবন তিনি শুধুই স্বর্ণ দান করেছেন তার পিতৃগণের উদ্দেশ্যে, কোনদিনও খাদ্য দান করেননি।

যেহেতু কর্ণ তার জীবিত কালে কখনো পিতৃগণের উদ্দেশ্যে কোনদিনও খাদ্য দান হিসেবে দেননি সেই কারণে স্বর্গে তাকে খাদ্য হিসেবে স্বর্ণ প্রদান করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্যেই কর্ণ বলেছিলেন তিনি যেহেতু তার পিতৃ গণের সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না সেই কারণেই তাদের উদ্দেশ্যে তিনি কখনোই খাদ্য এবং পানীয় প্রদান করেননি। তার পরিবর্তে তিনি দান করেছেন স্বর্ণ এবং রত্ন।

এই কারণবশতই কর্ণ ভগবান ইন্দ্রের নির্দেশে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ প্রতি পদ তিথিতে ১৬ দিনের জন্য মর্তে পদার্পণ করেন এবং পিতৃ লোকের উদ্দেশ্যে অন্ন এবং জল প্রদান করেন। এরপর আশ্বিনের অমাবস্যা তিথিতে শেষবারের মতো তিনি জল দান করে স্বর্গে ফিরে যান।

হিন্দু ধর্মমতে যেইদিন কর্ণ জল দান করে স্বর্গে ফিরে যান সেই দিনকে বলা হয় পিতৃপক্ষ আর এই পিতৃপক্ষের শেষ দিনই হল মহালয়া। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই কাহিনীতে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। কোন কোন জায়গায় ইন্দ্রের বদলে যমরাজকে দেখা গিয়েছে কর্ণকে নির্দেশ দিতে।

জীবিত কোন ব্যক্তির পূর্বের তিন পুরুষ পর্যন্ত পিতৃলোকে বাস করেন। এই পিতৃ লোক হল স্বর্গ এবং মর্তের মাঝামাঝি অবস্থান যেখানকার শাসক হলেন মৃত্যুর দেবতা যমরাজ। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী যমরাজ সদ্য মৃত ব্যক্তিদেরকে স্বর্গ ও মর্তের মাঝামাঝি পিতৃ লোকে নিয়ে যান।

হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী-

মহালযায় দেবী দুর্গা তার পৈতৃক গৃহে আসেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন যে ব্রহ্মা-বিষ্ণু এবং মহেশ্বর শক্তিশালী অসুর কে নির্মূল করার জন্য মা দুর্গাকে সৃষ্টি করেছিলেন। মা দুর্গা মানুষ এবং দেবতাদেরকে অসুরদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন।

কোন এক সময় অসুরদের রাজা মহিষাসুর দেবালকে আক্রমণ করেন। দেবালোকে সমস্ত দেবতাদের পরাজিত করে দেবালক দখল করেছিল মহিষাসুর। এমন সময় নিজেদের রক্ষা করার জন্য সকল দেবতা এবং ভগবান বিষ্ণু অসুরদের দমন করার উদ্দেশ্যে আদি শক্তির উপাসনা করেন। বিশ্বাস করা হয় এই সময়ে সমস্ত দেবতার দেহ থেকে একটি ঐশ্বরিক্য জ্যোতি বেরিয়ে এসে দেবী দুর্গার রূপ ধারণ করে। এই আদি শক্তির রূপ হলেন দেবী দুর্গা। এর পর মহিষাসুর এবং দেবী দুর্গার মধ্যে নয় দিন যুদ্ধ হয় এবং দশমতম দিনে দেবী দুর্গা ওষুধের কে হত্যা করেছিলেন। এই নয় দিনের যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল নবরাত্রি ও দুর্গাপূজা। সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা এই ১০ দিন দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন, কারণ তাদের বিশ্বাস যে দেবী দুর্গা মর্তে আসেন সকল পৃথিবীবাসীকে আশীর্বাদ করার জন্য।

মহালয়া ২০২৩ তারিখ:

মহালায়া ২০২৩ তারিখ ১৪ই অক্টোবর ২০২৩। মহালয়া ২০২৩ উৎসব পালিত হবে শনিবার।

Suvo Mahalaya Wishes In Bengali

মহালয়ার এই শুভ মুহূর্তে
সকলকে জানাই
অনেক অনেক শুভেচ্ছা...
কামনা করি মায়ের আশীর্বাদে
সারা জীবন আনন্দে ভরে উঠুক।
শুভ মহালয়া

