পৃথিবীর শেষ প্রান্ত কোথায়, Prithibir Sesh Kothay: আমাদের এই সুবিশাল পৃথিবীর শেষ কোথায়? কখনো কি মনে প্রশ্ন এসেছে। যদি এসে থাকে তবে আজকে এটা নিবন্ধ আপনার জন্য মানুষ মাত্রই কৌতুহল করাটা স্বাভাবিক। আমাদের এই পৃথিবী যেহেতু কঠিন পদার্থ দ্বারা গঠিত এবং গোল সেই কারণে বৈজ্ঞানিকভাবে পৃথিবীর কোন শেষ অংশ নেই। তবে রোমাঞ্চকর ভাবে এবং যারা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তারা পৃথিবীর বেশকিছু জায়গায় যেতে পারেন যেগুলিকে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত রূপের গণ্য করা হয়। আজ পৃথিবীর শেষ প্রান্ত কোথায়, পৃথিবীর শেষ প্রান্ত কোন দেশ রয়েছে ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করব।
বিষয় | পৃথিবীর শেষ প্রান্ত কোথায় |
বিভাগ | আন্তর্জাতিক |
ভাষা | বাংলা |
শ্রেণী | অ্যাডভেঞ্চার |
পৃথিবীর শেষ প্রান্ত কোথায়
এবার আমরা দেখে নেব পৃথিবীর কিছু অদ্ভুত জায়গা যেগুলিকে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত বলা হয়ে থাকে,
নরওয়ে প্রাইকেষ্টলেন-

ইউরোপ মহাদেশের নরওয়ে দেশে প্রাইকেষ্টলেন নামে একটি জায়গা রয়েছে যাকে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত বলা হয়ে থাকে কারণ এই জায়গাটি প্রায় ২০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এটি নরওয়ের জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র। তুষার যুগের ফলে এইরকম পাহাড়ের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই স্থানে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে প্রায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে যেতে হবে। শীতকালে বরফে ঢাকা এই জায়গাটিকে দেখতে অপরূপ সুন্দর লাগে, এই সময়ে এই পাহাড়ের কিনারায় যদি আপনি দাঁড়ান তবে মনে হবে আপনি মেঘের উপরে রয়েছেন এবং একটি ভিন্ন গ্রহের চিত্র মনের মধ্যে আঁকতে পারবেন। এখানকার বাতাস অত্যন্ত শুদ্ধ যে কারণে এই শুদ্ধ বাতাস বাইরে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এই পাহাড়ের প্রান্তে একটি জায়গা রয়েছে যেটি আপনারা উপরের ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন। এই স্থানে বহু সিনেমার শুটিং হয়েছে যেমন মিশন ইম্পসিবল 6, যেখানে টম ক্রুজ কে এই পাহাড়ে শুটিং করতে দেখা গেছে। এছাড়া বহু পর্যটক এখানে বিভিন্ন ধরনের স্টান্ট করে থাকে।
ইয়ামান পেনিনসুলা-
এই অঞ্চলটি রাশিয়ার সাইবেরিয়াতে অবস্থিত, প্রসঙ্গত ইয়ামান কথাটির অর্থ হলো পৃথিবীর শেষ এই অঞ্চলটি প্রথম জনসম্মুখে আসে যখন এখানে কিছু দুর্ঘটনা ঘটে, পরবর্তীকালে মিথেন গ্যাসের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানানো হয়েছে।
ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট সাসেক্স-
ইংল্যান্ডে অবস্থিত ওয়েস্ট সাসেক্স পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় স্থান কারণ এখানকার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও সিনারি অত্যন্ত ভ্রমণ প্রিয়। এই স্থানটিকেও অনেকে পৃথিবীর শেষ অংশ বলে মনে করেন।
কেপ হর্ন-
চিনি দেশে এই অঞ্চলটি অবস্থিত এটিকে পৃথিবীর অন্যতম শেষ প্রান্ত বলে গণ্য করা হয়। এই অঞ্চলের বিশেষত প্রশান্ত মহাসাগর ও আন্টার্টিকা মিলিত হয়েছে দর্শকের কাছে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র যেখানে প্রত্যেক বছর বহু দর্শনার্থী এখানে উপভোগ করতে আসে। পৃথিবীর দুর্গম জায়গা গুলির মধ্যে একটি অন্যতম এবং এখানে নৌ চলাচল করা যায় না।
- আরো পড়ুন, পৃথিবীর বয়স কত ২০২৩
- আরো পড়ুন, বাংলাদেশের ১ নম্বর ধনী ব্যক্তি
- আরো পড়ুন, পৃথিবীর শেষ রাস্তা এটাই! এরপর আপনি আর যেতে পারবেন না
পৃথিবীর শেষ কোথায় (Prithibir Sesh Kothay)
পৃথিবীর শেষ প্রান্ত সম্বন্ধে আমরা উপরের কিছু জায়গার নাম জানতে পারলাম যেগুলি পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত অ্যাডভেঞ্চার সম্পন্ন এবার আসা যাক কিছুটা বিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্যে। যেহেতু পৃথিবীর গোল সেই কারণে পৃথিবীর শুরু বা শেষ নেই তবে আমরা সবাই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে বেঁচে আছি যদি বায়ুমণ্ডল না থাকতো তবে পৃথিবীতে জীবের সৃষ্টি হতে পারত না। সেই কারণে পৃথিবীর উপরে বায়ুমণ্ডলের কয়েকটি স্তর আছে যেগুলো হল ট্রপোস্ফিয়ার, স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার, মেসোস্ফিয়ার, থার্মোস্ফিয়ার, এক্সোস্ফিয়ার। অর্থাৎ এই স্তর অনুসারে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত হলো এক্সোস্ফিয়ার বায়ুমণ্ডল। এই স্তর পেরোলে আপনি মহাশূন্যে প্রবেশ করবেন এবং যেখানে কোন জীব বেঁচে থাকতে পারে না।
এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চার সম্পূর্ণ বিভিন্ন বিষয় জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজকে কে অবশ্যই ফলো করুন ধন্যবাদ।
Q&A: Prithibir Sesh Kothay
পৃথিবীর শুরু কোথায়?
পৃথিবী যেহেতু গোলাকার যে কোন পৃথিবীর শুরু বা শেষ নেই তবে পৃথিবীর বয়স বর্তমানে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর।
পৃথিবীর শেষ রাস্তা কোথায়?
নরওয়ে দেশের ই-৬৯ নম্বর জাতীয় সড়ক পৃথিবীর শেষ রাস্তা কারণ এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পরই পৃথিবী শেষ প্রান্তে পৌঁছানো যায় যা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র।
পৃথিবীর শেষ দেশের নাম কি?
যেহেতু পৃথিবীর শেষ প্রান্ত ও শেষ জাতীয় সড়ক নরওয়ে দেশ অবস্থিত সেই কারণে, নরওয়ে দেশ কে পৃথিবীর শেষ দেশ বলা হয়।