এই দুর্গাপূজো যেন আগের মত উজ্জ্বল হয়।
শুভ মহালয়া

বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের স্তোত্র পাঠে শুরু দেবীপক্ষের…
আপামর বাঙালির মনে জেগে উঠেছে দুর্গাপূজার আনন্দ…
শুভ মহালয়া

নীল আকাশে মেঘের ভেলা
পদ্ম ফুলের পাপড়ি মেলা
ঢাকের তালে কাশের খেলা
আনন্দে কাটুক শারদ বেলা
শুভ মহালয়া

মায়ের আশীর্বাদ গুলি আপনার জীবনের পথ থেকে সমস্ত বাধা অপসারণ করতে পারে।
শুভ মহালয়া।

Suvo Mahalaya Wishes In Bengali

নীল নীল আকাশের দূর সীমানায়
খুশিতে আকুল মন উড়ে যেতে চায়
শরতের ইশারায় পূজোর গন্ধ ছড়ায়
উড়ে যাওয়া পাখিদের ডানায় ডানায়
শুভ মহালয়া।

মহালয়ার এই পবিত্র দিনে
সুখে থাকুক সবাই,
এসো সবাই মনের দরজা খুলে,
আনন্দে ভালোবাসায় আজকের
তিনটি কাটাই...
শুভ মহালয়া।

মায়ের আশীর্বাদে
পৃথিবী থেকে দূরীভূত হোক
সব দুঃখ-কষ্ট,
ব্যথা-বেদনা, পাপ-অন্যায়,
মহালয়া পুণ্য পাবনে
সকলকে শুভেচ্ছা জানাই...

ঢাকাতে পড়েছে কাঠি
পুজো হবে ফাটাফাটি,
পুজো পুজো কত আশা
ইচ্ছে পূরণের অভিলাষা।

মায়ের আশীর্বাদে
তোমার জীবন সাফল্য আর
আনন্দে ভরে উঠুক।
শুভ মহালয়া

Suvo Mahalaya Wishes In Bengali

ডাকের কাঠি উঠলো বেজে
মা আসছেন সেজেগুজে
চারিদিকে আজ মাতন লাগে
পুজোর দিন যেন ভালো কাটে।

শিউলি ফুলের গন্ধে যেন ভরে গেল মন
শুভ্র শীতল কাশের শোভায় জুড়ালো দুটি নয়ন,
আগমনের বার্তা বয়ে বাজছে ঢাকের সুর
শারদীয়ার দিনগুলো হোক আনন্দ ও মধুর!!
শুভ মহালয়া

পূজার বাঁশি বাজে দূরে,
মা আসছেন বছর ঘুরে।
শিউলির গন্ধে আগমনী,
কাশের বনে জয়ধ্বনি।
নীল আকাশের মাকে খুঁজো,
হাসি খুশি কাটুক পুজো।
শুভ মহালয়া

পুজো পুজো গন্ধ এসেছে আজ আকাশে
সাদা কাশফুল উড়ে যায় স্রোতের বাতাসে
মহালয় দিয়ে দুর্গাপুজোর আগমন
এক সপ্তাহ পরে মায়ের বোধন।
শুভ মহালয়া

ঢাকের তালে ধুনুচি নাচন এটাই প্রাচীন রীতি
মনের ফ্রেমে বাঁধিয়ে রেখো দুর্গাপূজা স্মৃতি

Suvo Mahalaya Wishes In Bengali

শরৎকাল হিমেল হাওয়া
আগমনে তাই হারিয়ে যাওয়া
কাশফুল আর ঢাকের তালে
শিউলি দোলে ডালে ডালে,
মা আসছে বছর ঘুরে
পুজোর হাওয়া তাই জগজ জুড়ে

হিমের পরশ লাগল প্রাণে
শারদীয়ার আগমনে
আগমনীর খবর পেয়ে
বনের পাখি উঠলো গেয়ে
শিশির ভেজা নতুন ভরে
মা আসছেন আলো করে
**শুভ মহালয়া**

দুর্গা মায়ের আশীর্বাদে
তোমার জীবনে চির সুখ-শান্তি আসুক
সাফল্যের সব রাস্তা
তোমার জন্য খুলে যাক
*"শুভ মহালয়া"*

ঢাকের আওয়াজ ধাই কুরকুর
শোনা যায় ওই আগমনীর সুর
মায়ের এবার আশার পালা
শুরু হলো মজার খেলা
তাই নিয়ে এই সুখ মন
জানাই তোমায় অভিনন্দন

Suvo Mahalaya Wishes In Bengali

দুর্গাপূজো নিয়ে আসুক অভিনন্দন আর সুখ
মুছে যাক সব বিষন্নতা আর দুঃখ
শুভ মহালয়া

মাগো তোমার চরণে স্পর্শে
কেটে যায় সকল দুঃখ শোক
তোমার মঙ্গল আলোকে চারিদিক
আলোকিত হোক।
শুভ মহালয়া

আমার তরফ থেকে আপনাকে জানাই মহালয়ার অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
আজকের দিনটাকে আনন্দের সাথে উপভোগ করুন।
শুভ মহালয়া।

মন্দের উপর ভালোর জয় উদযাপন করুন।
শুভ মহালয়া

দেবী দূর্গা আপনার সমস্ত পাপ দূর করে আপনাকে সুখ দিন এই কামনা করি।
আনন্দ এবং সাফল্যের রঙ দিয়ে আপনার জীবন ভরে উঠুক
এবং আপনার সমস্ত ইচ্ছা এবং আশা পূর্ণতা পায় এই কামনা করি।
শুভ মহালয়া

Suvo Mahalaya Wishes In Bengali

আশ্বিনের এই শরৎ প্রাতে
দেবী দুর্গার আশীর্বাদে
দিনগুলি হয়ে উঠুক আরো আনন্দমুখর
উৎসবের দিনগুলি কাটুক সুখে আর মিষ্টি মুখে।
শারদীয় অভিনন্দন।

ষষ্ঠীতে থাক নতুন ছোঁয়া
সপ্তমীর হোক শিশির ধোয়া,
অঞ্জলি দাও অষ্টমীতে
আড্ডা জমুক নবমীতে
দশমীতে হোক মিষ্টিমুখ
পূজা সবার ভালো কাটুক
কুমরের তুলি হল খালি
তৈরি হলো ঢাকি
এবার পুজোয় মাগো যেন
আনন্দেতে থাকি
।।শুভ মহালয়া।।

শান্ত বাতাস ঢেউ খেলে যায় মাঠের ঘাসে ঘাসে
করুণাময়ীর নব রূপে, সজ্জিত মা যে ওই আসে
দূর গগনে নীল ছড়িয়ে সাদা মেঘের ভেলা ভাসে
নদীর দুলুল ভরিয়ে দিয়ে কাশফুলেরা দেখো হাসে।
শুভ মহালয়া

দেবীর আগমনে আনন্দের আলিঙ্গনে
শারদের গন্ধে পূজোর উচ্ছ্বাসে,
জীবন হয়ে উঠুক মঙ্গলময়।
মহালয়ার এই শারদ প্রভাতে
জানাই শারদ শুভেচ্ছা।
শুভ মহালয়া

পুবাশায় নবদিত অরুণের চায় বৃষ্টির ঝিরিঝিরি সুরে
কাল শুনতে পাবে ঝরা শিউলির গান
প্যান্ডেলের বাঁশের টুকটাক আওয়াজ আর সোনালী রোদ জানাবে তোমায়
শুভ মহালয়া

Suvo Mahalaya Wishes In Bengali

পরে আলতা পাড়ের শাড়ি
মা আসছে বাপের বাড়ি,
মাগো তুমি মহামায়া
সবাইকে জানাই শুভ মহালয়া

পুজোর সানাই বাজে সুরে
মা আসছেন হৃদয় জুড়ে
শিশির ছোঁয়ায় সাজছে কায়া
সবাইকে শুভেচ্ছা শুভ মহালয়া

শিউলি ফুলের গন্ধে মাখা শরৎ আকাশখানি
কাশফুল আর ঘাসের দোলায় কার ওই পদধ্বনি?
শারদীয় শুভেচ্ছা
শুভ মহালয়া

শরৎকালের রোদের ঝিলিক শিউলি ফুলের গন্ধ,
মা এসেছে ঘরে তাই মনে এত আনন্দ।
শুভ মহালয়ার শুভেচ্ছা

সংকটনাশিনী দেবীর কৃপায় পৃথিবী থেকে দূরীভূত হোক সকল দুঃখ কষ্ট
শুভ মহালয়ার প্রীতি শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন

Leave a Reply